নীলু সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে গেল শৌর্য্যর! স্রোতের প্রেমে সার্থক স্যার! মিটে গেল সব ঝামেলা! মিঠিঝোরায় বিরাট চমক

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠিঝোরাতে (Mithijhora) ইতিমধ্যেই দেখা গেছে অবিনাশকে শুরু হয়েছে শৌর্য আর নীলুর মধ্যে অশান্তি। নীলু শৌর্যকে বলে যেতে না কিন্তু শৌর্য একদমই নীলুর কথা শুনতে চায়না। শৌর্য বলে তার জীবনে তার বাবার থেকে মূল্যবান আর কেউ নেই। তাই আদ কখনোই তার বাবাকে কষ্ট পেতে দেখতে পারবে না। নীলু তখন তাকে বলে তার মূল্য আছে কিনা তখন শৌর্য বলে এখন যা জনিলু করছে তাতে তাদের সম্পর্ক আরও খারাপ হচ্ছে।

নীলু তাকে বলে শৌর্যর মা কেন তার বাবার যত্ন করছে না। তখন শৌর্য বলে তার মা অনেক করে। তার মা সংসার সামলায় আর বাবারও খেয়াল রাখে তাই যতদিন না একজন ভালো নার্স পাওয়া যাচ্ছে ততদিন শৌর্য নিজেই তার বাবার খেয়াল রাখবে। শৌর্য নীলুকে বল এইভাবে চলতে থাকলে তাদের সম্পর্কে ভাঙন ধরে যাবে। সেটা শুনেই চমকে যায় নীলু। সে শৌর্যকে জিজ্ঞাসা করে তার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে সে কোথায় যাবে রাইয়ের কাছে?

 জি বাংলা, বাংলা ধারাবাহিক, মিঠিঝোরা, Zee Bangla, Bengali Serial, Mithijhora

তখন শৌর্য(Sourjyo) বলে তার সঙ্গে রাইয়ের আর কোন সম্পর্ক নেই। রাই যা করেছে তারপর সে আর তাকে মেনে নেবে না। তবে নীলু যদি এরকম করে তাহলে তাদের সম্পর্কও বেশিদিন থাকবে না। তাই সে যেন বেশি বাড়াবাড়ি না করে। এই বলেই ছে যায় শৌর্য আর নীলু ঘরে বসে বসে কাঁদতে থাকে। ওদিকে স্রোতের জন্য মারামারি করে চোট পেয়েছেন সার্থক(Sarthak)স্রোত(Srot) তার চিকিৎসা করতে গেলে তিনি বারণ করে দেন স্রোতকে। তাই একপ্রকার জোর করে তিনি সার্থককে নিয়ে যায় ডাক্তারের কাছে।

সার্থক রাজি না হলেও স্রোতের জোরাজুরিতে বেশি কিছু বলতে পারে না। ডাক্তারের কাছে যাওয়ায় সময় স্রোত তাকে বারবার করে ধন্যবাদ দিতে থাকে যেই কারণে একপ্রকার বিরক্ত হয়ে সার্থক বলে চুপ করতে। তারপর ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি চিনতে পারেন স্রোতকে। সার্থক ডাক্তারকে জানায় সে আসতে চায়নি কিন্তু স্রোত জোর করে তাকে নিয়ে এসেছে। তারপর ডাক্তার সার্থককে চেক করে বলেন তার প্রেসার অনেক বেশি। তখন সেটা শুনে সার্থক বলে সে জানত না তবে সে এবার থেকে নিজের খেয়াল রাখার চেষ্টা করবে।

আরো পড়ুন: দীপাকে জব্দ করতে ইরাকে নিয়ে সেনগুপ্ত বাড়িতে উঠল কুটিল সূর্য! কাকীয়া করলেন সূর্যর নতুন বৌয়ের ‘বধূবরণ’

তারপর ডাক্তার সার্থককে বলে স্রোত খুব ভাল মেয়ে। কিন্তু সার্থক কিছুই বলেন না। ডাক্তার তাকে রিপোর্ট নিয়ে কাল আসতে বললে সার্থক বলে সে চেষ্টা করবে কিন্তু স্রোত বলে সে আসে দেখিয়ে যাবে। তারপর নিজে একটা ওষুধ ছিঁড়ে সার্থককে দেয়। সার্থক তাকে বারন করলেও পরে যেই দেখে ওষুধটা নষ্ট হবে তখন সে খেয়ে নেয়। তারপর স্রোত তাকে বলে যদি তাকে অন্য মেয়ে ভেবে তিনি বাঁচিয়েছেন তখন স্রোতকে চুপ করতে বলে সার্থক। পরেরদিন কলেজে সকলে এই বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে থাকে। তখন স্রোতকে তার বান্ধবী বলে সার্থককের প্রাক্তন প্রেমিকাও তার মতো ছিল কিন্তু পরে তাকে ছেড়ে চলে গেছে তাই সে এরকম হয়ে গেছে। সবটা শুনে আর কিছু বলে না স্রোত। তাহলে কি স্রোত আর সার্থকের দূরত্ব মিটবে এবার?