স্টার জলসার (Star Jalsa) ‘সন্ধ্যাতারা’ (Sandhyatara) ধারাবাহিকে বিরাট বদল। বদলে গিয়েছে সন্ধ্যাতারার প্লট। লেখিকা সাহানা দত্ত একেবারে উলাটপুরান করেছেন মূল গল্পে। যেহেতু এটি একটি রিমেক ধারাবাহিক তাই আমরা দেখেছি তারা ও নীলের সত্যি জানার পর, নীলকে ডিভোর্স দিয়ে অনেক দূরে চলে যায় সন্ধ্যা।
কিন্তু এক্ষেত্রে আমরা দেখেছি সন্ধ্যা নীল ও তারার থেকে দূরে যেতে চাইলে নীল বুঝতে পারে সে অজান্তেই ভালবেসেছে সন্ধ্যাকে। তাই এবার তাই সন্ধ্যাকে ফিরে মরিয়া হয়ে উঠেছে নীল। এদিকে সন্ধ্যাও এক দুর্ঘটনায় নিজের স্মৃতি শক্তি হারিয়েছে।
একদিকে বিজয়া মাঠান অঙ্কনকে কথা দিয়েছেন তারার সঙ্গে তাঁর বিয়ে দেবেন। অন্যদিকে, সন্ধ্যা বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছে। এই সুযোগে বিয়ের আয়োজন শুরু হয়ে যায়। বাড়ির সবাই তো বেজায় খুশি। কারন তারা জানত তারার সঙ্গে অঙ্কনের বিয়ে হলে বিজয়ার অর্ধেক সম্পত্তি তাঁদের কাছেই থাকবে।
অন্যদিকে, তারা জানে তাঁর মেজদি বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে। আর এই সময় সে কী করে বিয়েটা করবে? আকাশকেও সে কোথাও দেখতে পাচ্ছে না। তারা মনে মনে ভাবে, এই বিয়েটা তাঁকে করতেই হবে। নাহলে, তার মেজদির জীবনটা নষ্ট হয়ে যাবে।
অপরদিকে, সন্ধ্যাকে ফিরিয়ে আনতে তাঁর সঙ্গেই ছুটছে নীল। নীলের থেকে পালাতে গিয়েই সন্ধ্যা গাড়ি থেকে ঝাঁপ দেয়। তখনই মাথায় লেগে স্মৃতি ফিরে আসে সন্ধ্যার। নীলের সঙ্গে তাই শ্বশুরবাড়ি ফিরে এসে বিজয়া মাঠানকে বলেন, “মা এই বিয়েটা থামান! তারার সঙ্গে অঙ্কনের বিয়ে কিছুতেই হবে না। ও একটা বাজে ছেলে। তারা তুই উঠে আয় আমি তোর সঙ্গে ভাল ছেলের বিয়ে দেব।” তারপরই খোলসা হয় আসল রহস্যের। সন্ধ্যা সবাইকে জানায়, বিজয়ের প্রথম স্ত্রীর কথা। আর এই অঙ্কন বিজয়ের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সন্তান।