জনপ্রিয় টেলি ধারাবাহিক (Tele Serial) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chhowa)। স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিকের মধ্যে অন্যতম দীপার জীবন সংগ্রামের গল্প। টিআরপি (trp) তালিকার প্রথম পাঁচে মাথা গলাতে না পারলেও, জি-এর (Zee Bangla) স্লট প্রতিদ্বন্দ্বী মিঠিঝোরাকে (Mithijhora) জোড় টক্কর দেয় এই ধারাবাহিক।
বর্তমানে ধারাবাহিকের গল্পে, বধূ নি’র্যা’ত’নে’র অপরাধে জেলবন্দি ভিক্টর। অর্জুনের মনে জায়গা করে নিতে ছোট ছেলে ভিক্টরের অন্যায় বরদাস্ত করেনি পৃথা। নিজেই ছেলের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে থানায়। তবে এদিকে হুজুগে মোক্ষম চালটাও চেলে ফেলেছে সে। অর্জুনকে বলে দিয়েছে সেই অর্জুনের জন্মদাত্রী মা।
পৃথা দেবীর একথা শুনে মুষড়ে পড়ে অর্জুন। বাড়ি ফিরে কোনো কথা না বলে নিজের ঘর বন্ধ করে মুখ গুমরে পড়ে থাকে। তবে সোনা-রূপার ডাক উপেক্ষা করার ক্ষমতা তার নেই। অর্জুনকে কাঁদতে দেখে নিজের হাতে খাইয়ে দেয় তারা। অর্জুনও ছোট্ট দুটো মেয়ের ভালোবাসা পেয়ে আপ্লুত। যে মানসিক কষ্ট ও টানাপড়নের মধ্যে দিয়ে অর্জুন চলেছিল আর নিমেষে শেষ হয়ে যায়।
তবে আচমকা অহনা এসে হাজির। অহনা অর্জুনের ছোট বোন। অহনা যখন কোলের শিশু তখন এই অহনা আর দুই ছেলেকে ফেলে চলে যান পৃথা দেবী। অহনা বলে, “হাজার হোক! উনি আমাদের মা। ভুলতো মানুষ মাত্রেই হয়। তবে সেইটা বুঝে যখন ফিরে এসেছে তখন…” অহনার মুখের কথা শেষ হয় না থামিয়ে দেয় অর্জুন।
এদিকে, পৃথা দেবীও নানা কথা বলে নিজেকে ঠিক প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লাগে। অর্জুনের বাবার উপর দোষ দেয় সে নাকি পৃথার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত। তাই সব ছেড়ে দূরে গিয়ে নিজের মতো করে বাঁচতে চেয়েছিল সে। তবে দীপার প্রসঙ্গ উঠতেই প্রতিবাদী হয়ে ওঠে অর্জুন। পৃথা দীপার সঙ্গে নিজের তুলনা টানলে বলে দীপার সঙ্গে তারে কোনো তুলনা হয় না। কারণ দীপার জীবনে যত ঝড়ঝাপ্টা যাক, সন্তানদের ছেড়ে যায়নি।
আরও পড়ুন: অনুষ্কার কাছে হেরে গেলেন সোনামণি, শ্যামৌপ্তি! লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নতুন ধারাবাহিকে জুটি বাঁধছেন শন-অনুষ্কা!
খোকাও পৃথার তীব্র বিরোধিতা করতে থাকে। বলে পৃথার আসল নাম পৃথা নয়, অপর্ণা। সে পরিচয় গোপন করে ছিল। অপরদিকে, পৃথা দেবীর কথায় মনে সন্তুষ্টি পায় না। যে ছেলেকে পৃথাদেবী মানুষ করেছে সে জেলে। তার জামিনের ব্যবস্থা না করেই আর ফেলে যাওয়া সন্তানকে কেন ফিরে পেতে চাইছেন? আর যদি ফিরে পেতেই হত আগেই তো অহনা আর অর্জুনকে নিজে সত্যিটা জানাতে পারতেন। এখন কেন?