সাত জন্মের বন্ধনে পরম-পিয়া! প্রকাশ্যে বিয়ের প্রথম ছবি

অবশেষে বিয়ে সম্পন্ন হল পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং পিয়া চক্রবর্তীর। পেশায় গায়ক পরমব্রত এবং সমাজকর্মী পিয়া বহুদিন ধরেই গোপনে প্রেম করছিলেন। প্রকাশ্যে কোনদিন সম্পর্কের কথা কেউই স্বীকার করেননি বরং পরমব্রত এড়িয়ে গেছেন। তবে আজ যোধপুর পার্কের বাড়িতে আইনত বিবাহ সেরে ফেললেন দুজনে। পিয়া চক্রবর্তী শুধু সমাজকর্মী নন তার একটি পরিচয় আছে এবং সেটি হল তিনি গায়ক অনুপম রায়ের প্রাক্তন স্ত্রী। তাই পরমব্রতকে বিয় করার খবর ছড়িয়ে পড়তে একের পর এক কটাক্ষ উড়ে এসেছে দুজনের প্রতি। তবে সেই সবকিছুকে তুরি মেরে উড়িয়ে দিয়ে এখন নতুন জীবনের পথে এই জুটি।

বিয়েতে দুজনের পোশাক বেশ নজরকাড়া ছিল। পিয়ার পরনে লাল ব্লাউজ এবং হালকা ক্রিম রঙের শাড়ি। পরমব্রত পরেছিলেন হালকা কমলা রঙের পাঞ্জাবি, সাদা পাজামা এবং তার উপর খাকি কালারের জহর কোট। রবিবার মাঝরাতে বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়ে আর তারপর থেকেই টলিপাড়া শুধু নয় বরং বাঙালি মেয়েদের হৃদয়ও থরহরিকম্প।

বিয়েতে ইন্ডাস্ট্রির কোন বন্ধু-বান্ধবকে কেউই নেমন্তন্ন করেননি একেবারে কাছের অতিথিদের নিয়ে সম্পূর্ণ হয়েছে দুজনের আইনি বিবাহ। যদিও সমাজ মাধ্যমে কেউই এখনো বিয়ের ছবি প্রকাশ করেননি।

বাঙালি খাবারেই সেজে উঠেছিল বিয়ের মেনু। ভাত, ডাল, ভাজা, মাছের কালিয়া, মাংস, চাটনি এবং মিষ্টি ছিল পাতে। ২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন অনুপম রায় ও পিয়া। তারপর ৬ বছর দাম্পত্য জীবন কাটিয়ে অবশেষে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় দুজনের। ২০২১ সালের নভেম্বরে বিচ্ছেদের কথা সামনে আসে।

পিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ভেঙে পড়েছিলেন অনুপম। এক সাক্ষাৎকারে তখন তিনি জানিয়েছিলেন যে এটা সবথেকে বড় ক্ষতি তার কাছে। তবে এটাও জানিয়েছিলেন যে এবার তিনি পজেটিভ চিন্তাভাবনা নিয়ে এগিয়ে যেতে চান। তবে এটা তখন স্বীকার করেছিলেন যে বহু মেয়েকে নিয়েই গান লিখেছেন। আর তখনো তিনি জানিয়েছিলেন পিয়া এবং বাকি মেয়েদের নিয়েও গান লিখবেন।