ছেলের জীবন সংকটে, সোনা-রূপার জন্মদিন ভুলে গেল সূর্য! দীপাকে সূর্যের জীবন থেকে আউট করে মাথা থেকে আউট করার প্ল্যান শুরু মিশকার
এই মুহূর্তে সূর্য আর দীপার জীবনে নেমে এসেছে আবার বিচ্ছেদ। অনুরাগের ছোঁয়া ধারাবাহিকে (Anurager Chhowa) লাবণ্য যেভাবে মিশকার বাচ্চার প্রতি মায়ায় বাঁধা পড়ে দীপাকে বাড়ি থেকে বের করে দিল তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে গেছে দর্শকরা।
দীপা সূর্যর ডিভোর্স
এর আগে দেখা গেছে মিস্টার বাবার দেওয়া হুমকিতে ভয় পেয়েছিলাম অন্য আর সে সূর্যকে বাধ্য করে ডিভোর্স দিতে সূর্য ডিভোর্স পেপারে সই করে দেওয়ার পর দিয়ে সেই বাড়ি ছেড়ে নিজের দুই মেয়েকে নিয়ে বেরিয়ে যায়। ওদিকে মিশকা নাটক করে যে তার বাচ্চা আবার অসুস্থ আর সেটা শুনে সব কিছু ভুলে গিয়ে সূর্য ছেলের কাছে যায়। দীপা-সূর্য শেষবার একে অপরকে দেখতেও পেল না।।
অনুরাগের ছোঁয়া আজকের পর্ব
গতকালের পর্বে দেখা গেছে যে দীপা তার দুই মেয়েকে নিয়ে সেনগুপ্ত বাড়ি ছেড়ে নিজের বাপের বাড়িতে উঠে আসার পরে তার বাবা তাকে আবার বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেয় ও জীবন শুরু করতে বলে নতুন করে। সেই প্রস্তাব সঙ্গে সঙ্গে খারিজ করে দিয়ে দীপা তখনই সেই বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে উদ্যত হয়। তারপরেই দীপার বাবা প্রশ্ন করে তোর জন্য কি কেউ নেই এই পৃথিবীতে? এরপর দেখা যায় ডাক্তার অর্জুন নিজের বাড়িতে ফিরে এসে নিজের ড্রাইভারের সঙ্গে জামা কাপড় সব গুছিয়ে রাখছে ঘরে। ড্রাইভার তখন তাকে বলে সংসার সুখের হয় রমনীর গুনে। অর্থাৎ তাকে বিয়ে করতে বলছে। তখন অর্জুন তাকে জিজ্ঞাসা করে তার বউই কি বাড়ির সব কাজ করে আর রান্নাও করে? এমনটা বলতে বলতেই দেখা যায় ড্রাইভারের বউ পম্পা এসেছে সেই বাড়িতে এবং তাকে খাবার দেয়। তারপর অর্জুন তাকে পরামর্শ দেয় যে সে তার স্বামীকে কাজ করতে দেয় না বলে সে কাজ শেখেনি। বাইরের কাজ করলে ক্লান্ত আর সারাদিন বাড়ি বসে কাজ করে যে স্ত্রী তার কি বিশ্রাম দরকার নেই? সংসার রমণীর গুনে সুখের হয় না সুখের হয় দুটি মানুষ সুখে থাকলে।
ওদিকে দেখা যায় দীপা নিজের বাপের বাড়িতে নিজের দুই মেয়ের জন্মদিন পালন করবে। সে পায়েস বানাচ্ছে আর মনে মনে ভাবছে। আর যেন ডাক্তারবাবু তাদের দুই মেয়েকে দেখতে আসে এবং না এসে তাদের মন ভেঙে না দেয়। কাল রাত বারোটা থেকে তাদের দুই মেয়ে অপেক্ষা করছি একটা ফোনের জন্য। সে নিজে ফোন করতে যায় কিন্তু তখনই রুপাকে দেওয়া তার প্রতিজ্ঞার কথা মনে পড়ে যায় রূপা তাকে বলেছিল যে নিজের থেকে বাবাকে ফোন করার দরকার নেই যদি বাবার মনে পড়ে তাহলেই আসবে আর তা না হলে রুপা প্রচন্ড রেগে যাবে তার উপর। ওদিকে দেখা যায় মিশকা আবার ডাক্তারকে টাকা দিয়ে চুপ করিয়েছে এবং তাকে বলিয়ে নিয়েছে যে সে যেন সূর্যকে বলে এখানে থাকতে আগামী ৪৮ ঘণ্টা কারণ বাচ্চার শারীরিক অবস্থা ভালো নয় বলে তাকে অবজারভেশনে রাখতে হবে। সূর্য এবং লাবণ্য নিরুপায় হয়ে সেখানে বসে থাকে। মেয়েদের জন্মদিনের কথা তাদের মাথা থেকে বেরিয়ে যায় টেনশনে।
ওদিকে বাড়িতে সূর্য দীপার জন্মদিনে সেলিব্রেশন এর জন্য ঘর সাজানো হয়ে গেছে। তবু তারা মুখ ভার করে বসে আছে বাবার অপেক্ষায়। সোনা কোনদিন বাবাকে ছাড়া জন্মদিন সেলিব্রেট করেনি আর বাবাকে নিয়ে রুপার এটাই প্রথম সেলিব্রেশন। দীপা তাদের জন্য পায়েস নিয়ে আসে। সকলে বলাবলি করে যে তারা কোথায় এবার সেলিব্রেট করবে আর এমন সময় দীপার শ্বশুরমশাই আসে তার দুই নাতনিকে উইশ করতে। তারা এসে অনেক যে সূর্য সেখানে আসেনি। দীপা বলে ডাক্তারবাবু নিজের ছেলের সব ব্যবস্থা করে নিজের মেয়েদের জন্য ঠিক আসবে। তবে অপেক্ষার প্রহর পেরিয়ে যায়। ওদিকে অর্জুন দীপাকে যে নিমন্ত্রণ পত্র পাঠিয়েছে সেটাতে যেতে বলে তার শ্বশুর। ওদিকে মিশকা ছুটে আসে সূর্যের কাছে। কিন্তু সূর্য প্রচন্ড রেগে গিয়ে তাকে বলে সেখানে আছে শুধুমাত্র বাচ্চাটার কথা ভেবে। তখন মিশকা মনে মনে ভাবে দীপা কে সূর্যের জীবন থেকে আউট করে দিয়েছে কিন্তু এবার মাথা থেকেও বের করতে হবে।