বেদনাদায়ক পরিণতি হল ‘ডান্স বাংলা ডান্স’খ্যাত প্রতিযোগীর! কেন এত বড় সিদ্ধান্ত নিতে হলো তাকে?

ছোটবেলা থেকে সকলের বাবা-মায়েরাই তাদের বাচ্চাদের শিখিয়ে আসেন যে ‘আত্মহত্যা করা মহাপাপ’ অর্থাৎ নিজের জীবনকে স্বইচ্ছায় শেষ করে দেওয়া পাপের সমান। কিন্তু সাধারণ চিন্তা ভাবনায় দেখতে গেলে কোনো মানুষই নিজের ইচ্ছে আত্মহত্যা করতে চান না জীবনের পরিস্থিতি এমনই সৃষ্টি হয় যে তাঁকে বাধ্য হয়েই বেছে নিতে হয় আত্মহত্যার পথ। বর্তমানে এমনই এক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে জি বাংলার (Zee Bangla) ‘ডান্স বাংলা ডান্স’খ্যাত প্রাক্তন প্রতিযোগীর সঙ্গে।

ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ সঙ্গে পাওয়া গেছে সুইসাইড নোট। নাচে রিয়েলিটি শো-এর প্রাক্তন প্রতিযোগীর নাম অদ্রিকা দাস। ২০১৬ সালের প্রতিযোগী ছিলেন অদ্রিকা, এমনকি গ্র্যান্ড ফিনালে অবধিও পৌঁছেছিল এই নাবালিকা। মঙ্গলবার রাতে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁর চাঁদপাড়া এলাকায়। শোনা যায়, বিগত বেশ কিছুদিন ধরে কয়েকটি স্থানীয় যুবক এই নাবালিকাকে উত্যক্ত করছিলেন এবং নানাভাবে মানসিক চাপও দিচ্ছিল। এই চাপ সামলাতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল নৃত্যশিল্পী অদ্রিকা।

‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এর সূত্র ধরেই এলাকাতে বেশ নাম ডাক তৈরি হয়েছিল অদ্রিকার। এই ঘটনার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে এলাকার তিন যুবকের। অদ্রিকার বাবা-মা সহ স্থানীয় বাসিন্দার দাবি, এই তিন যুবকসহ আরও কয়েকটি যুবকের মানসিক অত্যাচারের প্রভাবে অদ্রিকার মনে চাপ সৃষ্টি হয়েছিল। বাবা-মায়ের মতে, তাদের মেয়ে ছেলেগুলির থেকে বয়সে বেশ কিছুটা ছোট হলেও, ছেলেগুলির সঙ্গে জোর করে মিশতে হত। ইচ্ছে না থাকলে অনেক জায়গায় তাদের সঙ্গে যেতে হত অদ্রিকাকে।

আরও পড়ুনঃ দারুণ সাফল্যের সঙ্গে পথ চলার পর অবশেষে শেষ হচ্ছে জলসার জনপ্রিয় এই ধারাবাহিক! জানলে মন ভাঙবে আপনাদেরও

জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার অদ্রিকাকে ওই যুবকগুলির সঙ্গে বেরোতে হয়েছিল। এর মধ্যে নাবালিকার বাবার ফোনে ফোন গিয়েছিল। তিনি জানতে পারেন যে, তার মেয়ে আত্মহত্যা করতে যাচ্ছে। তড়িঘড়ি বাড়িতে ছুটে এসে ঘরে ঢুকে দেখেন মেয়ের ঝুলন্ত দেহ। শেষ রক্ষা করা গেল না। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। অদ্রিকার বাবা-মা গাইঘাটা থানায় ঐ তিন যুবকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন।