জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠিঝোরা’ (Mithijhora)। ধারাবাহিকের গল্প তিন বোনকে কেন্দ্র করে। বড় বোন রাইয়ের প্রেমিক ছিল শৌর্য্য। কিন্তু কথায় আছে জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে। রাই-শৌর্য্যের বিয়ের দিন বদলে গেল কনে পরিস্থিতির চাপে পড়ে বোন নীলাঞ্জনার সঙ্গে নিজের প্রেমিকের গাঁটছড়া বেঁধে দিল রাই!
ডিভোর্সের শাস্তি! এক কোটি চেয়ে বসলো নীলু কিন্তু এই জোর জবরদস্তি বিয়েতে সুখী হলো না কেউই। বাধ্য হয়ে সংসার করতে চাইলেও নিজের মন থেকে রাইকে মুছতে পারল না শৌর্য্য। আর সেটাই ধরে ফেলল নীলাঞ্জনা। চেয়েও সংসার করতে পারেনি সে। তাঁর বারবার মনে হয়েছে শৌর্য্য ও তাঁর মাঝে দেওয়ালের মতো রয়ে গিয়েছে রাই। সেই দেওয়াল ভেঙে শৌর্য্যের মন ছুঁতে পারেনি নীলু। তাই দিদির প্রতি প্রতিশোধ পরায়ণ হতে থাকে নীলাঞ্জনা।
সংসারে নিজের ভীত পাকাপোক্ত করতে একের পর এক ভুল করতে থাকে সে। কখনো পরিবারের সবার সাথে খারাপ ব্যবহার, আবার কখনো মিথ্যে প্রেগনেন্সির নাটক! আবার দিদির বিবাহিত জীবন তছনছ করে দিতে শৌর্য্যকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার। নীলুর কূটনীতি ধরতে পেরেছিল একমাত্র শৌর্য্য। তাই সবার সামনে তাঁর মুখোশটা খুলে দেয় সে।
শৌর্য্য সিদ্ধান্ত নেয় নীলুর সঙ্গে আর ঘর করা যাবে না। তাই নীলুকে ডিভোর্স দেবে বলে জানিয়ে দেয় শৌর্য্য। এর মধ্যে নীলাঞ্জনার মনে ঠাঁই পেয়ে গেছে শৌর্য্য। উচ্চবিত্ত শ্বশুরবাড়ির আরাম ও স্বাচ্ছন্দ্য ছাড়তেও রাজি নয় সে। অথচ বাধ্য হয়ে ডিভোর্স দিতে হচ্ছে। সংসারে কার্যত একঘরে হয়ে থাকা নীলু বারবার বলতে থাকে সে ডিভোর্স চায় না।
আরও পড়ুন: ‘ঘটক দিদি’ দিতিপ্রিয়া মেধাবী ছাত্রী গোল্ড মেডেলিস্ট! অভিনেত্রীর অভিনয়ের সফর অবাক করবে আপনাকেও
কিন্তু ডিভোর্সটা যখন হবেই, তখন নীলাঞ্জনা নিজ উকিল ঠিক করে। নিজের বাকি জীবনটা যাতে আরামে কাটানো সম্ভব হয়, তার জন্য গোটা জীবনের একটা হিসেব কষে নীলাঞ্জনা। ইতোমধ্যে দুই উকিল একসঙ্গে ডিভোর্সের কথা বলতে এলে সে পুনরায় একটা অশান্তি করে। যদিও পরবর্তীতে নিজের দাবি তুলে ধরে নীলু। শৌর্য্যকে তাঁর সারা জীবনের ভরণপোষণ দিতে হবে। আর এর জন্য এক কোটি টাকা দাবি করে নীলাঞ্জনা। আর এই পর্ব দেখার পর থেকেই নীলুকে লোভী বলছেন টেলি দর্শকেরা।