জীবন কখন কী ঘটবে, তা আগে থেকে বলা যায় না। কিছু ঘটনা আকস্মিকভাবে ঘটতে থাকে, যা আমাদের মানবিকতা এবং সাহসিকতার পরিসরকে বিস্তৃত করে। এমন একটি ঘটনা ঘটেছে রানাঘাটের ছোট্ট অস্মিকা দাসের জীবনে, যিনি স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাথ্রফি (SMA) নামক বিরল রোগে আক্রান্ত। এই রোগের চিকিৎসা জন্য প্রয়োজন একটি ১৬ কোটি টাকার অত্যন্ত ব্যয়বহুল ইনজেকশন। তবে, তার পরিবার এই বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহের সক্ষমতা রাখেনি, এবং পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হতে থাকে।
এমন পরিস্থিতিতে, রানাঘাটে কনসার্ট করতে গিয়ে রূপম ইসলাম এবং তার টিম এগিয়ে আসেন অস্মিকার পাশে দাঁড়ানোর জন্য। রুপম ইসলাম জানতেন যে, এককভাবে এটা সম্ভব নয়, কিন্তু স্থানীয় সম্প্রদায়কে একত্রিত করলে তারা এই বিপুল অর্থ সংগ্রহে সহায়ক হতে পারে। তাই, তিনি স্থানীয়দের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে শুরু করেন এবং বিভিন্ন সামাজিক ইভেন্টের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের উদ্যোগ নেন।
রূপম ইসলামের নেতৃত্বে স্থানীয় মানুষরা ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করতে শুরু করেন। চা-উৎসব, ফান্ডরাইজিং ইভেন্ট এবং সামাজিক মাধ্যমের প্রচারণা তাদের মধ্যে এক নতুন আশা জাগিয়েছিল। নানা ধরনের সাহায্য এবং দানের মাধ্যমে, এই প্রচেষ্টা সফল হতে থাকে এবং অস্মিকার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহের প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে যায়।
তবে, সবার জন্য সবচেয়ে বড় চমক ছিল রূপম ইসলামের ঘোষণা। তিনি জানিয়ে দেন যে, সে এবং তার টিম কনসার্ট করে যা উপার্জন করবেন সেটা অস্মিকার চিকিৎসার জন্য পুরো খরচ বহন করবেন। এই মহৎ উদ্যোগ শুধু স্থানীয় সমাজে নয়, বরং সারা দেশে মানবিকতার একটি দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়ায়। রূপমের এই উদ্যোগ অস্মিকার পরিবারকে নতুন আশার আলো দেখিয়েছে এবং সমাজে এক অমূল্য পরিবর্তন এনে দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ চুমু দৃশ্যে আপত্তি মিমির ! সেই কারণেই কি সৃজিতের নতুন ছবির নায়িকা হচ্ছেন কৌশানি?
রূপম ইসলামের এই সহানুভূতির ঘটনা শুধু একজন শিশুর জীবন বাঁচানোর জন্য নয়, বরং এটি আমাদের শেখায় যে, কখনো কখনো এক জন ব্যক্তি অন্যের জীবনে অপরিসীম পরিবর্তন আনতে সক্ষম। অস্মিকার চিকিৎসার জন্য এই মহৎ উদ্যোগের ফলে, তার পরিবার এবং স্থানীয় সমাজ এখন নতুন আশা এবং শক্তি অনুভব করছে।