বাংলা বিনোদন জগতের অত্যন্ত জনপ্রিয় মুখ তারা। অভিনয় হোক ব্যাক্তিগত জীবনে তাদের মিষ্টি মধুর সম্পর্ক সকলের সামনে ফুটে উঠেছে বারবার। সম্প্রতি এই তারকা জুটি একসঙ্গে ক্যামেরা বন্দী হয়েছেন নোয়ার আড্ডায়। সেখানেই তারা জানিয়েছেন নোয়া তাদের পরিচিতি। তাদের সম্পর্ক খুঁটিনাটি নিয়ে। আমরা কথা বলছি অভিনেতা সপ্তর্ষি মৌলিক (Saptarshi Moulik) এবং সোহিনী সেনগুপ্ত (Sohini Sengupta)।
সেখানেই তাদের সাক্ষাৎকার নিতে চলে গিয়েছিলেন সাংবাদিকরা। তাদের নোয়ায় এসে কেমন লাগছে জিজ্ঞাসা করতেই অভিনেতা সপ্তর্ষি মৌলিক জানিয়েছেন “আজকে আমার আসার মূল কারণটা হচ্ছে সকলের সঙ্গে দেখা করা। যদিও নিজের জার্নি তো বলবো কিন্তু যারা আসছেন সকলেই কাছের তাদের সঙ্গে আড্ডা, খাওয়াদাওয়া এটাই আসল।” অভিনেত্রী সোহিনী সরকার জানিয়েছিল “আমার এখানে আসা লীনা দির সঙ্গে দেখা করার জন্য, অনেকদিন দেখা হয়না। আর অনুসূয়া দি বলেছিলেন এখানে খুব ভালো শাড়ি পাওয়া যায়। আর এখনকার খাবার।”
অভিনেত্রী জানিয়েছেন তার সমস্ত আবদারই থাকে তার বাবা আর সপ্তর্ষির কাছে। যদিও তিনি বলছেন “প্রতিবছর লীনা দিও আমায় একটা শাড়ি দেয়। আমার যত ভালো সিল্কের শাড়ি সব আমার বাবা দিয়েছেন। এছাড়াও গতবছর লীনা দি আমায় ঘরে বাইরে একটা শাড়ি পড়েছিলেন সেরকম। আর আবার শাশুড়ি মায়ের বুটিক আছে তো এরকমই চলে আমার।” সোহিনী অভিনেতার অভিনয়ের জীবন সম্পর্কে বলেছেন “আমি যখন ওকে প্রথম দেখেছিলাম তখন দেখতাম ও চুপচাপ বসে থাকত আমি ভাবতাম কি না কি ভাবছে। পরে বুঝলাম ও সব লক্ষ্য করে। কিন্তু ও প্রথম থেকেই খুব কনফিডেন্ট। খুব তাড়াতাড়ি পড়তে পারে এবং বুঝতে পারে।”
তিনি এও জানিয়েছেন “ও খুব সুন্দর শব্দ বুঝতে পারে। পরবর্তীতে আমাদের অনেক স্ক্রিপ্ট লিখেছেন ও। ওর শব্দ চয়ন খুব ভালো এবং সেগুলোকে বারণ ব্যবহার করতে পারে। স্টাইল করতে পারে। দলের সবটা করে।” অভিনেতা খানিকটা লজ্জা পেয়ে জানিয়েছেন “আমার তখন কিছুর ভয় ছিল না। তাই আমি জিজ্ঞাসা করেই যেতাম।’ তবে একসঙ্গে কি ধারাবাহিককে নিজেদের কাজ দেখেন আপনারা? অভিনেতা বলেছেন তারা তাদের ধারাবাহিক বা কোন কাজ দেখেন না খুব একটা বিশেষ কিছু করলে দেখতে বলেন তিনি সোহিনীকে। তারা বেশিরভাগ সময় নেটফ্লিক্স দেখেন।
আরও পড়ুন: মন ভাঙবে সোনামণি ভক্তদের! পর্দায় ফেরার ইঙ্গিত দিয়েও চলছে টালবাহানা! তবে কী বাতিল হয়ে গেল অভিনেত্রীর ধারাবাহিক? জেনে নিন
অভিনেত্রী সোহিনী নিজের বিষয়ে জানিয়েছেন “আমার খারাপ দোষ হল আমি নিজের কোন কাজ দেখিনা। যেটা কিছু কিছু সময় উচিত। কিন্তু আমি করিনা আমার একটাই অভ্যেস।” তবে অভিনেত্রী স্বীকারোক্তি জানিয়েছেন তার মা ছিলেন তার সবচেয়ে বড় শিক্ষক। তিনি কখনও মিথ্যে বলেন না ভালো হলে ভালো খারাপ হলে খারাপ। অভিনেত্রী জানিয়েছেন তার মা তাকে শ্রীময়ী দেখে তাকে বলেছিলেন তার থেকে সপ্তর্ষি ভালো অভিনেতা।
