‘তোমার নাটক দেখে দেখে আমরা ক্লান্ত, তুমি চরম স্বার্থপর-নাটুকে লোক’! নীলকে আয়না দেখাল প্রাক্তন শ্বশুর

বর্তমান সময়ে জি বাংলার প্রায় সব ধারাবাহিক‌ই হিট। এর মধ্যে যে ধারাবাহিকটি প্রায় এক বছরের কাছাকাছি সময়ে দাঁড়িয়ে দর্শকদের মনোরঞ্জন করে চলেছে তার নাম ইচ্ছে পুতুল (Icche Putul) ।

আজ প্রায় এক বছরের দোড়গোড়ায় পৌঁছেও এই ধারাবাহিকের সাফল্য কিন্তু দারুণ। বলাই বাহুল্য শুরু থেকে এই সাফল্য একেবারেই ছিল না। শুরুর দিকের গল্প মনে ধরেনি দর্শকদের। কিন্তু পরবর্তীতে যখন গল্পের প্লট পরিবর্তন হয় তখন থেকে এই ধারাবাহিকের কদর বাড়তে থাকে।

এই ধারাবাহিকের অন্যতম অসহ্যকর চরিত্র নায়ক সৌরনীল। তার ব্যবহার একেবারেই নায়কোচিত নয়। দর্শকদের কাছে ভীষণ রকমের মেরুদন্ডহীন, ক্যাবলাকান্ত একটি চরিত্র হলো সৌরনীল। বর্তমান সময়ের গল্প অনুযায়ী এই ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে, ময়ূরী নতুন করে মেঘের ক্ষতি করার ষড়যন্ত্র করে। এইবার সে জিষ্ণুর সঙ্গে নাম জড়িয়ে মেয়েকে নেশাগ্রস্থ প্রমাণ করে তার মান-সম্মান সবকিছু ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা করে।

অন্যরা ফাঁদে পা না দিলেও যথারীতি নোংরা মানসিকতার সৌরনীল সেই ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিয়ে মেঘ আর জিষ্ণুকে কালিমালিপ্ত করে। তার অবিশ্বাসের কারণেই আরও বেশি করে সম্মানহানি হয় মেঘের। বারবার অপরাধ করব আর ফিরে এসে ক্ষমা চেয়ে নেব এটাই ধর্ম সৌরনীলের। তার মধ্যে বোধদয় কোনদিনই হয়নি আর হবেও না।

আর এবার সৌরনীলকে তীব্র অপমান করলেন অনিন্দ্য বাবু।‌এদিনের পর্বে দেখা যায়, মেঘকে অনেক বার ফোন করার পরেও ফোন না তলায় সোজা মেঘের বাড়ি চলে যায় নীল। দরজা খুলে নীলকে দেখে ভীষণ রেগে যান অনিন্দ্য বাবু। নীল বলে, সে দশ মিনিটের জন্য মেঘের সাথে কথা বলতে চায়। সে নাকি ভুল করেছে আর তাই সে ক্ষমা চাইবে। সে মেঘের পাশে থাকবে।

আর নীলের এই সমস্ত নাটুকে কথা শুনে অনিন্দ্য বাবু বলেন, “তোমার এই নাটক আমি আর সহ্য করতে পারছি না। কথা না বাড়িয়ে এখান থেকে চলে যাও। মেঘের জীবনে তুমি একটা জলজ্যান্ত সমস্যা। মেঘের জীবনকে তছনছ করার জন্য তুমি দায়ী।”

Back to top button