স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কথা’ (Kothha) শেষ হওয়ার পরেও দর্শকদের মনে রয়ে গেছে ‘কথাগ্নি’ জুটির রেশ। অগ্নি (Saheb Bhattacharya) ও কথা’র (Susmita Dey) গল্প যেন অনেকের কাছেই নিজের জীবনের মতো হয়ে উঠেছিল। ধারাবাহিক শেষ হয়ে গেলেও, সেই শূন্যতা এখনও ভরিয়ে উঠতে পারেননি ভক্তরা। শেষ দিনের শুটিংয়ের ছবিগুলো এখনও ভাসছে নেটপাড়ায়। কেউ লিখেছেন, “শেষ পর্বটা যেন কিছুতেই ভোলা সম্ভব না”, আবার কেউ জানিয়েছেন, “অগ্নি-কথা ছাড়া সন্ধ্যা অসম্পূর্ণ লাগে।”
এমন জনপ্রিয় জুটি, যাদের পর্দার বাইরে নিয়েও চলেছে নানা গুঞ্জন। শুটিং সেটে সাহেব ভট্টাচার্য ও সুস্মিতা দে-র রসায়ন যেমন ছিল নিখুঁত, তেমনই ব্যক্তিগত জীবনেও তাদের বন্ধুত্বও গভীর। ধারাবাহিক চলাকালীন বহু অনুষ্ঠানে, পার্টিতে, এমনকি একে অপরের পরিবারের সঙ্গে দু’জনকে দেখা গিয়েছে। ভক্তদের ধারণা, সম্পর্কটা বন্ধুত্বের সীমা ছাড়িয়ে অনেক দূর এগিয়েছে। সাহেবের পরিবারের সঙ্গেও সুস্মিতার সম্পর্ক ছিল বেশ ঘনিষ্ঠ। নায়কের ভাগ্নেও নাকি পড়ত সুস্মিতাকে খুব ভালোবাসে।
অন্যদিকে, ধারাবাহিক শেষ হওয়ার পরেও নাকি দু’জনের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে। এমনকি ধারাবাহিকের সমাপ্তির পর তাঁরা একসঙ্গে ঘুরতেও গিয়েছিলেন। তবে সেই সফরের খবর চুপিসারে গোপন রেখেছেন দুজনেই। সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমের তরফে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় জানতে, ধারাবাহিক শেষ হওয়ার পর এখন কেমন দিন কাটছে আর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি? সাহেব বলেন, “দীর্ঘ দুই-আড়াই বছরের অভ্যাস কি আর এত তাড়াতাড়ি ভোলা সম্ভব! রোজ একটা রুটিন ছিল।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে কল টাইমে যাওয়া, তারপর শুটিং করা, মাঝখানে সময় বের করে খেয়ে নেওয়াটা খুব মিস করছি। প্রথম কদিন অবশ্যই অবসর সময় কাটাতে ভালো লাগছিল, কিন্তু এখন ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। আমি জানি, কথাগ্নি ফ্যানরাও খুব মিস করছেন আমাদের।” তবে সাহেব এ-ও পরিষ্কার জানিয়েছেন, ভক্তদের নানা রটনা বা অনুমান সবই গুজব। সমাজ মাধ্যমে নতুন কোনও ধারাবাহিকের গুঞ্জন নিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের ভক্তরা ভালোবাসে সেটা দেখেও ভালো লাগে।
আরও পড়ুনঃ মায়ের উপর রাগ করে শুরু করেছিলাম নির্জলা উপোস করা! আজও মা শক্তি দেনকে যেন আমায় বলে, ‘আমার পুজোটা কর, শান্তি পাবি, শান্ত হবে অশান্ত মন’ অকপট দেবলীনা কুমার
কিন্তু আমায় হুট করে গ্রামের ছেলে রাজু বলে অন্য নায়িকার সঙ্গে চালিয়ে দিচ্ছেন আর সুস্মিতাকে শহরের মেয়ে মন্দাকিনী! এমন কিছুই হচ্ছে না, বিশ্বাস করুন যদি হয়, তো আমাদের সমাজ মাধ্যম থেকেই সেই খবরটা আসবে আগে। তবে কথা দিচ্ছি, এই ফাঁকা সময়টা নিজেদের আরও শক্ত করে নতুন ভাবে গড়ে নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি নতুন কাজে ফিরব।” শেষে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়ে সাহেবের বলেন, “একান্তই যদি আমাদের কথা মনে পড়ে, তাহলে একটা ফানুস আমাদের নাম লিখে উড়িয়ে দিও, ঠিক চলে আসবে আমাদের কাছে!” কথাগ্নি ফ্যানদের জন্য এটাই যেন উৎসবের মরশুমে উপহার।