আত্মসম্মান না থাকলে সেই সম্পর্কে থেকো না! মেঘ হয়ে যেয়ো না! মেয়েদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন তিতিক্ষা

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ইচ্ছে পুতুল (Icche Putul)। ধারাবাহিকটি শুরু থেকেই জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল অনেক কিন্তু মাঝে ধারাবাহিকটি হারিয়ে ফেলে তাদের জনপ্রিয়তা তবে টিআরপি একদম মনে যায়নি ধারাবাহিকের। এই ধারাবাহিকটিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী তিতিক্ষা দাস, মৈনাক ব্যানার্জী, শ্বেতা মিশ্র, স্বস্তিকা গুহ ঠাকুরণ, সোমা ব্যানার্জী এবং কৃষ্ণকিশোর মুখার্জী। ধারাবাহিকের মুখ্য অভিনেত্রী তিতিক্ষা দাস।

এটাই তার প্রথম ধারাবাহিক। তার চরিত্রের নাম মেঘ। বড় দিদি ময়ূরী বেঁচে আছে তার রক্তে। তবে ময়ূরী কোনও কালেই ভালোবাসেনি মেঘকে। সর্বদাই চেষ্টা করেছে তাকে ছোট করার। তবে ভাগ্যক্রমে দুই বোনেই ভালোবেসে ফেলে অধ্যাপক নীলকে। নীলও ওদিকে ভালোবাসে মেঘকে আর সেই কারণেই দিদি ময়ূরীর মনে বোনের প্রতি জন্মায় হিংসা, সেখান থেকে শুরু গল্প। তিতিক্ষার ধারাবাহিকে চরিত্রটি খুব সাধারণ এবং সহজসরল মেয়ের।

খুব বেশি জামেলা ঝগড়ায় থাকে না সে। দিদি তাকে যতই কষ্ট দিক অসম্মান করুক সে কখনই দিদি খারাপ বা ক্ষতি চায়নি। কিন্তু সে কখনই সেখানে অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করে নিতে। তার বাপি তাকে শিখিয়েছে লড়াই করতে হবে। প্রত্যেকটি মেয়েরই প্রয়োজন জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার। তাই তাকেও সে আদর্শে বড় করেছেন তিনি। মেঘের চরিত্রেও দেখা যায় সেরকমই বৈশিষ্ট্য। মেঘ সবসময়েই চেষ্টা করেছে সবটা সামলে চলার কিন্তু যখন সে বুঝতে পারে ব্যানার্জী বাড়িতে তার পরিবার।

বিশেষ করে নীল, তার শাশুড়ি মীনাক্ষী এবং গিনি তার সম্মানে আঘাত হানছে বারবার। মেঘ বেরিয়ে আসে তার শশুরবাড়ি ছেড়ে। তিতিক্ষার নাকি বাস্তব জীবনেও অনেকটা মেঘেরই মতো। তিনি জানিয়েছেন যে তিনি মনে করেন প্রত্যেকটি মেয়ের কাছেই আত্মসম্মান থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ন। জীবনে বা পরিবারেও সমস্যা আসলে ততটাই সমঝোতা বা ধৈর্য রাখা প্রয়োজন যতক্ষণ না কেউ তোমার সম্মানহানি করছে।

তিনি বলেছেন “প্রতিটি মেয়ের উদ্দেশ্যেই বলছি আত্মসম্মান থাকলে, সেটা যেই সম্পর্ক হোক না কেন, থাকা উচিত নয়। আমি বলছি না ডিভোর্স করে নাও। আমাকে ভুল বুঝবেন না তবে যদি মনে হয় সম্মান নেই। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে গিয়ে আত্মসম্মানই হারিয়ে যাচ্ছে। তবে থেকো না সেখানে সেটা উচিতও হবে না কারণ এইভাবে সম্পর্ক থাকে না।” মেয়েদের উদ্দেশ্যে বলা এই বার্তাটি দেখে খুশি সকলেই।