একে বলে উচিৎ শিক্ষা! অবিনাশকে ফেলে দেওয়ায় নীলুকে বাড়ি থেকে বের করে দিল শৌর্য্য! মিঠিঝোরায় বিরাট চমক

জি বাংলার (Zee Bangla) ধারাবাহিক মিঠিঝোরার (Mithijhora) ধীরে ধীরে বাড়ছে টিআরপি ধারাবাহিকে চলে এসেছে রাইয়ের নতুন বস। এদিকে স্রোতের কলেজেও চলে এসেছে নতুন শিক্ষক। ধারাবাহিকের আজকের পর্দার শুরুতেই দেখা যায় ক্লাস নিচে সার্থক স্যার। তিনি এসে সকলকে নাম প্রেজেন্ট করতে থাকেন। তখনই ক্লাসে চলে আসে স্রোত। সে স্যারকে জিজ্ঞাসা করে আসবে কিনা। তখন তিনি স্রোতকে বলে তাকে আসতে বলা হয়নি তাই সে আসবে না।

সেটা শুনে স্রোত আর কিছুই বলতে পারেনা। ক্লাসের সকলেই তাকে দেখে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। সার্থক স্যারও নাম প্রেজেন্ট করা আবার শুরু করেন তখনই ক্লাসে চলে আসে আর একটি ছেলে। সেও ক্লাস আসার জন্য অনুরোধ করে স্যারের কাছে। তখন প্রেজেন্ট করা বন্ধ করে সার্থক টাকা জিজ্ঞাসা করে তার আসতে দেরি হল কেন? তখন ছেলেটি বলে মেট্রোর সমস্যার কারণে সে সময় মতো আসতে পারেনি। একথা শুনে তাকে ভিতরে আসার অনুমতি দিতে দেয় সার্থক। তখন ছেলেটি স্রোতকে বলে ভিতরে যেতে কিন্তু স্রোত বলে স্যার তাকে যেতে বলেনি।

স্রোত তখন বিরক্ত হয়ে স্যারকে বলে এই ছেলেটি ভিতরে গেল তাহলে সে কেন যেতে পরবে না। তখন সার্থক বলে ওই ছেলেটি ভালো ছাত্র। স্রোতও বলে সেও ভালো ছাত্রী। ওই ছেলের মতো সেও স্কলারশিপ পায়। কিন্তু তার কথা শোনে না সার্থক। স্রোতও বুঝে যায় কালের ঝামেলার জন্য সার্থক ইচ্ছে করে এসব করছে। তখন সার্থক তার কাছে জিজ্ঞাসা করে তার আসতে দেরি হল কেন। স্রোত উত্তরে বলে তার বাড়ির আর্থিক সমস্যার আছে তাই তাকে রোজ অনেকগুলো টিউশন করিয়ে আসতে হয়।

সেই কথা শুনে তাকে আসতে দেয় সার্থক। কিন্তু বলে সে গতকাল যা পড়িয়েছিলেন আজ তার পরীক্ষা নেবে। তখন স্রোত বলে সে কাল আসেনি তাই তার সময় লাগবে। কিন্তু স্যার তার কোন কথা শুনে না। স্রোত বিরক্ত হয়ে চলে যায় ক্লাস থেকে। সকলেই ভাবতে থাকে যেখানে বাকি স্যাররা স্রোতকে ছাড়া ক্লাস করে না সেখানে এই স্যার এরকম কেন করছে। ওদিকে পরে যায় অবিনাশ। সেই আওয়াজ শুনে চলে আসে বাড়ির সকলে। বাবাকে এই অবস্থায় দেখে শৌর্য রাগারাগি করতে থাকে নীলু ওপর। শৌর্য্য বলে এবার যদি রাইয়ের মতো তাকেও বের করে দেওয়া হয়।

নীলু তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে সে কিছুক্ষণের জন্য তার জন্য রান্না করতে গেছিল। কিন্তু কেউই নীলুর কথা শুনতে চায়না। সুচিস্মিতা বলে নীলুকে সে আর সহ্য করতে পারছে না। শৌর্য্যর বোনও বলে সে দায়িত্ব নিয়েও কেন অবিনাশের খেয়াল রাখতে পারেনি। শৌর্য্য নীলুকে বলে সে রাইকে আনতে যাচ্ছে। কিন্তু নীলু তাকে বারণ করে দেয়। তখন শৌর্য্য বলে সে তাকে ভালোবাসে কিন্তু তার কাছে তার বাবা সবার আগে। তখন সে নীলুকে বলে হয় সে যাবে রাইকে আনতে নাহলে নীলু নিজে যাবে রাইকে আনতে। সেই সব কথা চমকে যায় নীলু। যে বুঝতে পারেনা সে কি করবে। কি মনে হয় আপনাদের এবার কি করবে নীলু?