বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে কাটিয়ে ফেলেছেন ১৭টা বছর। সিনেমা, ওয়েব সিরিজেও কাজ করে ফেলেছেন একটু একটু। ছোটপর্দায়ও তাঁর জনপ্রিয় তুঙ্গে। তিনি হলেন অভিনেত্রী অঙ্কিতা চক্রবর্তী (Ankita Chakraborty)। সম্প্রতি তাই বাংলা ধারাবাহিকের গণ্ডি পেরিয়ে হিন্দি টেলি জগতে নিজের পা জমানোর চেষ্টা করছেন। এই মুহূর্তে তাঁকে দেখা যাচ্ছে হিন্দি ধারাবাহিক ‘ঝনক’-এ। সেই সূত্রে স্বামী প্রান্তিক ও কলকাতার একটু সংসারের থেকে খানিক দূরে মুম্বাইয়ে কাটছে অভিনেত্রী দিনযাপন।
বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মধ্যে হিড়িক রয়েছে বাংলার বাইরে গিয়ে কাজ করার। যতদিন যাচ্ছে সেই হিড়িকটাও বেড়ে যাচ্ছে। খোদ অভিনেত্রী অঙ্কিতাই বাংলা ছেড়ে কাজ করছেন হিন্দিতে। দিন দিন কেন এই প্রবণতা বাংলার শিল্পীদের? এই নিয়েই খুল্লামখুল্লা আলোচনায় অভিনেত্রী অঙ্কিতা চক্রবর্তী। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে সাফ জানালেন মূলত কারণে অভিনেতারা পাড়ি দিচ্ছেন মায়ানগরীর উদ্দেশ্যে।
অভিনেত্রীর কথায়, প্রথমত নিজের কেরিয়ারগ্রাফটা উঁচুতে নিয়ে যাওয়ার জন্য অভিনেতারা পাড়ি দেন মুম্বাইয়ে কাজ করতে। জাতীয় মাধ্যমে শুধু পরিচিতি এনে দেয় না। সঙ্গে পান মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক। আমরা কে না চাই একটু ভালো জীবনযাপন করতে। আর সেই ঝা চকচকে জীবন ধরনের জন্য প্রয়োজন অর্থের।
অভিনেত্রী বলেন, “আমার ক্ষেত্রে কেরিয়ারগ্রাফটা উপরে তোলাই একমাত্র কারণ নয়। এক রকমের চরিত্র করতে করতে আমার একঘেয়ে লাগছিল। একজন অভিনেতার কোনো দেশ হয়না, ভাষা হয়না। সে যেখানেই যান, তিনি অভিনয় করতে গিয়েছেন। সুতরাং বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগও মুম্বাই আসার অন্যতম কারণ।
অপরদিকে, বাংলা ইন্ডাস্ট্রির একটি রোগ হল কোনো অভিনেতা যখন একটি চরিত্র ভাল করছে, তখন তাঁকে সেই রকমই চরিত্র দিয়ে যাওয়া। তখন অভিনেতারা অন্য ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে পারে না। কাউকে হয়ত একই ধরনের চরিত্র করার জন্য বাদ দেওয়া হয় ধারাবাহিক থেকে। তাই অর্থ, যশ, জাতীয় পরিসরে খ্যাতি ও মনপসন্দ চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ, মায়ানগরীর প্রতি টান ধরে রাখে অভিনেতাদের।
প্রসঙ্গত, থিয়েটার থেকেই অভিনয় দুনিয়ায় হাতেখড়ি অঙ্কিতার। বাংলা ধারাবাহিক ‘ইষ্টি কুটুম’-এ একটানা ৪ বছর অভিনয় করেন অঙ্কিতা। এই ধারাবাহিকে তাঁর ‘কমলিকা’ চরিত্রটি দর্শক মহলে দারুণভাবে সাড়া ফেলেছিল। পরিচালক অঞ্জন দত্তের সঙ্গেও একাধিক প্রোজেক্টে কাজ করেছেন অঙ্কিতা। বরাবরই তাঁর পরিচিতি টেলি পাড়ার সেনসেশনাল অভিনেত্রী হিসেবে।