“আমাদের মতো মধ্যবিত্ত বাড়িতে একটা সেপারেশন হওয়া মানেই কিন্তু বিশাল ব্যাপার”, দ্বিতীয়বার বিয়ের আগে ভাবতে হয়েছিল, জীবন নিয়ে অকপট মানালি

মৌরি একসময় অত্যন্ত জনপ্রিয় বাংলা ধারাবাহিকের চরিত্র। স্টার জলসার ‘বউ কথা কও’ সিরিয়ালের এই চরিত্র অভিনয় করতে দেখা গেছিল মানালি দে’কে (Manali Dey)। এই অভিনেত্রীকে টেলিভিশনের পর্দায় শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল জি বাংলায় ‘কার কাছে কই মনের কথা’ ধারাবাহিকে।

বর্তমানে অভিনেত্রীর এক সাক্ষাৎকার সমাজ মাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়ে উঠেছে। সেখানে অভিনেত্রী তাঁর ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে কর্মজীবন সবকিছু নিয়েই অকপটভাবে আলোচনা করছেন। সাক্ষাৎকারে জানান অভিনেত্রী মাত্র সাত বছর বয়সে অভিনয় জগতে শিশু শিল্পী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। তারপর থেকে অনেক জায়গাতেই অভিনয় করতে দেখতে পাওয়া গেছে মানালিকে। মূলত অভিনেত্রী স্টার জলসার বউ কথা কও সিরিয়ালের মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেন।

দীর্ঘ চার বছর ধরে বউ কথা কও চলার পর ধীরে ধীরে তিনি বহু সিরিয়ালে অফার পেতে শুরু করেন। ‘সখী’, ‘ভুলে যেও না প্লিজ’, ‘নকশি কাঁথা’, ‘ধুলোকণা’ প্রভৃতি অভিনেত্রী জীবনে অন্যতম উল্লেখযোগ্য কাজ। এছাড়াও বড় পর্দায় অভিনেত্রীকে ‘প্রাক্তন’, ‘গোত্র’র মতো জনপ্রিয় সিনেমাতেও দেখা গিয়েছে।

এরপর সরাসরি অভিনেত্রীকে তার ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহ নিয়ে জিজ্ঞাসা করায় অভিনেত্রী বলে অভিমন্যু এবং তাঁর বিবাহ একেবারেই তাড়াতাড়ি হয়নি। অভিনেত্রীর মতে, “আমার আর অভিমন্যুর বিয়েটা তাড়াতাড়ি হয়নি, একটু সময় নিয়েই হয়েছে।” বিয়ে করার আগে এই জুটি মনে হয়েছিল, “আমরা আগে দেখবো দুজন দুজনের জন্য পারফেক্ট কিনা। কারন আমরা তো খুব মধ্যবিত্ত বাড়ির ছেলে মেয়ে, তো আমাদের বাড়িতে একটা সেপারেশন হওয়া মানেই কিন্তু বিশাল ব্যাপার”। অবশেষে এই জুটির অনেকদিন বন্ধুত্ব পার হয়ে যাওয়ার পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়, বলেন মানালি।

অভিনেত্রী জীবনে প্রথম বিয়ে গায়ক সপ্তককে করেছিলেন সেই সংক্রান্ত বিষয়ে অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসা করায় বলেন, সম্পর্ক খারাপ ছিল বলেই বিচ্ছেদ হয়েছে, এখন আর তার সাথে কোনো যোগাযোগ নেই। অন্যদিকে আবার, অভিনেত্রীর পছন্দ-অপছন্দের কথা জিজ্ঞাসা করাতে বলেন অভিনেত্রী হিসেবে তার আলিয়া ভট্ট, বিদ্যা বালান, রানী মুখার্জিকে ভালো লাগে। এমনকি তিনিও জানান ছোট পর্দা থেকে শুরু করে বড় পর্দায় অনুষুয়া মজুমদারের সঙ্গে কাজ করায় নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন।

আরও পড়ুনঃ আমি সব সময় হাসিমুখেই থাকি, জীবনের খারাপ, ভালো আমি সমানভাবে দেখি! অল্পতেই মাথা ঘুরে যায় না আমার! অকপট পর্দার পারুল

অভিনেত্রী নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বললেন, বিয়ের পরেও শ্বশুর বাড়িতে তিনি মেয়ের মতনই থাকেন বলে কাজের ফাঁকেও নিজের বাবাকে অনেকটা সময় দিতে পারেন। মানালি বলেন, তিনি যদি কোনো সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসে সেটা বন্ধুত্ব হোক কিংবা বিয়ে তারপর সেই মানুষটাকে কেন্দ্র করে বাইরে জগতে খুব একটা আলোচনা করতে পছন্দ করেন না। ওই সমস্ত সাক্ষাৎকারেই বোঝা গেল ব্যক্তিগত জীবন এবং কর্মজীবন নিয়ে বেজায় ব্যস্ত মৌরি ওরফে মানালি।