জি বাংলায় (Zee Bangla) ২০২৩ সালের ২৭ শে নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ধারাবাহিক মিঠিঝোরা (Mithjhora)। ধারাবাহিকটিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরাত্রিকা মাইতি, দেবাদৃতা বসু, সপ্তর্ষি রায়, স্বপ্নীলা চক্রবর্তী, পৌষালি গোস্বামী, অনিরুদ্ধ গুপ্ত, পূজা বণিক, ত্রমিলা ভট্টাচার্য প্রমুখ কলাকুশলীরা। ধারাবাহিকটি শুরু হয়েছিল তিন বোনের কাহিনী দিয়ে অর্থাৎ রাইপূর্ণা ওরফে রাই, নীলাঞ্জনা ওরফে নীলু এবং তিলোত্তমা ওরফে স্রোত। তিন বোনই একে অপরকে ভালোবাসত নিজের প্রাণের চেয়েও বেশি। বাবা মা আর দুই বোনকে নিয়েই ছিল রাইয়ের ছোট জগৎ।
তবে হটাৎ রাইয়ের জীবনে আসে শৌর্য্য। শৌর্য্য পছন্দ করত রাইকে। তাই সে স্বপরিবারে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে রাইয়ের বাড়িতে। রাইও খুব খুশি এই বিয়ে নিয়ে তবে আশীর্বাদের দিন থেকেই নীলুকে নিয়ে শুরু হয় সমস্ত। নীলু দেরি করে ফিরছে, এটা ওটা নিয়ে অসন্তুষ্ট শৌর্য্যর পরিবার। তবে বিয়ের দিন নীলু আসছে না দেখে বিয়ের মণ্ডপ থেকে তাকে খুঁজতে চলে যায় রাই। সেটা দেখে শৌর্য্যর পরিবার বিয়ে ভেঙে দেওয়ার কথা বলে এইসব চিন্তা করেই অসুস্থ হয়ে গত হন রাইয়ের বাবা। পরিবারের ভার সামলাতে, মা এবং বোনের খেয়ালর রাখার জন্য নীলুর সঙ্গে শৌর্য্যর বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাই।
বিয়ের পর ধীরে ধীরে নীলু শৌর্য্যকে ভালোবাসতে শুরু করলেও শৌর্য্য মনে থাকে শুধু রাই। শৌর্য্যর বাবা অসুস্থ হয়ে পড়লে রাইকে আনতে চলে যায় শৌর্য্যর মা। যেটা দেখে রেগে যায় নীলু। তারপর রাই ওই বাড়িতে থাকতে শুরু করলে রাই আর শৌর্য্যর মেলামেশা বা কথা বলা কিছুই মেনে নিতে পারেনা নীলু। শৌর্য্যকে সে ধমকি দেয় সে একদিন আফসোস করবে। এইসব দেখেই রাই শৌর্য্যকে বল সে অন্যকাউকে ভালোবাসে। হতাশায় শৌর্য্য চলে যায় নীলুর কাছে এবং তাকে বলে তারা এবার থেকে একসঙ্গে সুখে থাকবে।
তবে ধারাবাহিকের কাহিনী নিয়ে বর্তমানে ক্রুদ্ধ নেটিজেনরা। তাদের দাবি অবিলম্বে বন্ধ কর হোক ধারাবাহিক মিঠিঝোরা। তাদের মধ্যে অনেকেই বলেছেন “একটি কাহিনী যেখানে যেখানে দিদি নিজের বোনের বিয়ে দিচ্ছে তার প্রেমিকের সঙ্গে তারপর তার বাড়িতে আসে থাকা, বোনের বরের সঙ্গে সময় কাটান আর সেটা দেখে হিংসা করছে তার বোন। এই ধরনের কাহিনী খুবই জঘন্য এবং নিম্নরুচি সম্পন্ন। এই ধরনের কাহিনী দেখলে মানুষের মধ্যে থেকে সম্পর্কের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে তাই ধারাবাহিকটি বন্ধ করা হোক।” আবার অনেকেই দাবি “ এক গেয়েমি কাহিনী, সমাজে খারাপ বার্তা পৌঁছাচ্ছে, অবিলম্বে বন্ধ করা হোক মিঠিঝোরা। জি বাংলার কাছে একটাই অনুরোধ please please আপনারা মিঠিঝোরা বন্ধ করুন ,ভলো লাগেনা দেখতে, দেখলেই মাথা গরম হয়, জি বাংলার জঘন্যতম সিরিয়াল।”
আরো পড়ুন: তুখোড় অভিনেত্রী! নায়িকা হওয়ার অফার ফিরিয়ে দিয়ে খলনায়িকা হয়েছিলেন ‘ময়ূরী’ শ্বেতা! তাকে লিড রোলে কী দেখতে চান?
কিছু মানুষ এত লিখেছেন “এরকম বাস্তবে হয়না, ধারাবাহিক যদি বাস্তব সমাজের প্রতিরূপ হয় তবে এটাও তাদের দায়িত্ব যে তারা এরকম ধারাবাহিক দেখান যেটা দেখে মানুষ ভালো কিছু শিখবে। বোনের ঘর ভাঙা বা নিজের দিদিকে এইভাবে অপমান করা দেখলে মানুষও খারাপই শিখবে।” একজন ব্যক্তি এও লিখেছেন “মনে মনে ঝগড়া ইচ্ছে নদী বা অন্য ধারাবাহিকের দেখেছি তবে সেটা অন্যভাবে ছিল, ভিলেন বোন দিদির সংসার ভাঙছে দেখেছি কিন্তু হিরোইন দিদি নিজেই বোনের সংসার ভাঙছে এবার কেমন আবার সবাই বলে সব নীলুর দোষ। যেখানে জি বাংলা জগদ্ধাত্রীর মতো মেয়েদের এগিয়ে যাওয়ার কাহিনী দেখাচ্ছে সেখানে এইসব দেখলে ধারাবাহিকের মান নষ্ট হয়। জি বাংলার উচিত এখনই মিঠিঝোরা বন্ধ করে দেওয়া।” তাহলে এই বিষয়ে আপনাদের কি মত, সত্যিই কি বন্ধ করা উচিত মিঠিঝোরা?