জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠিঝোরা (Mithijhora)। ধারাবাহিকটি শুরুতে ভালো ফলাফল না করলেও ধীরে ধীরে বাড়ছে ধারাবাহিকের টিআরপি। ধারাবাহিকে ইতিমধ্যেই দেখা গেছে বিয়ে করে শৌর্য বাড়িতে চলে এসেছে নীলু। রাইয়ের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হলেও হটাৎ হার্ট অ্যাটাকে রাইয়ের বাবার আকস্মিক মৃত্যুর ফলে পরিবারের হাল ধরতে হয় রাইকে। বোন ভালো থাকবে ভেবেই শৌর্যর সঙ্গে নীলু বিয়ে দিয়ে দেয় রাই।
তারপর বিয়ের পর থেকেই বাড়ির কোনও কাজ ঠিক করে করতে না পারায় কারণে বারবার সুচিস্মিতা কাছে কটূক্তি শুনতে হয় তাকে। অবিনাশ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সুস্থ করার জন্যই রাইয়ের বাড়ি গিয়ে তাকে ডেকে আনে সুচিস্মিতা। কিন্তু শৌর্য বৌদি নীলুর কাছে রাইয়ের আর শৌর্যর ব্যাপারে সন্দেহ ঢোকাতে থাকে। নীলুও রাই আর শৌর্যকে একসঙ্গে দেখে তাদের সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ করতে থাকে।
তবে সম্প্রতি দেখা গেছে নীলুর খারাক ব্যবহারে অতিষ্ট হয়ে শৌর্যর বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে রাই। তারপরই অবিনাশের দেখাশোনা করার সম্পূর্ন দায়িত্ব আসে পরে নীলুর কাঁধে। কিন্তু অবিনাশ ঘুমাচ্ছে আর শৌর্য অফিস থেকে আসবে ভেবে তার জন্য লুচি তরকারি রান্না করতে চলে যায় নীলু। সেই ফাঁকেই বিছানা থেকে পড়ে যায় অবিনাশ। শৌর্য সহ সকলে আসে দোষারোপ করতে থাকে নীলুকে। নানাভাবে অপমান করতে থাকে।
শৌর্য রাইকে বাড়িতে আনতে গেলেও সে আসবে না বলে জানিয়ে দেয় স্পষ্ট। এরপর বাড়িতে এসেই নীলুকে সে জানিয়ে দেয় সে নীলুর সঙ্গে আলাদা সংসার করতে পারবে না। নীলুকে তার সঙ্গে থাকতে হলে তার পরিবারের সঙ্গে থাকতে হবে। তাই নীলুকেই বাড়ির সমস্ত কাজও করতে হবে আর অবিনাশের দেখাশোনাও করতে হবে একা হাতে। সে কথা শুনেই অবাক হয়ে যায় নীলু। এই ধারাবাহিকেই নীলু অর্থাৎ নীলাঞ্জনার চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী দেবাদৃতা বসু।
আরো পড়ুন: সুস্থ হয়ে উঠল রূপা! খুশির হাওয়া বইছে গোটা সেনগুপ্ত পরিবারে! উৎসবে কী যোগ দেবে সূর্য?
ধারাবাহিকে কখন অভিনেত্রীর অভিনয় তো কখন ধারাবাহিকে তার চরিত্রের কারণে ট্রোলের শিকার হচ্ছেন তিনি। ধারাবাহিককে নীলুর চরিত্রে তার অভিনয় দেখে নেটিজেনদের মধ্যে কিছু মানুষ জানিয়েছেন “এ কি রকম অভিনয়! ন্যাকামিতে অস্কার পাওয়া উচিত। হাঁপানি রোগীর মতো অভিনয় করছে। আবার কিছু নেটিজেন বলেছেন “নীলুর চরিত্রটাকে আগে যাও ভালো লাগতো এখন তো যাচ্ছেতাই। এত আদিখ্যেতা করছে শৌর্যকে নিয়ে যে কি বলব।” কিছু মানুষ বলেছেন “এসব কি নাটক! এত সব বলছে আর ওর রিঅ্যাকশন খালি হাঁপানি! পুরো ফেক লাগছে এই জন্যই টিআরপি বাড়ছে না।” তাহলে আপনাদের এই বিষয়ে কি মত, আপনাদেরও কি মনে হচ্ছে নীলুর চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তুলতে ব্যর্থ হচ্ছেন দেবাদৃতা?