জি বাংলার (zee Bangla) নতুন ধারাবাহিক ‘পরিণীতা'(parineeta) সম্প্রচারে আসার পর থেকেই দর্শকদের মধ্যে চমক সৃষ্টি করেছে। এই সিরিয়ালটি তৃণমূলের আদর্শিক পরিবেশে নির্মিত একটি সামাজিক গল্প, যেখানে প্রধান চরিত্র ‘পারুল’ এবং ‘রায়ান’ এর সম্পর্কের জটিলতা উঠে আসে। ঈশানী চট্টোপাধ্যায় ‘পারুল’ চরিত্রে অভিনয় করছেন এবং তাঁর এই চরিত্র দর্শকদের মাঝে বিশেষভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। টেলিভিশনে নতুন এই সিরিয়ালটি একদিকে যেমন একটি রোমান্টিক ট্র্যাজিক গল্প শোনাচ্ছে, তেমনি অন্যদিকে দর্শকদের ভিন্ন ধরনের মনস্তাত্ত্বিক দৃশ্যও উপহার দিচ্ছে।
যখন ‘পরিণীতা’ প্রথম সম্প্রচারিত হয়েছিল, তখন দর্শকরা নায়ক এবং নায়িকার চরিত্রে তেমন কোনো অনুরাগ দেখাননি। সিরিয়ালের প্রথম দিকে কিছু ট্রোলও হয়েছিল, বিশেষ করে চরিত্রের অভিনয় বা গল্পের গতিপথ নিয়ে দর্শকদের মধ্যে কিছু প্রশ্ন উঠে ছিল। বিশেষত, নায়ক-নায়িকার সম্পর্কের নিখুঁত অভিনয়ের অভাব দর্শকদের মাঝে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছিল। তবে, এর পরপরই সিরিয়ালটির গল্প ও চরিত্রে পরিবর্তন আসতে শুরু করে।
তবে সময়ের সঙ্গে বদলেছে পরিস্থিতি, এবং এখন ‘পরিণীতা’ সিরিয়াল বেঙ্গল টপার হয়ে উঠেছে। দর্শকরা ‘পারুল’ এবং ‘রায়ান’ এর সম্পর্কের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তাদের চমৎকার রসায়ন এবং সম্পর্কের জটিলতা দর্শকদের মধ্যে তীব্র আবেগ সৃষ্টি করেছে। ঈশানী চট্টোপাধ্যায়ের পারফরম্যান্স এবং তাঁর চরিত্র ‘পারুল’ এখন ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে। দর্শকরা সিরিয়ালের প্রত্যেকটি দৃশ্যে তাঁদের সংলাপ, অভিনয় এবং চরিত্রের গভীরতাকে সহজেই মেনে নিতে শুরু করেছে।
আজকের ‘পরিণীতা’ সিরিয়ালে পারুল ও রায়ানের সম্পর্ক এক অন্য মাত্রায় পৌঁছেছে। তাদের মধ্যে প্রেম, বিশ্বাস, এবং কিছু শত্রুতার সঙ্গম দেখানো হয়েছে, যা দর্শকদের কাছে অত্যন্ত উপভোগ্য হয়েছে। যদিও প্রথমে দর্শকরা বিশ্বাস করতে পারেননি, বর্তমান পর্বগুলোতে পারুল এবং রায়ানের সম্পর্কের গভীরতা দর্শকদের আরো সংবেদনশীল করেছে। এই পরিবর্তন এবং তাদের গল্পের উত্থান ‘পরিণীতা’ সিরিয়ালের শীর্ষস্থান অধিকার করেছে।
আরও পড়ুনঃ ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পুড়ে গিয়েছিল মুখ! কিন্তু থামেনি অদম্য লড়াই! অভিনেত্রী মৈত্রেয়ী মিত্রের ইচ্ছে শক্তিকে কুর্নিশ
ঈশানী চট্টোপাধ্যায় নিজেই বলেছেন, “প্রথমদিকে কিছু ট্রোলিং ছিল, কিন্তু আমি সবসময় হাসিমুখে জীবনকে গ্রহণ করি। ভালোর সঙ্গে খারাপও আসে, তবে আমি সব সময় ভালো করার চেষ্টা করি।” অভিনেত্রী আরও বলেন, “প্রথমদিকে কিছু দর্শক হয়তো আমার কাজ পছন্দ করেননি, কিন্তু আমি আশা করি তারা এখন বুঝতে পারছেন যে, পরিশ্রমের ফল সবার সামনে আসছে।” ‘পরিণীতা’ এখন টেলিভিশনের একটি সফল সিরিয়াল হিসেবে স্বীকৃত। দর্শকদের গ্রহণযোগ্যতা এবং সিরিয়ালের জনপ্রিয়তা প্রমাণ করেছে যে, সঠিক পরিশ্রম এবং বিশ্বাসে নিজেকে প্রমাণ করা সম্ভব।