কথায় আছে, ভাগ্যের চাকা ঘুরছে। আবার বাংলার প্রচলিত প্রবাদ বাক্যে রয়েছে, ‘ আজ যে ফকির, কাল সে রাজা’। অর্থাৎ এই প্রবাদ বাক্যের মাধ্যমেই বুঝতে পারা যায় যে, কোনো মানুষের অবস্থা চিরকাল এক থাকে না, পরিবর্তন হবেই। বর্তমানে এমনই এক উদাহরণের সাক্ষী হয়েছে প্রায় সকল বাংলার নেটিজেনেরা। বর্তমানে, সোশ্যাল মিডিয়ায় গায়িকা এবং ইউটিউবার দেবলীনা নন্দীর রয়েছে বেশ নামডাক।
সোশ্যাল মিডিয়ার এক জনপ্রিয় অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দিয়ে দেখতে পাওয়া গেছে, তাঁর জীবন কাহিনী শেয়ার করতে দর্শকদের সঙ্গে। কী কী বাধা-প্রতিকূলতা পেরিয়ে সফলতার শীর্ষে পৌঁছেছেন গায়িকা দেবলীনা। মূলত, মায়ের ইচ্ছাতেই দেবলীনা হয়ে উঠেছে গায়িকা।মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা দেবলীনার বাবা ছিল একজন চাকুরীজীবি। দেবলীনা ছোটো থাকায় তাঁর বাবার নানা অসুস্থতার কারণে প্রাথমিক জীবনে আসে নানা প্রতিকূলতা, এমনকি নিজেদের বাসস্থান ছাড়তে বাধ্য হয় নন্দী পরিবার। পরবর্তীকালে, বাঁশের বেরার বাড়িতে আশ্রয় হয় দেবলীনার পরিবারের।
জীবনে একসঙ্গে এতো কিছু চলা সত্ত্বেও গানের হাত কখনো ছাড়েনি এই গায়িকা। নানা পারিবারিক ঝামেলার মধ্যে পরতে হয়েছে দেবলীনা এবং তাঁর মা, ভাই, বাবাকে। এতো কিছু শেয়ার করার মাঝে গায়িকা স্মৃতিচারণা করে বললেন,একদিন তাঁর মা তাঁকে বলেছিলো “সোনা মা একটা জিনিস খেতে দেবো, খাবি? তারপর একসাথে সবাই শান্তিতে ঘুমাবো।” জিনিসটা আসলে ছিল বিষ।
এরপর ধীরে ধীরে বড়ো হয়ে উঠল দেবলীনা। বড়ো হয়েও সংগ্রাম তাঁর পিছু ছাড়েনি। শুরু হয় স্টেজ প্রোগ্রাম। গায়িকা শেয়ার করেন, এমনও দিন গেছে যেখানে প্রায় সারারাত বসে অপেক্ষা করছে স্টেজে কটা গান গাইবার জন্য, যাতে কিছু মানুষ তাঁকে চিনতে পারে। পরবর্তীকালে, সঙ্গীত জীবনে অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন রিয়্যালিটি শোয়ে যথার্থ সুযোগ না পাওয়ার কারণে নিজের ইউটিউব চ্যানেল খোলেন। বলিউডখ্যাত গায়ক সনম পুরিকে অনুসরণ করে প্রথম দিকে বিভিন্ন কভার সংয়ের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ার জগতে প্রবেশ হয় তাঁর।
আরও পড়ুন: ‘জগদ্ধাত্রী’ সিরিয়ালে এবার হবে পাপের বিনাশ, আসছে চোখ ধাঁধানো পর্ব
বর্তমানে, গায়িকার ১ মিলিয়নের ওপর সাবস্ক্রাইবার ইউটিউব চ্যানেলে। চারিদিকে রয়েছে নামডাক, পরিচিতি। দেবলীনার এই জীবন সংগ্রাম আজকের নতুন জেনারেশনদের উদ্বুদ্ধ করার মতো বাস্তবিক কাহিনী।