‘সবার বড়দিন আনন্দের হয় না…কেউ কেউ কাঁদে উৎসবের মরশুমেও’, বর্ষশেষের আলোই কি নীরব কষ্ট ঢাকতে পারবে? হঠাৎ কাকে ঘিরে এমন কষ্টের কথা প্রকাশ করলেন স্বস্তিকা?

শহর ধীরে ধীরে সেজে উঠছে আলোর সাজে। উৎসবের মরশুম মানেই হাসি আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে ভরা চারপাশ। কিন্তু এই ঝলমলে আবহের আড়ালেও লুকিয়ে থাকে অন্য এক বাস্তবতা। সবার জীবনে এই সময়টা সমান রঙিন হয় না। কারও চোখে আনন্দের আলো থাকলেও কারও মনে জমে ওঠে নিঃশব্দ কষ্ট আর শূন্যতা।

বর্ষশেষ ও নতুন বছরের অপেক্ষায় অনেকেই যখন আনন্দে মেতে ওঠেন তখন কারও কারও জীবনজুড়ে থাকে অনিশ্চয়তা। কেউ চাকরি হারিয়ে ভবিষ্যতের চিন্তায় ক্লান্ত। কেউ প্রিয়জনের থেকে দূরে থেকে একাকিত্বে ভোগেন। আবার কারও হৃদয়ে থাকে সদ্য হারানো আপন মানুষের স্মৃতি। উৎসবের মরশুমে এই মানুষগুলোর কাছে আনন্দ যেন আরও ভারী হয়ে ওঠে।

এই কথাগুলিই মনে করিয়ে দিলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ভাবনা স্পষ্ট ভাষায় তুলে ধরতে তিনি বরাবরই অকপট। কোনও বিষয়েই রাখঢাক করেন না। কটাক্ষ বা সমালোচনা তাঁর পথচলায় বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি কখনও। বরং সাহসের সঙ্গে নিজের অনুভূতি আর উপলব্ধি ভাগ করে নিতেই তিনি স্বচ্ছন্দ।

উৎসব শুরু হতেই একটি আবেগঘন পোস্টে স্বস্তিকা লিখেছেন বিনীত অনুরোধের কথা। বড়দিনের আলো আর উৎসবের সুরের মাঝেও যেন আমরা ভুলে না যাই সেই মানুষদের যারা নীরবে কষ্ট বইছেন। অর্থনৈতিক দুশ্চিন্তা উদ্বেগ আর কঠিন সময়ের সঙ্গে লড়াই করে নিজেদের সামলে রাখার চেষ্টা করছেন অনেকেই।

আরও পড়ুনঃ ভাঙল ২৬ বছরের সম্পর্ক! ভেঙে গেল মমতা শঙ্করের ভাইঝি শ্রীনন্দা শঙ্কর ও গেভ সাতারাওয়ালার দীর্ঘ দাম্পত্য! আইনত আলাদা হলেন তাঁরা

ক্রিসমাস থেকে বর্ষবরণ পর্যন্ত শহরের নানা প্রান্তে নানা ঘটনা ঘটে। সেই প্রেক্ষিতেই স্বস্তিকার এই বার্তা যেন মানবিকতার স্মরণ করিয়ে দেয়। দয়া আর সহানুভূতির প্রয়োজন যে সবসময় থাকে তা তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন সহজ ভাষায়। তাঁর এই সতর্ক ও সংবেদনশীল বার্তায় প্রশংসায় ভরিয়েছেন অনুরাগীরা।

You cannot copy content of this page