‘মা গো, তোমায় ছাড়া ঘুম আসে না মা…।’ নিঃসন্দেহে স্টার জলসার (Star Jalsha) অন্যতম সেরা ধারাবাহিকগুলির মধ্যে ‘মা’ (Maa) আজও শ্রেষ্ঠ। এক মায়ের হারিয়ে যাওয়া ছোট্ট মেয়েকে ফিরে পাওয়ার যন্ত্রণাকে নিয়ে গড়ে উঠেছিল এই ধারাবাহিক। যা শুধু টেলিভিশনের পর্দায় নয়, দর্শকদের হৃদয়েও স্থায়ী ছাপ ফেলেছিল। এই ধারাবাহিকের প্রতিটি চরিত্রই দর্শকের কাছে সমানভাবে জনপ্রিয় ছিল। তার মধ্যে বিশেষ করে ‘ছোট্ট পরী’র (Pari) মায়াভরা চোখ, নিষ্পাপ হাসি একঝলকেই মন কেড়েছিল সবার।
‘মা’ শুধু একটি ধারাবাহিক ছিল না, ছিল বাঙালির আবেগ। যা আজও অনেকের স্মৃতিতে সমানভাবে উজ্জ্বল। এই ধারাবাহিকে ছোট পরীর চরিত্রে যিনি অভিনয় করেছিলেন, সেই শিশুশিল্পী ‘সোহেনা রায়’ (Sohena Roy) আজ অনেকটাই বদলে গেছেন। ছোট্ট মেয়েটি যে একদিন পর্দায় মাতৃত্বের টান বুঝিয়েছিল নিঃশব্দ চোখে, আজ সে এক সুন্দরী কিশোরী। অনেকেই আজও সমাজ মাধ্যমে ‘মা’ ধারাবাহিকের রিল তুলে ধরে ছোট পরীর কথা বলেন।
কিন্তু জানেন কি সেই পরী আজ কোথায়? ‘মা’ ধারাবাহিকের পরেও অভিনয় জগতের সাথে যুক্ত ছিলেন সোহেনা। একাধিক কাজের মধ্যে অন্যতম ছিল একটি জনপ্রিয় ভূতুড়ে ছবি ‘মায়া’, যেখানে তার অভিনয় আবারো নজর কেড়েছিল। শুধু বাংলা নয়, হিন্দি ধারাবাহিকেও শিশুশিল্পী হিসেবে তার উপস্থিতি নজর কেড়েছিল। অল্প বয়সেই অভিনয়ের অভিজ্ঞতা ও পরিপক্বতা, তাকে নিয়ে দর্শকদের মধ্যে ছিল আলাদা আগ্রহ।
তবু, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্যামেরার আলো থেকে কিছুটা দূরেই সরে গেছেন তিনি। বর্তমানে সোহেনা আর পর্দার সাথে যুক্ত নন। কোথাও হয়তো নিজেকে অন্যভাবে গড়ে তুলছেন। অভিনয়জগতে ফেরা নিয়ে এখনই স্পষ্ট কিছু জানা যায় না, তবে তাঁর সমাজ মাধ্যমের পাতার থেকে মাঝে মাঝে পুরনো অনুরাগীরা তাঁকে খুঁজে পান। সেখানেই মেলে আজকের সোহেনার ঝলক। শিশুশিল্পীর পরিচয় পেরিয়ে এক নতুন চেহারায় ধরা দেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ “সংসার শুধু স্বামীর সঙ্গেই হয় না! আমার জীবনে আর প্রেমের জায়গা নেই, সন্তান, মা-বাবা এটাই আমার পরিবার”— বহুগামী কাঞ্চনকে আয়না দেখালেন অনিন্দিতা?
যদিও বাংলা টেলিভিশনে ‘মা’ ধারাবাহিকের সেই সোহেনাকে দেখে অনেকেই আজও আবেগপ্রবণ হন, তবে জীবন এগিয়ে গেছে অন্য খাতে। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে চেনা সেই খুদের পৃথিবী। আর তিনি নিজেও হয়তো নতুন স্বপ্নে বাঁচছেন, ক্যামেরার বাইরেই। অভিনয়জগতে তিনি ফিরবেন কিনা তা ভবিষ্যতের হাতে, তবে ‘পরী’ নামটি দর্শকদের হৃদয়ে আজও অমলিন তা বলাই বাহুল্য!