প্রথম কাজেই অডিশন দিতে হয়নি তাঁকে। প্রথম দেখাতেই সাহানা দত্ত তাঁকে বানিয়েছিলেন নায়িকা। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ‘শ্রুতি দাস’ (Shruti Das) কে নিয়ে, একটা সময় অনেক কিছু শুনতে হয়েছিল তাঁকে শুধুমাত্র গায়ের রং কালো বলে। এমনকি স্বামী এবং পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার (Swarnendu Samaddar) পর্যন্ত তাঁকে নিতে চাননি ‘ত্রিনয়নী’ (Trinayani) ধারাবাহিকে। সেখান থেকে বেরিয়ে আজ নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ‘আমার বস্’ (Aamar Boss) এর অভিনেত্রী। কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা? জানালেন তিনি নিজেই।
সামনেই আসছে বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘আমার বস্’ মুক্তির তারিখ। আসন্ন ৯ তারিখ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে এই ছবি। ‘বহুরূপী’র পর শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে দর্শকদের প্রত্যাশা তুঙ্গে, তার উপরে এই ছবিতে অভিনয় করছেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী রাখি গুলজার। সব মিলিয়ে এখন দর্শক মনে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। তবে এই ছবির হাত ধরে বড়পর্দায় পা রাখলেন টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। এদিন এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন তিনি।
প্রথমেই অভিনেত্রীকে জানতে চাওয়া হয়, বড় পর্দায় পা রাখার পর এবার কি ছোট পর্দায় ফিরে যাবেন? অভিনেত্রী বলেন ছোটপর্দাই আমার ভিত,ওখানেই আমার শিকড়, তাই নিজের পছন্দ মতো চরিত্র পেলে অবশ্যই করব। এতদিনে কিছু চরিত্রর জন্য ডাক পেয়েছি কিন্তু নিজেকে যোগ্য মনে হয়নি তাই করিনি। তিনি জানালেন স্ট্রাগেলিং পিরিয়ড এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন গত দু’বছর ধরে। হাতে কোনও কাজ নেই। মনের দুঃখ প্রকাশ করে বললেন, “ছোট পর্দা যদি আমায় ফেরাতে চায়, তাহলে অবশ্যই ফিরব।”
এরপর অভিনেত্রীকে জানতে চাওয়া হয় শিবপ্রসাদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন? উত্তরে অভিনেত্রী হেসে বলেন, “ওনার কোনও তুলনা হয় না। পরিচালক হিসাবে আমার স্বামী পর্যন্ত বলেন যে পরিমান পরিশ্রম করে উনি এই জায়গায় পৌঁছেছেন সেটা অতুলনীয়। শিবুদা এবং নন্দিতাদি দুজনেই খুব মাটির মানুষ। ‘বহুরূপী’ ছবির পর অনায়াসে নিজেদের পাল্টে ফেলতে পারতেন, কিন্তু এখনো মাটিতে পা রেখেই চলেন। শিবুদার হয়ে কাজ করা অনেকেরই স্বপ্ন, আমার যে স্বপ্নটা এত তাড়াতাড়ি পূরণ হবে ভাবতে পারিনি।”
আরও পড়ুনঃ বাড়ির সবাইকে এক করতে চমৎকার ফন্দি আটলো শুভ! দিনে দিনে শুভ-আদির মধ্যে অশান্তি বেড়েই চলছে! কি হতে চলেছে গৃহপ্রবেশ ধারাবাহিকে?
রাখি গুলজার এর সাথে অভিনয়, তাও আবার প্রথম ছবিতেই! কেমন ছিল অভিনেত্রী সেই অভিজ্ঞতা? শ্রুতি বলেন, ” রাখি গুলজার নামটাই যথেষ্ট, উনি যেন নিজেই একটা প্রতিষ্ঠান। ওনার সাথে অভিনয় করতে গিয়ে বুঝতে পেরেছি, এই অল্প অভিনয় জীবনেই বড্ড বেশি ফরফর করি আমরা। নবীন ও প্রবীণ নির্বিশেষে সকলের সাথে অনায়াসে মিশে যান তিনি, কখনোই নিজের মাহাত্ম্য প্রকাশ করেন না। এখানেই তিনি প্রমাণ করেন কেন তাঁকে কিংবদন্তি বলা হয়। সবশেষে ধন্যবাদ শিবুদা নন্দিতাদিকে, ওরা ছিল বলেই আজ রাখি গুলজার এর সাথে কাজ করতে পারলাম।”