জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠিঝোরায় (Mithijhora) চলে এসেছে নতুন নতুন চমক। ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে অনির্বাণের কাছে তার পরিবারের সকলের কথা শুনে রাই ঠিক করে সে অনির্বাণের জন্য রান্না করে নিয়ে যাবে। সেটা ভেবেই সকলে রেডি হয়ে রান্না করতে শুরু করে অনির্বাণের জন্য। তখনই চলে আসে রাইয়ের বৌমণি। তিনি রাইকে বলেন “তুমি রান্না করছ কেন। তোমায় রান্না করতে হবে না তুমি গিয়ে তৈরি হয়ে অফিসে যাও আমি রান্না করে নেব।”
তখন রাই তাকে জানায় সে আসলে তার বসের জন্য রান্না করছে। তিনি বাড়িতে কেন নেই তাই সে তার জন্য রান্না করে নিয়ে যাচ্ছে। তখন রাইয়ের বৌমণি বলে তিনি রান্না করে দিচ্ছেন। রাই তাকে বাধা দিয়ে বলে সে নিজেই করে নিতে পারবে তিনি যেন গিয়ে আরাম করেন। তখনই রান্না ঘরে চলে আসে নন্দিনী। তিনি রাইকে বলেন “এসব আমি কি শুনছি রাই। তুই নাকি তোর বসের জন্য রান্না করছিস। নীলু কি তাহলে ঠিক বলছিল?”
নন্দিনীর মুখ থেকে এই কথা শুনে চমকে যায় রাই। রাই নন্দিনীকে বলে এইসব কথা তিনি মা হয়ে কি করে বলছেন। তখন বৌমণিও বলেন রাইকে কি তিনি চেনেন না যে তার মনে হয় রাই এই ধরনের কাজ করবে। তখন রাই বলে সে আর রান্না করবে না। এই ধরনের কথা শোনার পর সেই খাওয়ার সে স্যারকে খাওয়াবে না। তখন বৌমণি বলেন তিনি রান্না করে দেবে রাই যেন নিয়ে যায়। ওদিকে রাইয়ের অফিস গিয়ে দেখে বারোটা বাজতে পাঁচ মিনিট বাকি।
সেটা দেখে রাই ভয়ে ভয়ে অফিসের দরজা খুলে ভিতরে গিয়ে দেখে অনির্বাণ খুব রেগে গেছে। অনির্বাণ রাইকে দেখে বলে রোজ রোজ অফিসে এইভাবে দেরি করে আসা যাবে না। এটা একটা অফিস এখানে লঞ্চের সময় আসলাম খেলাম চলে গেলাম করলে হয় না। তখন রাই নিজের ভুলটা স্বীকার করে ক্ষমা চায় অনির্বাণের কাছে। সে বলে “আমার ভুল হয়ে গেছে স্যার। আসলে আপনার জন্য রান্না করতে গিয়ে একটু সময় লেগে গেছে। আর হবে না। আমি আজ আপনার জন্য রান্না করে এনেছি।”
আরো পড়ুন: নিজের মানুষরা মুখ ফিরিয়েছে! ইন্ডাস্ট্রিই পরিবার! মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে কেঁদে ফেললেন জীবন যুদ্ধে জয়ী বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়
এটা শুনে অনির্বাণ বলে “তাই বলে সেই কারণে অফিস বসে থাকবে না। আপনার সঙ্গে বসে লঞ্চ করেছি সেটার অন্য মানে নেবেন না।” এই কথা শুনেই রেগে যায় রাই সে বলে “আমি কোন মানেই ধরেনি। আর এইভাবে আমার সঙ্গে কথা বলবেন না। আপনি আমায় চাকরি দিয়েছে মানে আমার মাথা কিনে নেননি।” এটা শুনে অনির্বাণ বলে রাই একটি অত্যন্ত জেদি এবং আত্মঅহংকারী মেয়ে। সেই কথা শুনে রাই বলে সে আর এই চাকরি করবে না। তখন অনির্বাণ বলে তার সামনে ইস্তফা লিখে দিতে। তখন রাই বলে সে এইটুকু ইংরেজি জানে। সে লিখতে পারবে। এটা বলেই বেরিয়ে যায় রাই। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের এবার কি দূরত্ব সৃষ্টি হবে রাই এবং অনির্বাণের মধ্যে।