আদৃত জেনে গেল নিজের পরিচয়! এবার কি সে ফিরবে শুভর কাছে? “গৃহপ্রবেশ” এর আজকের পর্ব জমাটি

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘গৃহপ্রবেশ’ (Grihoprobesh)-এ এসেছে বড় মোড়। শুভর পরিবারে খুশির আমেজ, কারণ সে এক ফুটফুটে পুত্রসন্তান “কেশবের” মা হয়েছে। কিন্তু আদৃতের জীবনে নেমে এসেছে বিপর্যয়। গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক কাজে ভারতে গিয়ে সে ভয়ংকর দুর্ঘটনার শিকার হয়, আর সবাই ধরে নেয় সে আর বেঁচে নেই! দেশের মাটিতে নতুন পরিচয় নতুন জীবন শুরু করে আদৃত। এই নতুন টুইস্টে জমে উঠেছে ধারাবাহিকের গল্প।

আজকের পর্বের শুরুতেই আমরা দেখি আমেরিকাতে আদৃতের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হচ্ছে। দেখতে দেখতে একটা বছর কেটে গেছে আজকের দিনে আদৃতের দুর্ঘটনা হয়েছিল। বাড়ির সবাই বেশ হতাশ এবং শুভর বেশি করে আদৃতের কথা মনে হতে থাকে। এই দিনে জিনিয়াও উপস্থিত হয় এবং জানায় আজকের দিন তার কাছেও কতটা গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে এই দিনেই আদৃতকে খুঁজে পেয়েছিল ডাক্তার মোহনা তাই সে ঠিক করে আজকের দিনেই আজকের জন্মদিন পালন করবে। আদৃতকে নিয়ে মোহনা একটা রেস্তোরাঁয় যায় আর সুন্দর একটা কেক সে আনে আদৃতের জন্য।

Grihoprobesh, Star jalsha, shubhlakshmi, subha-adrit, new episode, গৃহপ্রবেশ, স্টার জলসা, শুভলক্ষ্মী, শুভ-আদৃত, নতুন পর্ব, বাংলা সিরিয়াল

মোহনা বলে, “আজকের দিনেই আমি তোমাকে পেয়েছিলাম। ভাবিনি তোমাকে বাঁচিয়ে তুলতে পারব। কিন্তু তোমার বাঁচার ইচ্ছা আর প্রিয়জনদের ভগবানে বিশ্বাস তোমাকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করে তুলেছে।” এরপর মোহনা বলে আদৃতের কি খেতে ইচ্ছা করছে সে তাই অর্ডার করে দেবে রেস্তোরাঁটি তার বন্ধুর সুতরাং কোন সমস্যাই হবে না, কিন্তু আদৃত অবাক করে দিয়ে বলে, “জন্মদিনে তো পায়েস খায়, তুমি পায়েশ অর্ডার করনি?” মোহনা জানতে চায় তার জন্মদিনের কি পায়েস করা হতো, কে করে দিত?

কিন্তু আদৃতের কিছুই মনে পড়ে না বরং সে বলে আজকের দিনে তার পরিবারের কথা অনেক মনে পড়ছে। মোহনা জানায় আদৃতকে যখন পাওয়া গেছিল তার বুকপকেটে একটা নদীয়ার মিষ্টির দোকানের বিল ছিল। এই কথা শুনে আদৃত উত্তেজিত হয়ে যায় এবং সে নদীয়া যেতে চায়। তাকে মোহনা জানায় কিছুদিনের মধ্যেই মোহনার একটা মেডিকেল ক্যাম্প হবে নদীয়ায় তখন সে আদৃতকে সঙ্গে করে নিয়ে যাবে।অন্যদিকে পাশের টেবিলে স্বপন বলে এক ব্যক্তি বসেছিল, সে আদরিত কে দেখে চিনতে পারে এবং অনেক বার ডেকে কিন্তু স্মৃতি হারিয়ে ফেলায়, পরিচয় বদলে যাওয়া য় আদৃত কোনও ডাকেই সাড়া দেয় না।

আরও পড়ুনঃ পাপ বাপকেও ছাড়ে না!! তিন প্রাক্তন প্রেমিকার অভিযোগে জেরে ভয়ংকর পরিণতি সায়ন্ত মোদকের!

স্বপন শুভ কে ফোন করে আদৃত কোথায় জানতে চাইলে শুভ বলে এক বছর আগেই সে মারা গিয়েছে। স্বপনের মনে হতে থাকে একই দেখতে দুটো লোক তো হতেই পারে তাই তার মনের ভুল হয়েছে বলে সে ফোন রেখে দেয়। অন্যদিকে মোহনা আয়ান মানে আদৃতকে নিয়ে বাড়ি ফিরলে দেখে তার মা সেখানে উপস্থিত তার মা আদৃতকে দেখে খুশি হয় এবং বলে, “একদিকে তুমি আমাদের নিজের না হয়েও নিজের ছেলে হয়ে উঠেছ। অন্যদিকে আমার ছেলে ব্যবসা ব্যবসা করে সব সময় বাড়ির বাইরে থাকে, মা বোনের একটা খোঁজও নেয় না।”

আদৃত বলে ব্যবসা এমন একটা জিনিস যেখানে অনেক কিছু ত্যাগ করতে হয় হাসি, মজা, আনন্দ, করিবার সমস্তই। মোহনার আরো খটকা লাগে সে আদৃতকে বলে নিশ্চয়ই অতীতে ব্যবসা তার জীবনের একটা বড় অংশ ছিল। না হলে যখনই ব্যবসার কথা হয় আদৃত অনেক জ্ঞানের কথা বলে। অন্যদিকে দায় বাড়িতে আকাশ মানে মোহনার দাদা উপস্থিত হয় আদৃতের সাথে হওয়ার চুক্তি বাতিল করে টাকা ফেরত নিতে, কিন্তু শুভ আপত্তি জানিয়ে বলে, আদৃতের অসম্পূর্ণ কাজ সে সম্পূর্ণ করবে। এখানেই পর্বটি শেষ হয়ে যায়। আদৃত আর শুভ কি সামনাসামনি হবে এবার?

Notifications Powered By Aplu