পরাগের প্রতি কর্তব্য করতে গিয়ে শতদ্রুকে চরম অপমানে বিদ্ধ করল শিমুল! অসহ্য চরিত্র হয়ে উঠছে মনের কথা দেখে কটাক্ষ নেটিজেনদের

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) চলে এসেছে নতুন চমক। ইতিমধ্যেই বিপাশাকে নিয়ে শিমুল চলে এসেছে পরাগের বাড়িতে থাকতে ভাড়াটিয়া হিসেবে। সেখানেই সে যত্নআত্তি করতে থাকে পরাগের। সেটা দেখে কোথাও না কোথাও খুশি মধুবালা দেবী। তিনি আবারও চাইছে পরাগকে বিয়ে করে শিমুল ফিরে আসুক এই বাড়িতে। পরাগও চাইছে শিমুল তাকে বিয়ে করে তার চাকরিটা করুক।

যদিও সেই বিষয়ে এখনও কিছুই জানায়নি শিমুল। তার ইতিমধ্যেই খাট থেকে পড়ে গেছে পরাগ। বিপাশা, শিমুল, মধুবালা দেবী এবং কাকিমা দিয়ে তোলে তাকে। যদিও পরাগ তাদের বলে যে সে ঠিক আছে কিন্তু তার পরিস্থিতি দেখে তারা সবাই এটা বুঝে যায় যে পরাগ সত্যিই খুবই অসুস্থ। আর এইসব দেখেই চিন্তায় পরে যায় শিমুল। এদিকে শিমুলকে ফোন করে দেখা করতে ডাকে শতদ্রু। শিমুল তাকে জানায় সে দেখা করতে যাবে।

পরেরদিন পরাগকে ওষুধ দিতে যায় শিমুল। তখন শিমুলকে দেখে সে বলে তার আর এই ওষুধ খেতে ভালোলাগছে না। সে আর ওষুধ খেতে চাননা আর কতদিনই বা বাঁচবে সে। কিন্তু এই প্রশ্নের কোন উত্তর তাদের দেয়না শিমুল। সে বলে পরাগ যদি তার হাত থেকে ওষুধ খেতে না চায় তাহলে সে মধুবালা দেবীকে ডেকে নিয়ে আসেবে। সেটা শুনে পরাগ বলে শিমুল বলে নয়, সে আর এই ওষুধ খেতে চায়না। তখন পরাগ শিমুলকে বলে তার চাকরিটা নিয়ে নেওয়ার কথা।

সে বলে তার এখন ছুটি চলছে তবে সেটা তো আর বেশিদিন চলবে না। তাকে যেতেই হবে। আর সে আর কখনও কাজ ফিরতে পারবে না তাই সে চায় তার এই কাজটা শিমুল করুক তাহলে অনন্ত সে চলে যাওয়ার পর মধুবালা দেবী কেউ থাকবে। সেই শিমুলকে বলে সে আর বেশিদিন বাঁচবে না তাই সে চায় তার যাওয়ার পর শিমুল আর মধুবালা দেবী ভালো থাকুন। তখন তাকে শিমুল জানায় সে যদি এটা চায় যে শিমুল তার চাকরি করুক তাহলে তাই হবে। শিমুল তার চাকরি করবে, সে যা যা ব্যবস্থা করতে হয় তাই তাই যেন শুরু করে দেয়।

কথাটা শুনে খুব খুশি হয় পরাগ। সে শিমুলের হাত ধরে কিন্তু শিমুল তার থেকে নিজের হাত সরিয়ে নেয়। তখন পরাগ বলে সে খুব খুশি হয়েছে। তবে শিমুলের চিন্তা নেই সে শিমুলের চাকরিটা পাওয়ার পরই তাকে ডিভোর্স দিয়ে দেবে। তখন শিমুল তাকে বলে সে চুপচাপ বসে আছে কেন? তার তো লিখতে ভালো লাগে তাহলে সে লিখুক, বই পড়ুক। তখন পরাগ তাকে এটা ডাইরি আর পেন দিতে বলে। শিমুল তাকে ডাইরি আর পেন দিয়ে বেরিয়ে যায় আর পরাগ মনে মনে বলে সে তার সমস্ত কথা এখানেই লিখে রাখবে যাতে পরে সেটা কেউ পড়লে বিপাশা করে যে সে কোনও মিথ্যে কথা বলছে না।

আরো পড়ুন: বসন্তে রাইয়ের জীবনে নতুন প্রেমের ছোঁয়া! রাইকে সুখী হতে দেখে কী ভিলেন হবে শৌর্য্য? প্রোমোতে নতুন ঝলক

এদিকে শতদ্রু অপেক্ষা করতে থাকে শিমুলের জন্য। শিমুল আসে শতদ্রুকে দেখে বলে সে বিপাশার কথা শুনেছে কিনা। তখন শতদ্রু বলে সে সবটা শুনেছে। তখন শিমুল তাকে বলে তারা ওই বাড়িতে আছে। শতদ্রু প্রথমে বুঝতে পারেনা শিমুল কিসের কথা বলছে সেটা শুনে শিমুল বলে পরাগের বাড়িতে। সেটা শুনেই রেগে যায় শতদ্রু। সে বলে এত সব হওয়ার পরও কেন তারা ওই বাড়িতে গেছে। শিমুল বলে তার কাছে আর উপায় ছিল না। তখন শিমুল শতদ্রুকে জানায় আরও কয়েকটা মাস তাকে ওই বাড়িতে থাকতে হবে কারণ পরাগের চাকরিটার জন্য তাকে বিয়ে করতে হবে পরাগকে।

সেটা শুনেই আরও রেগে যায় শতদ্রু। সে শিমুলকে জিজ্ঞাসা করে তাহলে তার কি হবে। তখন শিমুল বলে সে তাকে বলেনি বিয়ে ভাঙতে। আর এই পরিস্থিতিতে সে পরাগের পরিবারকে একা ছাড়তে পারবে না সেটা শুনেই অবাক হয়ে যায় শতদ্রু। তাহলে আপনাদের কি মনে হয় শিমুল যা করছে সেটা কি সে একেবারে শিমুল করছে? অসুস্থ পরাগ না এতদিন ধরে তার পাশে থাকা শতদ্রু, কাকে বেছে নেওয়া উচিত শিমুলের?