পারুলের জীবনে ঝামেলা শেষ নেই। একের পর এক ঝামেলায় জর্জরিত হয়ে উঠছে বসু বাড়ির নাতবৌ। জি বাংলার পরিণীতে ধারাবাহিকের গত পর্বে দেখা গেছে, দাদু মৈনাক এবং ত্বরিতাকে পাঠিয়েছে হসপিটালে শিরিনের খোঁজ নেওয়ার জন্য। আর এই খবরটাই রায়ান পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করছে শিরিনদের কাছে। এমন সময় রায়ানের মা তার ফোন খুজে পাচ্ছে না।
অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর পারুল দেখতে পায় সিঁড়ির এক কোণে বসে রায়ান এই ফোন থেকেই শিরিনকে ফোন করার চেষ্টা করছে। আর এই সময়ে একেবারে হাতে নাতে রায়ানকে ধরে ফেলে পারুল এবং বাড়ির সবাইকে ডেকে তার কীর্তিকলাপ বলে। এদিকে মৈনাকরা পৌঁছে গেছে হসপিটালে। ত্বরিতারা হসপিটালে পৌঁছানো মাত্রই দেখে শিরিনকে ঘিরে রয়েছে তাঁর বন্ধুরা। রায়ানের কথা সত্যি হয়েছে দেখে খানিক হতাশ হয় মৈনাক, আর ভগবানের কাছে প্রার্থনা করে সে যেনো তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে।
এদিকে, রায়ান কে করা পাহারে বসিয়ে রেখেছে পারুল। এর মধ্যেই, বাড়িতে মৈনাকরা এসে বলে রাইয়ান যা বলেছে একেবারেই ঠিক কথা বলেছে, ‘শিরিন সত্যি কোমায় রয়েছে’। এই শুনে পারুলের মনে খটকা লাগলেও রায়ান তাঁর বড়দির সঙ্গে চোখে চোখে ইশারায় কিছু একটা কথা বলে নিল, যা কেউই খেয়াল করল না। এই শুনে রায়ানের মা রেগে গেলেও দাদু কিছুতেই বিষয়টাকে বিশ্বাস করতে পারছে না।
অন্যদিকে রায়ান সেদিনের কাছে চলে যাওয়ার পরেই মৈনাক একটা অবাক করা কথা বলে বসে সবার সামনে। মৈনাক বলে, দামি হসপিটালে রোগী থেকে শুরু করে তাঁদের বাড়ির সদস্য এমনকি বন্ধু-বান্ধবদের জন্য স্পেশাল আয়োজন করে থাকে। কারণ, মৈনাক বাড়ি ফেরার সময় শিরিনের বেডের নীচে পিজ্জার বক্স দেখতে পায়। এই কথা শোনা মাত্রই পারুলের মনের সন্দেহ আরো বেড়ে যায় এবং নিশ্চিত হয় এই সবটাই শিরিনদের সাজানো।
এদিকে আবার দেখা যায় রায়ান পৌঁছে গেছে হসপিটালে। সেখানে গিয়ে রায়ান বন্ধুদের সঙ্গে নানা আলোচনার মাধ্যমে ভাবতে থাকে কীকরে পারুলকে কলেজ থেকে বের করে দেবে? এরপরই শিরিনদের মাথায় খেয়াল আসে কলেজে ফোন করে খোঁজ নেওয়ার জন্য পারুলকে কি আদৌ ডিএন স্যার বহিষ্কার করেছে? ফোন করে জানতে পারে পারুল নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য স্যারের থেকে দুদিন সময় চেয়ে নিয়েছে। এই ভেবে আরই অস্থির হয়ে ওঠে রায়ানরা এবং তারা শিরিনের কেবিনের জন্য কড়া গার্ড দিতে শুরু করে, যাতে কেউ ছদ্দবেশে না ঢুকতে পারে।
অন্যদিকে, পরের দিন সকাল হওয়া মাত্রই পারুল তার বন্ধুদের সঙ্গে পরিকল্পনা করতে শুরু করে কি করে শিরিনদের সব জারিজুড়ি ফাঁস করবে? এমন সময়, পারুল ঠিক করে ছদ্মবেশ নিয়েই হসপিটালে যাবে। এরপর, দেখা যায় রায়ানরা কড়া গার্ড দিচ্ছে শিরিনের ঘরের বাইরে আর যাঁরাই যাচ্ছে তাঁদেরকে খুব ভালো করে দেখছে। আর এর মধ্যেই সকলের চোখ এড়িয়ে পারুল শিরিনের ঘরে ঢুকতে গেলেও রায়ান তাঁকে পিছন থেকে ধরে ফেলে।
আরও পড়ুনঃ আদৃতের কথা শুনে অবাক হল শুভলক্ষী! আয়নের সঙ্গে দেখা করার জন্য উদগ্রীব মোহনা! তবে কি শুভকে ছেড়ে মোহনার কাছেই ফিরবে আদৃত?
এই ধারাবাহিকের আগামী পর্বে দেখা যাবে, ছদ্দবেশী পারুলকে ধরে ফেলেছে রায়ান। আর, তারপরেই হাসপাতালের সবাইকে ডেকে রায়ান রা পারুলকে শাস্তি দিতে চায়। এই সময় পারুল নিজে থেকেই বলে সে অপরাধ করেছে তাই তাকে পুলিশে দেওয়া উচিত এই শুনে রায়ান কিছুটা হলেও ভয় পেয়ে যায়।