তিনি বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সুপারস্টার। হরনাথ চক্রবর্তীর সাথী (Sathi) সিনেমার হাত ধরে টলিউড পেয়েছিল এই সুপারস্টারকে। আদতে অবাঙালি। কিন্তু মনেপ্রাণে বাঙালি এই অভিনেতা আজও বাঙালির হার্টথ্রব। তিনি পর্দায় এলে আজও নাগাড়ে পড়তে থাকে সিটি-হাততালি। আজও তার সিনেমা মুক্তির আগে ভক্তেরা তার সিনেমার পোস্টারে মালা পরিয়ে রাস্তায় নামে। তাকে ঘিরে আজও বাঙালির উন্মাদনার পারদ একটুও নামেনি।
বুঝতেই পারছেন নিশ্চয়ই কার কথা বলছি। তিনি বাংলার সুপারস্টার জিৎ। আক্ষরিক অর্থে সুপারস্টারই বটে তিনি। দীর্ঘ এতগুলো বছর কাটিয়ে দিলেন সম্পূর্ণ বিতর্কহীন ভাবে। না তার গায়ে লেগেছে কোনও কলঙ্ক না লেগেছে রাজনৈতিক রং। তিনি কমপ্লিট এন্টারটেইনার। নিজে অবাঙালি হয়েও বাঙালি দর্শকদের মন জয় করতে একটুও সময় লাগেনি জিতেন্দ্র মদনানীর। হ্যাঁ এটাই যে তার আসল নাম।
একের পর এক সকল সিনেমা তার ঝুলিতে। যদিও শুরুতে অভিনেতা নন পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দিয়ে ব্যবসায়ী হয়ে উঠেছিলেন জিৎ। কিন্তু মনে সুপ্ত ইচ্ছা ছিল অভিনেতা হওয়ার। কলকাতাতেই বেড়ে উঠেছিলেন জিৎ। গ্রাজুয়েশন শেষ হওয়ার পর জিৎ পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দিলেও তার মন ছিল অভিনয়ের দিকেই। এরপর জিৎ বেশ কিছু সিরিয়ালে কাজ করলেও সেইভাবে জনপ্রিয়তা পাননি। এরপর তার মুম্বাই যাত্রা। নিজের ক্যারিয়ারের পাঁচ বছর মুম্বাইতে কাটালেও সেখানেও তেমন কিছু করে উঠতে পারেননি তিনি। এরপর ২০০১ সালে দক্ষিণ ভারতীয় পরিচালকের হাত ধরে তেলেগু ছবি ‘চাঁদু’তে কাজ করেন তিনি। আর এই ছবির হাত দিয়েই প্রথমবারের মতো বড়পর্দায়ের ডেবিউ হয় তার কিন্তু এখানেও সাফল্য মেলেনি। সাফল্য আসে হরনাথ চক্রবর্তীর ‘সাথী’ সিনেমায় নায়ক হিসেবে টলিউডের রিভিউ করার পর।
আরও পড়ুন:”লড়াই করতে না পেরে বাবা সু’ইসাইড করেছিল, আমি শেষ অবধি লড়ে বাঁচব…” জীবন যু’দ্ধের গল্প বললেন লড়াকু দেবচন্দ্রিমা!
ব্যক্তিগত জীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা জিৎ। কিছুদিন আগেই পুত্র সন্তানের বাবা হয়েছেন তিনি। অভিনয়ে প্রযোজনা দু’দিক সামলিয়ে কিন্তু আদ্যন্ত ফ্যামিলি ম্যান জিৎ। জানা যায়, বছরে তিন থেকে চার বার পরিবারকে বেড়াতে নিয়ে যান তিনি। কাজের বাইরে নিজের সমস্ত সময়টা তিনি দেন সংসারে। কাজ না থাকলে সোজা বাড়ির পথে রওনা দেন তিনি। আগে পার্টি করলেও এখন কোনও পার্টি বা সোশ্যাল গ্যাদারিংয়ে দেখা মেলা না তাঁর। বাড়িতেও যে আয়োজন করেন সেটা সম্পূর্ণ পারিবারিকভাবে। নিঃসন্দেহে অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি দারুন স্বামী এবং খুব ভালো বাবা জিৎ।