ভাঙবে তবু ম’চকাবে না! ‘আমি জেলে গেলেও, হা’তিয়ার তৈরী হচ্ছে সেনগুপ্ত বাড়িতেই!’ মিশকার কথা শুনে চমকে উঠল লাবন্য

অনুরাগের ছোঁয়ার (anurager chhowa) গত কিছু পর্বে দেখা যাচ্ছে নিজের রাস্তা পরিষ্কার করতে, মাত্র ছয় বছরের ছোট্ট শিশু রূপাকে গাড়ি চাপা দিয়ে মা’র’তে চায় মিশকা। রূপাকে মা’র’তে একবারও হাত কাঁপেনি তার। এর আগেও মিশকা বহুবার চেষ্টা করেছিল সোনা, রূপা ও দীপাকে মে’রে ফেলার। কিন্তু কোনওবারই সফল হয়নি সে।

সূর্যকে নিজের করে পেতে গেলে তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে রাস্তা থেকে সরাতে হবে, এমনটাই চিরকাল মনে করে এসেছে মিশকা। তাই নিজেই ছক কষে রূপাকে গাড়ি চা’পা দেওয়ার ব্যবস্থা করে সে। এর ফলে রূপার সঙ্গে বড় একটি দুর্ঘটনা ঘটে। কিছুদিন কোমায় চলে গিয়েছিল সে। তবে, মা’রা যায়নি।

আরো পড়ুন: প্রেম জমে ক্ষীর! শিকল টেনে ট্রেন থামিয়ে নীলের দিল্লি যাত্রা ভঙ্গ করলো মেঘ! রোম্যান্টিক পর্ব আসছে

এমন অবস্থায় দীপা মিশকার বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা দায়ের করে। যখন প্রমাণের অভাবে কোর্টের মামলা প্রায় জিতেই যাচ্ছিল মিশকা, ঠিক তখনই রূপাকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে কোর্টে নিয়ে আসে অর্জুন ও দীপা। এমন সময় রূপার সাক্ষীতে মামলার রায় শোনান বিচারপতি।

১০ বছরের কারাদন্ড হয় রূপার ‘পচা আন্টির’। রায় শুনে খুশি হয় সেনগুপ্ত বাড়ির প্রত্যেকে। জেলে নিয়ে যাওয়ার সময় রত্না দেবী তাকে ‘ডা’ই’নি, রা’ক্ষ’সী’ বলে টোন কাটে, আর সেটা শুনেই দাঁড়িয়ে যায় মিশকা। আর দীপাকে দেখে সে বলে যে সে আবার ফিরে আসবে। উত্তরে লাবন্য বলে, সে যাতে আর কোনওদিন জেল থেকে না ছাড়া পায় তার ব্যবস্থা করবে লাবন্য।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Star Jalsha (@starjalsha)

ভয় পাওয়া তো দূর লাবন্যের এই কথা শুনে হেসে মিশকা জানায় তারা কিছুই করতে পারবে না। কারণ মিশকা জেলে গেলেও তার ছেলে ‘বীর’ আছে সেনগুপ্ত বাড়িতে। ছেলেকে হাতিয়ার বানিয়ে খেলাটা মিশকার কাছে নতুন কিছু নয়। নিজের কথা দিয়ে সে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেয় যে বীরের গায়েও মিশকারই রক্ত বইছে। তাই, সে এই সব কিছুর বদলা নেবেই। মিশকা এত বিশ্বাস দেখে চমকে উঠলো লাবন্যও।