Mithijhora Today’s Episode: জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠিঝোরা (Mithijhora)। একের পর এক নতুন নতুন চমকের কারণে দিনে দিনে জমে উঠেছে ধারাবাহিকের কাহিনী। রাইপূর্ণা, নীলাঞ্জনা, তিলোত্তমা- তিন বোনের জীবনেই হঠাৎ এসেছে আমূল পরিবর্তন। নিজের কর্মকাণ্ডের জন্য একদিকে যেমন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে নীলুর সংসার, তেমনই আবার নিজের সৎ গুনে রাইয়ের জীবনে এসেছে নতুন বসন্ত অনির্বাণ।
তবে বর্তমানে ধারাবাহিকের কাহিনীতে এসেছে নতুন মোড়। অফিসের ট্যাক্স চু’রির অভিযোগ আনা হয়েছে রাইয়ের বিরুদ্ধে। কোন উপায় না পেয়ে রাই অনির্বাণকে জানিয়েছে যে করেই হোক সে আসল দোষীকে তাঁর সামনে নিয়ে আসবে। রাইয়ের কথা শুনে তাঁকে একদিন সময় দিয়েছে অনির্বাণ। ওদিকে প্রিন্সিপালের কথায় অনুষ্ঠানে অংশ নিতে রাজি হয়েছে স্রোত।
সুদীপ্তর থেকে ট্যাক্সের টাকা বের করার প্ল্যান করল রাই
মিঠিঝোরা আজকের পর্ব ৬ মে (Mithijhora Today’s Episode):
ইতিমধ্যেই দেখা গেছে রাই চলে গেছে রঞ্জন দা অর্থাৎ রাইয়ের বাবার বন্ধুর বাড়িতে। সেখানে গিয়ে রাই ভাবতে থাকে যে করেই হোক তাঁকে সত্যিটা বের করতে হবে তাও কালের মধ্যেই। তখনই চলে আসেঞ্জ রঞ্জন দা। তাঁকে দেখে সম্পূর্ণ ঘটনাটা খুলে বলে রাই। রাইয়ের মুখে সবটা শুনে রঞ্জন দা বুঝে যান রাই একটা বড় ঝামেলায় ফেঁসে গেছে আর এর পিছনে সুদীপ্তর হাত আসে।
রাই তখন আগের কথা মনে করে রঞ্জন দাকে জানায় সে যখন সুদীপ্তর কেবিনে গেছিল যখন গেছিল তখন লাঞ্চ হয়নি আর সুদীপ্ত কারুর সঙ্গে কথা বলছিল টা’কা নিয়ে। সুদীপ্ত বলছিল যে সে টাকা সরিয়ে দেবে আর কেউ বুঝবে না। সেই কথা শুনে অবাক হয়ে যায় রঞ্জনদা। তিনি বুঝতে পারেন সুদীপ্ত আগেভাবেই সবটা পরিকল্পনা করে রেখেছিল। তিনি রাইকে প্রতিশ্রুতি দেয় যে তিনি রাইকে সাহায্য করবেন।
আরও পড়ুন: ‘প্রথাগত স্কুল-কলেজে যাইনি…’, মা হলেন জীবনের পরম বন্ধু! বাস্তব জীবনে আসলে কেমন পর্দার ‘খোকাবাবু’ প্রতীক?
সার্থকের মুখে নিজের প্রশংসা শুনে খুশি হল স্রোত:
একদিকে যখন রাইয়ের জীবনে ঝড় উঠেছে অপরদিকে স্রোতকে অনুষ্ঠান করার জন্য রাজি করান প্রিন্সিপাল স্যার। মেক-আপ রুমে তৈরি হতে গিয়ে নানাভাবে নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর চেষ্টা করে স্রোত। ওদিকে স্রোত আসছে না দেখে তাঁকে ডাকতে চলে আসে সার্থক। স্রোতের সঙ্গে ধাক্কা লাগে সার্থকের। স্রোতকে দেখে একপ্রকার মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যায় সার্থক। কিন্তু স্রোতের প্রশংসা করতে গিয়ে থেমে যায় সে। পরিবর্তে সার্থক স্রোতকে অল দা বেস্ট বলে চলে যায়। প্রিন্সিপালের মুখ থেকে সার্থক আর স্রোতের কথা শুনে সার্থকের বাবা বুঝতে পারেন স্রোতকে ভালোবেসে ফেলেছে সার্থক। কিভাবে বের করতে রাই সুদীপ্তর সত্যি, আপনাদের কি মনে হয়?