পাখির চোখ সেনগুপ্ত বাড়ি! ভিক্টর-জয়ের বাড়ি বিক্রির পরিকল্পনা কী ভেস্তে দিতে পারবে দীপা?
সূর্য, দীপা আর মিশকার ত্রিকোণ প্রেম আর সম্পর্কের টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে এগিয়ে চলেছে স্টার জলসার (Star Jalsha) ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chowwa)। এই মুহূর্তে ধারাবাহিকের গল্পে, মিশকার ষড়যন্ত্রে আলাদা হয়েছে সূর্য, দীপা। একে অপরকে কাছে পেতে চাইলেও এখন তাদের মধ্যে সবটাই দূরত্ব আর ভুল বোঝাবুঝি।
বিবাহ বিচ্ছেদের পর দুই মেয়েকে নিয়ে আলাদা থাকছে দীপা। সেনগুপ্ত বাড়ি ছেড়ে একটি বারোয়ারি ভাড়া বাড়িতে উঠেছে সে। একা মা হওয়ার জীবন যুদ্ধে জেরবার সে। একদিকে দুই মেয়েকে মানুষ করার দায়িত্ব। অন্যদিকে, বিরল রোগে আক্রান্ত রূপার চিকিৎসার দায়িত্ব, সব একা হাতে সামলাচ্ছে সে। এদিকে সূর্য দায়িত্ব কাঁধ থেকে ঝেড়ে ফেলে, হাত গুটিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামে রোগীদের চিকিৎসা করে দিন কাটাচ্ছে।
অপরদিকে, দীপা রীতিমতো দুই মেয়ে, পরিবার সবকিছু নিয়ে জেরবার। এই মুহূর্তে ফুলের ব্যবসার পাশাপাশি অর্গ্যানিক পারফিউম তৈরির ব্যবসা শুরু করেছে সে। বাগদেবীর পুজোর শুভক্ষণে পাড়ার বেশ কয়েকজন মহিলাকে শুরু করেছে ঘরোয়া ব্যবসা। নাম দিয়েছে দীপা’স। এই নিয়ে ব্যস্ত বাড়ির সকলে।
তোড়জোড়ের মধ্যেই তিস্তা এসে হাজির হয়েছে দীপার বাড়িতে। উদ্দেশ্য ভিক্টরের বাড়ি বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা দীপাকে জানানো। সে চায় না সেনগুপ্ত বাড়ি বিক্রি হয়ে যায়। আর ভিক্টরের বাড়ি বিক্রি করার পিছনে নিশ্চয় কোনো অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে। কিন্তু তিস্তার পিছু পিছু সেখানে হাজির হয় ভিক্টর। বাড়ি বিক্রির কথা আর ভিক্টরকে বলতে পারেনা তিস্তা।
কিন্তু তিস্তার মনের কথা বুঝতে পেরে দীপার বাড়িতেও সকলের আড়ালে গিয়ে তিস্তার গায়ে হাত তোলে ভিক্টর। বউদিদির সঙ্গে যাতে একেবারে কথা না বলতে পারে, তাই জন্য তিস্তাকে একটি মাইকও দিয়ে যায় ভিক্টর। দীপাকে একটুও জানতে দেওয়া চলবে না। জানলেই ভিক্টরের পরিকল্পনা ভন্ডুল হবে। দীপা তিস্তাকে এসে জিজ্ঞেস করলেও উত্তর দিতে পারে না সে।