আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) প্রতিবাদে সরব আম জনতা থেকে শিল্পীরা। মোমবাতি জ্বেলে বিচারের দাবিতে প্রতিবাদের ডাক আর্টিস্ট ফোরামের (Artist Forum)। এদিনের আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন অভিনেতা সাংসদ দেব (Dev)। এই মুহূর্তে অসুস্থ তাঁর বাবা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখান থেকেই সোজা আন্দোলনে যোগ দেন তিনি। দাবি ধ র্ষ কদের মৃত্যুদণ্ড।
আর জি কর কাণ্ড নিয়ে যখন তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি, সেই সময় বিশেষ বান্ধবীকে নিয়ে সৌদি আরবে ছুটি কাটাচ্ছিলেন ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেব। তা নিয়ে কম কটাক্ষ শুনতে হয়নি তাঁকে।কথা মতোই শনিবার সন্ধ্যায় আরজি করের নির্যাতিতা তরুণীর বিচারের দাবিতে আর্টিস্ট ফোরামের তরফে ডাকা গণ অবস্থানে যোগ দিলেন দেব।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে কী বললেন দেব?
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিনেতা বলেন, ”পুরো ব্যাপারটা তদন্তের অধীনে রয়েছে। আমি মনে করি ভারতের সবচেয়ে ভাল সংস্থা, সিবিআই এই ঘটনার তদন্ত করছে। যে কোনও তদন্তকে একটু সময় দেওয়া উচিত বলে মনে করি। দুঃখজনক যে কলকাতা পুলিশ মাত্র ২-৩ দিন সময় পেয়েছিল। আমি মনে করি সিবিআই যা বলবে এই তদন্তের বিষয়ে তাই বিশ্বাস করা উচিত। অবশ্যই গোটা দেশ অপেক্ষায় আছে যে আরজি কর কাণ্ডে যারা যারা দোষী তাদের যেন ফাঁসি হয় এবং যারা যারা এই অপরাধে সাহায্য করেছে, মানে যারা তথ্য লোপাট ইত্যাদি করেছে তারা যেন যাবজ্জীবন সাজা পায়।”
View this post on Instagram
অভিনেতা আরও সংযোজন করেন, ”আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, শুধুই কি আরজি কর? ১৪ দিনে ১৪০০-এর বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে গেল। মানুষের মধ্যে ভয় নেই? একটা ঘটনা নিয়ে এত আন্দোলন হচ্ছে, আমরা কিছুই করতে পারছি না? আমার মনে হয় সময় এসে গিয়েছে আমাদের সকলকে এক হয়ে এখনই ভারতে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে ক্যাপিটাল শাস্তি নিয়ে আসা উচিত। আজ সমস্ত দলকে একত্রিত হয়ে মৃত্যুদণ্ডের হয়ে আওয়াজ তোলা উচিত।”
দেবের কথার সূত্র ধরেই বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের পাশে বসে থাকতে দেখা গেল দেবকে। দুজনকে বেশ খানিকক্ষণ ধরে গভীর আলোচনা করতে দেখা যায়। ওয়েস্ট বেঙ্গল আর্টিস্ট ফোরামের সদস্যরা গণ অবস্থানে শরিক হয়েছেন টলিগঞ্জের কিশোরকুমারের মূর্তি সংলগ্ন এলাকায়। সেই প্রতিবাদে রাজনীতির রং মিলেমিশে হয় একাকার!
আরো পড়ুন: রাতে শুটিং সেরে বাড়ি ফেরার পথে গাড়ি দুর্ঘটনা সাহেব ভট্টাচার্যের! এখন কেমন আছেন অভিনেতা?
এদিন রূপার হাতে হাত ধরে বিচারের দাবি করেন দেব। তাতেও থামেনি কটাক্ষ। অনেকের চোখেই ‘গোটাটাই নাটক’। আসলে ন্যক্কারজনক এই ঘটনা নিয়ে বিদেশে থাকাকালীন সমাজমাধ্যমেও সেভাবে মুখ খোলেননি দেব, তাতেই রুষ্ট অনুরাগীuরা। শাসক দলের প্রতিনিধি বলেই কি চুপ? প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে।