আদৃতের কথা শুনে অবাক হল শুভলক্ষী! আয়নের সঙ্গে দেখা করার জন্য উদগ্রীব মোহনা! তবে কি শুভকে ছেড়ে মোহনার কাছেই ফিরবে আদৃত?

বাড়ি ফিরলো আদৃত। স্টার জলসার গৃহপ্রবেশ সিরিয়ালে আজকের পর্বে দেখা যাবে, বাড়িতে এসেই শুভ তাকে নিয়ে গেল নিজেদের ঘরেতে। এরপর, একে একে সব জিনিস দেখাতে থাকলো। আয়ান অর্থাৎ আদৃত দেখলেও তা কিছুতেই মনে করে উঠতে পারছিলো না। এমন সময়, ড্রেসিং টেবিলে থাকে একটা কানের দুল নিয়ে অনেক্ষণ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে থাকে। আর, সেই সময় ঐ দুলটার স্মৃতি নিয়ে আদৃতকে জিজ্ঞাসা করলেও তাঁর কিছুই মনে পরে না। বরং, সে বলে ওঠে এই দুলটা সে আকাশের অফিসে দেখার পর এমনই একটা দুল মোহনাকে কিনে দিয়েছিল।

অন্যদিকে মোহনা আয়ানের চিঠি আঁকড়ে অঝোরে কাঁদতে থাকে আর মনে মনে ভাবে সে কি করে তাকে না বলে চলে গেল। তারপরই আবার মোহনা নিজে থেকেই বলে, সে তো এই দিনটার জন্যই অপেক্ষা করছিল কবে আই এম তার নিজের বাড়ির লোকদের ফিরে পাবে। কিন্তু তার কেন এত কষ্ট হচ্ছে তা কিছুতেই বুঝতে পারছে না মোহনা।

Tollywood serial Grihaprabash, star jalsha, Ushasi Roy, Sushmit Mukherjee, Entertainmentnews, entertainment, বিনোদন, স্টার জলসা, অভিনেতা, অভিনেত্রী, টলিউড,গৃহপ্রবেশ, সুস্মিত মুখার্জী, ঊষসী রায়, সিরিয়াল, ধারাবাহিক

এমন সময় পরিস্থিতির কবলে পড়ে যথেষ্ট মনে কষ্ট পেয়েছে আকাশও। আশীর্বাদ এর আংটিটা হাতে নিয়ে বিয়ের সমস্ত স্মৃতিচারণা করতে থাকে আকাশ। এমন সময় সুনন্দা এসে তাকে বলে, কী ভাবছিস আকাশ? নিজেকে আর আটকে রাখতে না পেরে আকাশ মনের কথা খুলে বলে তার মাকে। আকাশ জানে সে খুবই ভালোবেসে ফেলেছিল শুভলক্ষীকে, তাই সেই অনুমতি তাকে ভুলতে পারছে না। এই শুনে সুনন্দা আকাশকে মন খুলে কাঁদতে বলে, যাতে না তার মনে কান্নার পাহাড় তৈরী হয়।

এরপর সুনন্দা-আকাশের কথার মাঝে এসে পরে মোহনা। আর সেই সময়তেই আদৃতের বাড়ি থেকে ফোন আসে আকাশের বাড়িতে। ফোন আসামাত্রই খুবই উত্তেজিত হয়ে পড়ে মোহনা এবং আয়ানের সঙ্গে কথা বলতে চাই। পরবর্তীকালে শুভর সঙ্গে কথা বলে সে জানতে পারে তাদের আগামীকাল সত্যনারায়ণ পুজোর জন্য নেমন্তন্ন রয়েছে। এই খবর জানামাত্রই মোহনা খুবই খুশি হয়ে ওঠে কারণ সে আবার তার আয়ানকে দেখতে পাবে।

অন্যদিকে রবিবারের আড্ডায় মেতে উঠেছে রায় পরিবার। শুভ এবং আদৃতের ভাই-বোনেরা সকলে মিলে হাসি-ঠাট্টা মজা করলেও আয়ান কোন কিছুই অনুভব করে উঠতে পারেনা। আর ওদিকে, আইনের বাড়ি যাবে বলে তারই বাছাই করতে থাকে মোহনা। এমন সময় কোন শাড়িটা পড়বে বলে ঠিক করতে না পেরে মোহনা আইন কে ফোন করে কিন্তু সে ফোন ধরে না। এরপর আবার দেখা যায় বাড়ির সবাই মিলে আদৃতের প্রিয় খাবার রান্না করেছে এবং সেই খাবার যত্ন সহকারে সেবন্তি তাকে খাইয়ে দিচ্ছে। খাবারের স্বাদ খুব চেনা লাগলেও আদৃত এখনো কিছুই মনে করে উঠতে পারছে না।

এরপর শুভর হাতের বানানো লাড্ডু খেয়ে তাঁর স্বাদটা খুব চেনা লাগে। এমন সময় শিরিন বলে ওঠে, ‘দাদাভাই তোর কাউকে না মনে থাকলেও শুভদির হাতের স্বাদ তোর ঠিক মনে রয়েছে’। এরপর, ঘরে চলে যায় আদৃত। ঘরে এসে দেখে মোহনা ফোন করছে এবং তার ফোন ধরা মাত্রই তাকে কেন সেই মোহনাকে না বলে চলে এসেছে। ফোনে কথা বলার সময় হঠাৎই ঘরে শুভ চলে আসায় ফোন কেটে দেয় আদৃত। শুভকে কোন প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই চলে যায় আদৃত।

আরও পড়ুনঃ “পেটের দায়ে ধারাবাহিক করছি! কাজ না করলে আমি তো সংসারটা চালাতে পারব না!” চোখের জলে জীবনের কষ্ট নিয়ে অকপট অভিনেতা শঙ্কর চক্রবর্তী

এরপর পুনরায় মোহনা ফোন করলেও সেই ফোন ধরে শুভ। শুভ মোহনার ফোন বুঝতে পেরে সে মনে মনে ভাবে কেন তাকে আদৃত মিথ্যে কথা বলল। এরপর, একটাই বাড়ির মধ্যে ঘুরতে থাকার সময় একটা ঘরে কেশবকে দেখতে পায় আদৃত আর তার কাছে গিয়ে কথা বলতে থাকে। এই দৃশ্য দেখে খুশি হয় শুভলক্ষ্মী। অন্যদিকে আবার দেখা যাচ্ছে প্রায় পরিবারের সবাই মিলে পরিকল্পনা করছে কি করে আদৃতের স্মৃতি ফেরানো যায়।