এই মুহূর্তে জি বাংলা ও স্টার জলসার কিছু ধারাবাহিকে উত্তেজনা চরম পর্যায়ে রয়েছে। চলছে হাড্ডাহাড্ডি ল’ড়াইও। আর স্টার জলসার পর্দায় এই মুহূর্তের চরম উ’ত্তেজনাপূর্ণ ধারাবাহিক হল ‘কথা’ (Kothha)। দেখতে দেখতে প্রায় ১ বছর ঘুরতে চলল ধারাবাহিকের বয়স। বর্তমান সময়ে টিআরপির শীর্ষে রয়েছে এই ধারাবাহিকটি। টিআরপির শীর্ষে নিজের জায়গা পোক্ত করেছে গোবরদেবী। এই ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন, সুস্মিতা দে এবং সাহেব ভট্টাচার্য।
বলাই বাহুল্য, ‘কথা’ সম্পূর্ণ রূপে একটি ভিন্ন ধারার চরিত্র। যে কিনা শুধুই গাছ ভালোবাসে, গাছের যত্নে দিনরাত এক করছে সে। অন্যদিকে সাহেব অর্থাৎ অগ্নিভ-র চরিত্র একেবারেই উল্টো। দুই উদ্ভট চরিত্রের মিলন ঘটিয়েছে এই ‘কথা’ ধারাবাহিক। যাই হোক, বর্তমানে কথা-অগ্নিভ-র বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তাঁদের মনে প্রেমও জেগেছে। বিয়ের প্রথমে একে অপরকে এক্কেবারে সহ্য করতে না পারলেও এখন কথার গুনে মুগ্ধ অগ্নিভ, স্ত্রীকে চোখে রীতিমতো হারায়।
কথাও দুই হাতে আগলে রেখেছে অগ্নিভ-র পরিবারকে। যাকে বলে একেবারে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সে। অগ্নিভ-র মা সঞ্চিতা বেঁচে আছেন কিন্তু সে পরিবার ছেড়ে রয়েছে বহুদিন। বাড়ির সকলে জানেন, অগ্নিভ-র মা স্বেচ্ছায় পরিবার ছেড়ে চলেছে গিয়েছে। কিন্তু এর পেছনে রয়েছে সঞ্চিতার মেজো জা চিত্রার কুকীর্তি। সে-ই একসময় সঞ্চিতাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল। এরপর সঞ্চিতা স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলে। বহুবছর পর কথার দৌলতে আবারও অগ্নিভ-র বাড়িতে ফিরে আসে সঞ্চিতা। কথাই তাঁর শ্বশুরবাড়ির দুর্গাপুজোর নাম করে সঞ্চিতাকে নিয়ে আসে তাঁর বাড়ি। কথার মামাতো বোনের শ্বশুরবাড়িতে পরিচারিকা হিসেবে কাজ করেন সঞ্চিতা। আর সেখানেই কথার সঙ্গে তাঁর আলাপ।
যাই হোক, অগ্নিভর বাড়িতে আসার পরেই সকলে সঞ্চিতাকে দেখে চিনে যায়, কিন্তু সঞ্চিতা কাউকেই চিনতে পারেনা। একসময় আবারও চিত্রা সঞ্চিতাকে বাড়ি থেকে বের করার ফন্দি আঁটে। এবং স্মৃতিশক্তি ফিরিয়ে দেওয়ার নাম করে সঞ্চিতাকে বাড়ির বাইরে নিয়ে গিয়ে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অজানা স্থানে রেখে আসে। এরপর সঞ্চিতাকে খুঁজতে খুঁজতে একটি থানায় যায় কথা, সেখান থেকেই আবারও সঞ্চিতার খোঁজ পায় কথা। এবারই কাহিনী নতুন মোড় নেবে। চিত্রার কুকীর্তির নিজের মুখেই স্বীকার করবে সঞ্চিতা। উঠে আসবে অতীত।
আগামী এপিসোডে দেখা যাবে, কথা সঞ্চিতাকে জিজ্ঞাসা করেছে যে, ‘মা তুমি কিভাবে এখানে এলে?’ তখন সঞ্চিতা বলে, তাঁকে কেউ এখানে নিয়ে এসেছে। এরপর সে চিত্রার দিকে আঙুল ওঠায় এবং বলে যে, চিত্রাই তাঁকে এখানে নিয়ে এসেছে। এই কথা শুনে স্বাভাবিকভাবেই কথার মনে সন্দেহ হয় যে, তাঁর মেজো মা কেন বারবার সঞ্চিতাকে তাড়াতে চাইছে? তাঁর কী স্বার্থ আছে? এরপর সঞ্চিতাকে নিয়ে বাড়ি চলে আসে কথা! এবং সবাই চিন্তামুক্ত হয়।
আরও পড়ুন: শ্রীলেখাকে অ’শ্লীল আক্র’মণ কুণালের, আমার কিছু হলে কুণাল ঘোষ দা’য়ী থাকবেন, জানিয়ে দিলেন অভিনেত্রী
কথা সঞ্চিতাকে বলে, সে যেন তাঁকে কিছু না বলে আর কোথাও না যায়! বাড়ির সকলেও সে কথা বলে। অগ্নিভও মাকে ফিরে পেয়ে খুশি হয়। তবে সঞ্চিতাকে দেখে চিন্তায় পড়ে যান চিত্রা। সে ভাবে, এবার তো তাহলে তাঁর কুকীর্তির কথা সবাই জেনে যাবে। এমন সময়েই পরিস্থিতি কাটিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে চিত্রা আর তখনই কথার সম্মুখীন হতে হয় চিত্রাকে। চিত্রাকে তখন কথা বলে, সে কেন সঞ্চিতাকে নিয়ে বাইরে গিয়েছিল, কি উদ্দেশ্য তাঁর? এরপর চিত্রা জোর গলায় বলেন, ‘তুমি কি আমায় সন্দেহ করছো? তুমি ভুলে যেও না, সঞ্চিতা আমার জা হওয়ার আগে, আমার বন্ধু, তাই ওর স্মৃতিশক্তি যাতে ফিরে আসে তাই আমি আমার চেনাজানা একজন বাবাজির কাছে তাঁকে নিয়ে গিয়েছিলাম।’ তখন কথা বলে, ‘তাহলে তুমি সঞ্চিতাকে বাড়ি কেন নিয়ে এলে না?’ তখন চিত্রা বলে, ‘তোমাকে আমি কোনও কৈফিয়ৎ দেব না!’ এরপরেই সঞ্চিতা বলে, বাড়ির পুজোতে এত আনন্দ তাঁর খুব ভালো লাগছে, সকলের আনন্দ দেখে তাঁর চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে।