স্টার জলসার (Star Jalsha) বহুল জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chowwa)। এক শহুরে সুদর্শন ডাক্তার একটি মেয়ের প্রেমে পড়ে। মেয়েটি সাদাসিধে, পরোপকারী, সৎ, এক্কেবারে মাটির মানুষ। নিজের অজান্তেই সেই মেয়েটির এক শত্রু বনে যায়। যে সর্বক্ষণ তার ক্ষতি করতে চায়। গল্পে সেই খলনায়িকা। যে নায়ককে নিজের করে পেতে চায়।
খলনায়িকা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে তাঁর মতো ডাকসাইটে সুন্দরীকে ছেড়ে এই বোকাসোকা মেয়েটাকে ভালবাসতে পারে তাঁর ড্রিম ম্যান। তাই নায়ক-নায়িকার সম্পর্কে সে নানাভাবে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সফল হয় না কিছুতেই। এদিকে ঘটনাক্রমে বিয়ে হয়ে যায় নায়ক-নায়িকার। তারপর থেকেই শুরু হয় আসল খেলা। ধারাবাহিকের গল্পে এই মুহূর্তে যদিও দুজনের মধ্যে দুরত্ব তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে সে। তাঁর ষড়যন্ত্র কাজে লেগেছে শেষমেষ। ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে নায়ক-নায়িকার। এখন চলছে তাঁদের দুই সন্তানদের কাষ্টডি পাওয়ার লড়াই।
সাম্প্রতিক পর্বে দেখা গিয়েছে, দীপার সঙ্গে দেখা করতে এসে, রাস্তাতে মিশকার গাড়ির সাথে ধাক্কা লেগে রূপার অ্যা’ক্সি’ডে’ন্ট হয়ে যায় রুপার। ভাগ্যক্রমে, দুর্ঘটনা স্থলেই উপস্থিত ছিলেন অর্জুন। যদিও মিশকাকে অর্জুন দেখতে পায়নি। তবে অর্জুন রূপাকে কোলে করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। রুপার এই মুহূর্তে অবস্থা এখন অত্যন্ত সঙ্গীন। রুপার দরকার AB নেগেটিভ ব্লাড গ্ৰুপ। যা পাওয়া খুব দুষ্কর।
আরো পড়ুন: নতুন ধারাবাহিক ‘চাওয়া পাওয়া’র হাত ধরে জনপ্রিয় এই চ্যানেলে ফিরতে চলেছেন বহুল প্রতিক্ষিত জুটি! কারা জানেন?
নেট মাধ্যমে এই পর্বের ঘটনা চাউর হতেই সিরিয়ালপ্রেমী এক নেটিজেন লিখছেন, ‘রুপার এই রক্তের গ্ৰুপ কার সঙ্গে মিলবে জানি না, কিন্তু মেডিকেল সায়েন্স অনুযায়ী, এই প্রকার রক্ত এই মুহূর্তে খুব সহজে মিলতে পারে বাবা অথবা মায়ের সঙ্গে।’
ওই নেটিজেনই আরও লিখছেন, ‘গল্পের প্রয়োজনে শেষ পর্যন্ত রুপার ব্লাড গ্ৰুপ কার সাথে মিলবে জানি না, কিন্তু সন্তানের জীবনে বাবার সব ভূমিকা যে মা পালন করতে পারে না, আবার অর্জুন যতই সোনা রুপার প্রতি যত্নশীল হোক না কেন, কিছু জায়গা শুধুই সূর্যর। অর্জুন কখনোই সেই জায়গা নিতে পারবে না। আবার সূর্য চাইলেও সেই জায়গা কখনোই কারো কাছে ছেড়ে দিতে পারবে না সেটা হয়তো কিছুটা বোঝা যাবে।’
প্রসঙ্গত, রুপার রক্তের গ্ৰুপ যার সঙ্গেই মিলুক। যেই রুপার বন্দোবস্ত করুক। এই ঘটনার পর নেট মাধ্যমে সূর্যের ভূমিকার যে চুলচেরা বিশ্লেষণ হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সম্ভবত, রুপার এই অ্যাক্সিডেন্টের ফলে সোনা-রুপার জীবনে সূর্যর জায়গাটা ঠিক কী সেটা একটু হলেও স্পষ্ট হতে পারে।