টলিপাড়ার নতুন প্রযোজক সুপারস্টার অভিনেতা দেব। প্রযোজক হয়ে মাঠে নামতেই একের পর এক সিনেমায় তিনি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। সে টনিক হোক বা কিশমিশ বা প্রজাপতি, বা সাম্প্রতিক সময়ে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি বাঘাযতীন (Baghajatin) । প্রত্যেকটি ছবিই ব্লকবাস্টার, দর্শক প্রশংসিত। নিজের সংস্থার প্রত্যেকটি সিনেমাকে তিনি নিজের সন্তানের মত ভালবাসেন। সেই সঙ্গে সেই সিনেমার প্রচারণায় থাকে তুমুল চমক।
তবে একটি বিষয় দারুণ ভাবে লক্ষ্য করার মতো। সাম্প্রতিক সময়ে দেবের প্রযোজনায় নির্মিত প্রত্যেকটা সিনেমার মধ্যে থাকে সামাজিক বার্তা। সেই সঙ্গে তিনি সুযোগ করে দেন নবাগত অভিনেতা অভিনেত্রীদের। পোড়খাওয়া তারকাদের পাশাপাশি একেবারে নবাগতরা জায়গা করে নেন তার সিনেমায়। গ্ল্যামারাস নামিদামি অভিনেত্রী নন, একেবারে আনকোরা বা টেলিভিশনের অভিনেত্রীদের নায়িকা হওয়ার সুযোগ দিয়ে চলেছেন তিনি।
এই যেমন প্রজাপতি সিনেমায় তার বিপরীতে নায়িকা হয়েছিলেন টেলি অভিনেত্রী অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্য।অন্যদিকে পুজোয় দেবের মুক্তিপ্রাপ্ত বাঘাযতীন সিনেমায় বাঘাযতীনের স্ত্রী ইন্দুবালার চরিত্রে অভিনয় করছেন একেবারে নতুন অভিনয় দুনিয়ায় আনকোরা সৃজা দত্ত। আবার আগামী ডিসেম্বরে মুক্তি পেতে চলা সিনেমা প্রধান-এ নায়িকা চরিত্রে থাকছেন বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ সৌমীতৃষা কুন্ডু।
হঠাৎ করে নতুনদের এত কেন সুযোগ দিচ্ছেন তিনি? নামিদামি তারকা নিলে তো সিনেমা হিট করার সম্ভাবনা আরও বেশি থাকে? এই বিষয়ে একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানিয়েছেন কোন একদিন আমিও নতুন ছিলাম। আমাকেও কেউ সুযোগ দিয়েছিল। আর তাই আজ আমি এই জায়গায় বসে রয়েছি। আর এটা আমার দায়িত্ব যে নতুনদের সুযোগ দিতেই হবে।
একই সঙ্গে অভিনেতার সংযোজন, বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে যতগুলো ভালো প্রযোজনা সংস্থা রয়েছে যাদের উপর দর্শকদের আস্থা বিশ্বাস রয়েছে তাদেরকে দায়িত্ব নিতেই হবে। আর ভগবান আমাকে এই সুযোগটা করে দিয়েছেন। আর আমি নতুনদের তুলে নিয়ে আসবই। আমি কর্মাতে বিশ্বাসী। আমি যদি শুধু নিজের স্বার্থ দেখি তাহলে ভগবান আমাকে ক্ষমা করবে না।