দুই বোনের মনে আনন্দের শেষ নেই, কথা হচ্ছে ‘দুই শালিকে’র (Dui Shalik) আঁখি এবং ঝিলিকের। ইতিমধ্যেই মিল হয়েছে দুই ভাইয়ের এই দৃশ্য দেখে আপ্লুত ঝিলিক এবং আখি। গল্পের শুরুতেই দেখা যায় ছাতার কর্মচারীদের খুঁজতে বেরিয়ে গেছে সবাই। কারন আবারো এই ছাতার ব্যবসা শুরু হতে চলেছে। এর মধ্যেই অনিমেষ ঝিলিককে ডাকতে থাকে কিন্তু ঝিলিক তাকে চিনতে পারছে না। কারণ এতদিন অনিমেষ বাবু আঁখিকে ঝিলিক বলে জানত। একটা ছোট কথোপকথন এর মধ্য দিয়ে ঝিলিক বুঝতে পারে উনি আঁখিকে চেনে। এবং অনিমেষবাবু দেবার কথা জিজ্ঞাসা করায় ঝিলিক বলে “দেবা ভালো আছে”।
অন্যদিকে উকিল রজতাভ লাহিড়ী ঝিলিক এবং অনিমেষ বাবুকে কথা বলতে দেখে ফেলে আর ঝিলিককে আঁখি ভেবে নিয়ে বলে “অনিমেষ রায় এবং আঁখি কথা বলছে, এখন যদি আমি ওদের মাঝখানে যাই তাহলে ওদের বিপদ বাড়বে বই কমবে না”। লাহি দিকে সবসময় একটা গুন্ডা ফলো করছে, যাকে কিনা পাঠিয়েছে পিয়ারকে। এরপর রজতাভ লাহিড়ী গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর ওই গুন্ডাটি পিয়ারকে ফোন করে বলে, “স্যার রজতাভ লাহিড়ি এক জায়গায় এসেছিল কিন্তু কারো সাথে দেখা না করে চলে গেছে। আপনি কোনো চিন্তা করবেন না আমি ওনাকে ফলো করছি।”
অন্যদিকে ঝিলিক বাড়িতে গিয়ে দেখে সবাই সেখানে সবাই কথা বলছে এবং তার মধ্যেই গৌরবের কাছে হঠাৎ একটা ফোন এসেছে। ফোন করেছে আতর, আর বলে “মা একদম ঠিক আছে। মা খুব তাড়াতাড়ি বাড়িও ফিরে যাবে”। এই খবর শোনার পর স্বাভাবিকভাবেই গৌরব অনেক খুশি হয়ে যায়। এই সুখবর এই আঁখিরও খুব ভালো লাগে। ভালো খবর পেয়ে সবাই বলতে শুরু করে সবকিছু ভালোভাবে মিটে গেছে এবার আবার সময় এসেছে বিজনেসটা ভালো করে শুরু করার।
গৌরব তার পুরনো ছাতার কর্মচারীদের দেখতে পেয়ে বলে এই বিজনেসটা যে করে হোক দাঁড় করাতে হবে। এইসব দেখেই ঝিলিক মনে মনে ভাবে, “এই রে, আমাদের বস্তির সবজি কাকা এখানে কি করছে উনি কি আগে ছাতা কারখানায় কাজ করত? আমাকে যদি এখানে থাকে তাহলে সবকিছুই জেনে যাবে”। অন্যদিকে দিবা খুব রেগে যাচ্ছে এবং ভাবে, “এখন শেষ পর্যন্ত এখানে আমি কর্মচারী হিসেবে কাজ করব যেখানে যে বাড়িটা আমার, যেই সিংহাসনে বসার কথা ছিল আমার সেখানে কিনা আমি এখন এসব করব”। এই সময় ঝিলিক বলে ওঠে “তাহলে আমরা ছাতা তৈরি করতে শুরু করি”।
আরও পড়ুনঃ একেই বলে সুপারস্টারের কামাল! টলিউডে দাপট দেখালো কিশোরী! কুর্নিশ জানাল ‘আমূল’ গার্ল!
কাজ শুরু করার পর গৌরব সব কর্মচারীদের অনেক স্বপ্ন দেখাতে শুরু করে। অনেক ভালো ভালো কথাও বলে। এই দেশে ঝিলিকের গৌরবের প্রতি ভালোবাসার অনুভূতি জাগে এবং দেখে যে ঝিলিক গৌরবের সঙ্গে নাচছে। এই একই স্বপ্ন দেখে দেবা এবং আঁখি। অন্যদিকে দেখা যায় নীলিমা আঁখিকে বলে তাঁর হাতের কাজ খুব সুন্দর। এর কিছুক্ষন পরেই দেবা বাড়ি চলে যাওয়ার সময় গৌরব দেবাকে জড়িয়ে ধরে। এই দৃশ্য দেখার পর দর্শকদের মনে এখন একটাই প্রশ্ন, সঠিকভাবে দুই ভাইয়ের মনের মিলন কবে হবে?