বর্ষবরণের দিন কি ইচ্ছে করেই বাড়ি ফেরেনি দুর্জয়? ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করতেই রাণী বুঝতে পারে অনিশার সঙ্গে রয়েছে দুর্জয়। দুর্জয়কে কি সব ওষুধ খাইয়ে ছক করে নিজের বাংলো বাড়িতে নিয়ে এসেছে অনিশা। তাই সে বেরিয়ে পড়ে স্বামীর খোঁজে। তারপরই প্রকাশ্যে আসে স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘তোমাদের রাণী’ (Tomader Rani) ধারাবাহিকে টান টান পর্ব।
দেখা যায় বর্ষবরণের রাতে অনিশার বাড়ি থেকে দুর্জয়কে হাতেনাতে ধরতে আসে রাণী। মদ্যপ অবস্থায় অনিশার সঙ্গে সময় কাটিয়েছে তার বর। ভাবলেই মনটা কষ্টে ভরে যাচ্ছে। বাড়ি ফিরে এলে, সত্বর রাণীকে দুধ বিস্কুট খেতে বলে বলেন ড. উর্মি। এই সময় খালি পেটে বেশিক্ষণ থাকা একেবারেই উচিত নয়। এমন সময় বিনায়ক এসে রাণীকে জিজ্ঞেস করে সে কোথায় ছিল? দুর্জয়ই বা কোথায়?
আরো পড়ুন: মায়ের পছন্দের মেয়েকে বিয়েতে মত দিয়েছে শতদ্রু! এখন আর শতদ্রু, পরাগ কেউ নয়! তাহলে শিমুলের নায়ক কে?
শ্বশুর-শাশুড়িকে সে বলে, “আপনাদের ছেলে একেবারে ঠিক আছে। সময় হলেই বাড়ি ফিরে আসবে।” রাণীর মুখে এই কথা শুনে খটকা লাগে শুক্লার। সে জিজ্ঞেস করতে থাকে রাণীকে কি হয়েছে? রীতম তখন শান্ত করে শুক্লাকে। আমি গিয়েছিলাম রাণীর সঙ্গে। একটু ধৈর্য ধরো, তারপর সবটা জানতে পারবে।
তখনই ফিরে আসে দুর্জয়। রাণী তাকে দেখে মুখ ঘুরিয়ে চলে যেতে চায়। বাড়ির সকলের সামনে এসব নিয়ে আলোচনা করতে চায় না সে। তখন দুর্জয় রাণীকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করে সে কি ভাবছে দুর্জয় তাকে ঠকিয়েছে? রাণী বলে, যা দেখার সে চোখে দেখে এসেছে। এরপর আর কারোর কিছু বলার থাকে না।
View this post on Instagram
এদিকে রাণী ঠিক কি বলতে চাইছে বুঝতে পারে না দুর্জয়। বাড়ির কেউই বুঝতে পারছে না রাণী কেন অহেতুক ঝামেলা করছে। বাকবিতণ্ডার মাঝেই রেগে ঘুসি মারে দুর্জয়। হাত কেটে গলগল করে রক্ত ঝরতে শুরু হয়। তখন শুক্লা দোষ দিতে থাকে রাণী। এদিকে পিঙ্কি মনে মনে ভাবে বছরের শুরুতে কি ঝামেলাটাই না লেগেছে। অনিশা দারুণ প্ল্যান করেছে।