শৌর্য্যকে মিথ্যে বলায় নীলুকে চড় মেরে উঠিত শিক্ষা দিল নন্দিতা! অনির্বাণকে ভালোবাসার কথা বলল রাই! মিঠিঝোরায় দারুণ পর্ব

Mithijhora Today Episode: জি বাংলার (Zee Bangla) যে সমস্ত ধারাবাহিকগুলো শুরুর থেকে দর্শকদের কাছে চর্চায় বিষয় হয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম মিঠিঝোরা (Mithijhora)। ধারাবাহিকের শুরুর থেকেই বড় দিদি রাইয়ের জীবনের লড়াই, বোনের কারণে আত্মত্যাগ নজর কেড়েছিল ধারাবাহিক অনুরাগীদের। যদিও টিআরপি তালিকায় সেইসময় স্লট দখল করতে পারেনি মিঠিঝোরা। কিন্তু গল্পে নতুন নায়ক আসার পর থেকে ঘুরে যায় গল্পের মোড়। অনির্বাণ আর রাইয়ের জুটি বর্তমানে দারুণ পছন্দ করছেন দর্শকরা।

তবে রাইয়ের জীবনে এতদিন পর সুখ হাতছানি দিলেও ভাগ্যের পরিহাসে সবটা আবার দূরে চলে জয় রাইয়ের থেকে। অনির্বাণের রাইকে নিজের মনের কথা খুলে বলার আগেই ভেঙে যায় নীলু আর শৌর্য্যর সংসার। এমনকি রাইকে অনির্বাণের সঙ্গে দেখে আরও রেগে যায় শৌর্য্য।‌ নিজেকে সামলাতে না পেরে রাইকে খুব খারাপ ভাবে অপমান করে সে। এমনকি রাইকে অপমান করতে ছাড়েনি তার মাও।

মিঠিঝোরা আজকের পর্ব ৩ জুন (Mithijhora Today Episode 3 June)

পরেরদিন সকালে হতেই বাড়িতে চলে আসে নীলু। তবে বাড়িতে ফিরেও নিজের ভুল একটুও বোঝেনি নীলু। বরং বাড়িতে ঢুকতে না ঢুকতেই রাইকে সব কিছুর জন্য দোষারোপ করতে শুরু করে নীলু। যদিও নীলুর কথায় বিশেষ পাত্তা না দিয়েই অফিসের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যায় রাই। রাই বেরিয়ে যাওয়ার পর বাড়িতে ঢোকে স্রোত। কিন্তু স্রোতকে দেখেও রাই আর অনির্বাণের সম্পর্কের ব্যাপারে নানা খারাপ খারাপ কথা বলতে শুরু করে নীলু।

শৌর্য্যকে মিথ্যে বলায় নীলুকে চড় মারল নন্দিতা

যদিও নীলুকে যোগ্য উত্তর দিয়ে ঘরে চলে যায় স্রোত। এরপর নন্দিতা আর বিক্রমও নীলুকে বলে যা হয়েছে সবটাই তার নিজের দোষ হয়েছে। যদি শৌর্য্যকে এত বড় মিথ্যেটা না বলত তাহলে এইসব কিছুই হত না। এমনকি বৌমণিও বলে রাইয়ের এইসবে কোন দোষ নেই। দোষ যদি থাকে তাহলে নীলুর নিজের। তখনই নীলুকে মারতে এগিয়ে আসে নন্দিতা। তবে এত কিছুর পরও নিজের ভুল না শুধরে রাইকেই দোষ দিতে থাকে সে।

অনির্বাণকে সব সত্যিটা খুলে বলল রাই

এদিকে অফিসে চলে আসে রাই। নিজের কাজ শেষ করে সে চলে যায় অনির্বাণের কেবিনে। যদিও প্রথমে অনির্বাণ ভেবেছিল গতরাত্রের বিষয়ে রাইকে কিছু জিজ্ঞাসা করবে না। কিন্তু অনির্বাণের কেবিনে এসে রাই নিজের অনির্বাণকে সমস্ত কথা খুলে বলার আর্জি জানায়। অনির্বাণও শুনতে রাজি হয়ে যায় রাইয়ের কথা। অনির্বাণকে সমস্ত কথা বলে কাঁদতে শুরু করে দেয় রাই। রাই অনির্বাণকে এত বলে সে তার গতরাত্রের কথা রাখতে পারবে না। অনির্বাণের কোন কথা রাখতে পারবে না রাই? আবার কি বড় ঝড় উঠবে রাই অনির্বাণের জীবনে?