বাবা-মা আমার জন্য অনেক কষ্ট করেছেন, আমি ওদের সব স্বপ্ন পূরণ করব! জীবনে পরিশ্রমই শেষ কথা, তবেই আসবে সাফল্য! অকপট দিব্যজ্যোতি দত্ত

কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে, আজকের দিনে প্রতিযোগিতার দুনিয়ায় এ কথার অর্থ জানে না এমন খুব একটা কেউ নেই। বিশেষত, বিনোদন জগতে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে গেলে প্রায় প্রতিটা শিল্পীরাই নিজেদের মতন করে লড়াই করে চলে যায়। তা সে জনপ্রিয় হোক কিংবা না হোক।

বর্তমানে বাংলা টেলিভিশন দুনিয়ায় দিব্যজ্যোতি দত্ত এক অত্যন্ত পরিচিত মুখ। এই অভিনেতাকে সবাই এখন সূর্য নামেই চেনে। অনুরাগের ছোঁয়ার হাত ধরে দর্শকদের মনে পাকাপাকি ভাবে জায়গা করে নিয়েছে দিব্যজ্যোতি।

একসময় এই অভিনেতা জি বাংলা জয়ী ধারাবাহিকের হাত ধরে অভিনয় জগতে অভিষেক করেছিলেন। তারপর থেকে একে একে চুনি পান্না দেশের মাটি’র জনপ্রিয় সিরিয়ালে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে। বলাই বাহুল্য মাত্র ৩০ বছর বয়সে এই অভিনেতা জীবনে ব্যাপক সফলতার মুখ দেখেছেন।

শোনা যায়, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ছোটবেলা থেকেই অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন সূর্য ওরফে দিব্যজ্যোতি। অভিনেতাকে দেখলেই বোঝা যায় তিনি একজন ইতিবাচক চিন্তা ধারার মানুষ। আর, এই পজেটিভ প্রভাবই দেখতে পাওয়া যায় টিভির পর্দায়। একবার এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জীবনে কি করে এত পজিটিভ থাকেন? জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, এই পুরো ব্যাপারটাই নাকি তিনি বাবা মায়ের থেকে শিখেছেন। বাবা-মা তার জন্য অনেক কষ্ট করেছেন, বললেন দিব্যজ্যোতি।

আরও পড়ুনঃ “এমন মাতৃভাব আর সুর নিয়ে ভগবানকে ডাকলে, সে কি সারা না দিয়ে পারে!” — ছেলে কেশবকে কৃষ্ণভজন গেয়ে ঘুম পাড়ালেন মা মধুবনী! ভাইরাল ভিডিওতে মুগ্ধ নেটপাড়া!

অভিনেতা আরো বলেছেন, “প্রত্যেক বাবা-মায়েরা চান তাদের ছেলে মেয়ের ভালো ভবিষ্যৎ দেওয়ার চেষ্টা করেন। যেমন আমার দাদু অনেক কষ্ট করেছেন তাই আজ বাবা একজন সফল স্বর্ণ ব্যবসায়ী। সেই চেষ্টা আমিও করি। যা ভালো কাজের অনুপ্রেরণা জোগায়। স্বপ্ন দেখা সকলের উচিত, কিন্তু দেখলেই হবে না সেটার জন্য পরিশ্রম করতে হবে তাহলেই সাফল্য আসবে জীবনে”।