জি বাংলার (Zee Bangla) মিঠিঝোরা (MithiJhora) ধারাবাহিকের নায়িকা রাই ঠিক সেই রকমই একজন অভাগী মেয়ে। তার মা থাকতেও মায়ের ভালোবাসা সেভাবে কোনদিনও পায়নি সে। বিশেষ করে জীবনের সবথেকে কষ্টকর দিনগুলোতেই তাঁর মা তাঁকে একা করে দিয়েছে। কিন্তু কথায় আছে একটা দরজা বন্ধ হয়ে গেলে আরেকটা দরজা ঠিক খুলে যায়। রাইয়ের জীবনেও তেমনি মায়ের পরিপূরক হয়ে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে মিষ্টি অর্থাৎ তার বৌমনি।
আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যেখানে ননদ-বৌদির সম্পর্ককে সব সময় সমাজে খারাপ দেখানো হয় সেখানে রাই ও তাঁর বৌদির জুটি সমাজের চিরাচরিত ছবির মুখে সপাটে থাপ্পড়। শুরু থেকেই সবাই রাইয়ের বিপক্ষে চলে গেলেও মিষ্টি কখনো রাইকে ভুল বোঝেনি। উল্টে নিজের ননদের হয়ে সবার সঙ্গে লড়াই করে গিয়েছে।
রাইয়ের মা হয়ে উঠেছে বৌমণি!
ধারাবাহিকের বর্তমানে দেখানো হচ্ছে, রাই মারণ রোগে আক্রান্ত।তার এই বউমনি নিজের গয়না বিক্রি করে রাইকে টাকা দিয়েছে যাতে সে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারে?যেখানে তাঁর এই অসুস্থতায় তার পাশে থাকেনি স্বামী অনির্বাণ। ঠিক এমন সময় রাইয়ের দুটো হাত শক্ত করে ধরেছে তার বৌদি এবং তার ছোট বোন। দুজন মিলে বর্তমানে রাইকে সুস্থ করে তোলার লড়াইয়ে নেমেছে। যে যেভাবে পারছে সেভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করছে ।
আরও পড়ুন: অবশেষে যবনিকা পতন! চিত্রার কাছ থেকে পাথরগুলো উদ্ধার করে ছক্কা হাঁকালো কথা
মাকে ফোন করে হাসপাতালে ডেকে নেয় স্রোত। অন্যদিকে রাইয়ের খোঁজ নিতে রাইয়ের বাড়ি আসে শৌর্য্য। তারপরই তারা দুজন চলে আসে হাসপাতালে। সার্থকের বাবা রাইয়ের মাকে জানান রাইয়ের ক’র্কট রোগ হয়েছে। যা শুনেই চমকে যান তিনি। এদিকে ওটিতে শুয়ে রাই ভেবে নেয় সে আর অনির্বাণকে ক্ষমা করবে না। কিন্তু এই মারণ রোগের হাত থেকে কি নিষ্কৃতি পাবে রাই? নাকি ঘটবে কোন অঘটন? সবটা জানার পর কি করবে অনির্বাণ? আপনাদের কি মনে হয়, রাইকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবে?