জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Madhu)। উত্তর কলকাতার একান্নবর্তী বনেদি পরিবারের বড় ছেলে সৃজন। বরাবরই তার ও তার ভাই অয়নের মধ্যে রেষারেষি।ছোটবেলা থেকে তাই সৃজনের ছোটবড় ক্ষতি করার প্রবণতা রয়েছে।
তবে এবারে তার কাজ ক্ষমাযোগ্য নয়। নিজের ছেলে হলেও জেঠুমণি অয়নকে দত্ত বাড়ি থেকে বের করে দিতে চায়। সঙ্গে তার বউ মৌমিতাকেও। ঈশাকে তারা দুজন দিনের পর দিন সাহায্য করে এসেছে। দত্তবাড়ির যাবতীয় সর্বনাশের জন্য দায়ী তারা। এবার তাদের দোষ ক্ষমার অযোগ্য।
ঈশার কুকর্মে বরাবর তাকে সাহায্য করে এসেছে অয়ন আর মৌমিতা। শুধু পর্ণা আর সৃজনকে আলাদা করা নয়। দত্ত বাড়ির পারিবারিক ব্যবসা ‘শাড়ি কথা’-ও তছনছ করতে শামিল হয়েছিল দুজন। তবে পর্ণা বারবার জেঠুকে বলতে থাকে, অয়ন আর মৌমিতা বাড়ির লোক। ওরা নিজেদের ভুল বুঝতে পারবে। ওদের জন্য কোনো কঠোর পদক্ষেপ না করলেও চলবে। তবে নাছোড়বান্দা জেঠু।
এদিকে, জেঠুকে রাজি না করাতে পেরে পর্ণাই অয়ন আর মৌমিতার থাকার ব্যবস্থা করে ফেলে। অয়ন আর মৌমিতা চলে গেলে, কাছাকাছি আসে পর্ণা আর সৃজন। ভালোবাসার মাসটা লড়াই করতে করতে কেটেছে। একটুও একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোর অবসর পায়নি দুজন।
পর্ণা আর সৃজন ঘরে যখন একান্তে সময় কাটাচ্ছে তাদের ঘর থেকে গানের আওয়াজ আসতে দেখে সৃজনের মা ভাবে ছেলেকে তো নিজের করেই নিয়েছে। এবার একে একে শ্বশুরবাড়ির সবাইকে নিজের দিকে টানছে পর্ণা। যদি সৃজনের বাবা পর্ণার কথা শুনে কৃষ্ণাকেও বাড়ি থেকে বের করে দেয়! দত্ত বাড়িতে পর্ণার জনপ্রিয়তা বাড়তে দেখে উদ্বিগ্ন কৃষ্ণা।