ছেলেবেলাতে হারান মা-বাবাকে! অর্থ কস্টে বস্তিতে জোটে ঠাঁই! পরবর্তীতে তিনিই হয়ে ওঠেন টলিউডের সেরা অভিনেত্রী! সন্ধ্যা রায়ের জীবনের গল্প চোখে জল আনবে আপনার

‘আজ তোমার পরীক্ষা, ভগবান’ মনে পড়ে সেই বাবা তারকনাথ’-এর বিজ্ঞানীর স্ত্রীয়ের কথা। আজও সেই সিনেমা দেখলে কত না দর্শকদের চোখে অনায়াসে জল চলে আসে। এই সিনেমার নায়িকা আজ টলিউডের সেরা অভিনেত্রী। নায়িকার নাম সন্ধ্যা রায় (Sandhya Roy)

বর্তমানে অভিনেত্রীর বয়স প্রায় ৮০-র ঘরে। এক সময়ে টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে চুটিয়ে অভিনয় করেছেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে টানা বাংলার দর্শকদের মনোরঞ্জন করেছেন তিনি। তবে, এখন আর সেইভাবে পর্দায় দেখা যায় না অভিনেত্রীকে।

Actress

তবে, টলিউডের প্রথম শাড়ির এই অভিনেত্রীর জীবনে চলার পথ মোটেই সহজ ছিল না। ব্যক্তিগত জীবনে অভিনেত্রী মাত্র ৭ বছর বয়সে বাবাকে এবং ৯ বছর বয়সে তাঁর মাকে হারান। এরপর, মামার বাড়িতেও আর্থিক কষ্ট থাকার দরুন সেখানেও বাস জুটলো না বেশিদিন। ভাগ্যের লিখনে অভিভাবকহীন বাচ্চা মেয়েটির শরণার্থী হিসেবে ঠাঁই হয় এক বস্তিতে।

কিন্তু, ভগবানের অশেষ কৃপায় বস্তিতে থাকাকালীনই সন্ধ্যা দেবী সুযোগ পায় ছবিতে অভিনয় করার। সিনেমার শুটিং দেখতে গিয়ে পরিচালক পশুপতি নাথ চট্টোপাধ্যায়ের চোখে পড়ে তিনি এবং পরবর্তীকালে, ‘অন্তরীক্ষ’ ছবির হাত ধরে সিনে জগতে পা রাখেন সন্ধ্যা দেবী।

আরও পড়ুনঃ জন্মের ৭দিন পরেই গোল্লার ভিডিও শেয়ার করলেন মানসী! কিউট ভিডিও দেখে খুশি নেটপাড়া

অভিনেত্রীর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সিনেমা হল- ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘বাবা তারকনাথ’, ‘পলাতক’, ‘রক্ত পলাশ’, ‘কুহেলি’, ‘গঙ্গা’, কঠিন মায়ার মতন সিনেমাতে নিজস্ব ছাপ রেখেছেন তিনি। টলিউড ছাড়া বলিউডেও অভিনেত্রী বেশ কয়েকটি সিনেমাতে অভিনয় করেছেন।

ব্যক্তিগত জীবনে অভিনেত্রী ১৯৬৭ সালে পরিচালক তরুণ মজুমদারের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তবে দীর্ঘ কয়েক বছর সংসার করার পর সম্পর্কে ভাঙন ধারায় তাঁরা আলাদা থাকতেন। অভিনয় জগতের সঙ্গে সন্ধ্যা দেবী রাজনীতিতেও নিজের কর্মদক্ষতা দেখিয়েছেন। অবশেষে এখন অভিনেত্রী ২০২২ সালে স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে একাকী জীবন কাটান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।

You cannot copy content of this page