কমলিনীর জেদের কাছে হার মানলো স্বতন্ত্র। স্টার জলসার চিরসখা ধারাবাহিকে আজকের এপিসোডে দেখা যাবে, ডল বারেবারে জিজ্ঞাসা করছে ‘কেন তাঁকে নতুনদা বিয়ে করতে পারবে না? সে কেবলই তাঁর (স্বতন্ত্র) জন্য ভাবে। তাই তাঁর বিয়েটাও ভেঙে গেছে’। ডলের মানসিক অসহায়তা শুনে নতুন তাঁকে এক সহকর্মীর কথা বলে।
প্রাথমিকভাবে ডল তার সঙ্গে দেখা করতে না চাইলেও পরবর্তীকালে সে রাজি হয়। এমন সময়, হঠাৎ করে ডলের চোখে কিছু একটা পরে যায় আর তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে নতুন। আর ঠিক এই সময়তেই কমলিনী এসে নিজেই অপ্রস্তুতবোধ করে। এরপর, স্বতন্ত্র বাইরে কারোর একটা ছায়া দেখতে পায়। বাইরে থেকে ডাকে সাড়া দেয় কমলিনী।
কমলিনীকে দেখে অবাক হয় নতুন। কমলিনী জানায়, সে একটা দরকারে এসেছে। এমন সময়, নতুন ডলকে বলে বাইরের ঘরে থাকতে আর তাঁরা ভিতরে গিয়ে কথা বলবে। কিন্তু, ডল চায় সে যাবে ভিতরে আর ওরা বাইরের ঘরেই কথা বলুক। এরপর, ডল পর্দার আড়ালে গিয়ে মনে মনে ভাবে, সে কেনই বা রাগ করবে ন্স নতুনদার ওপর? নতুনদা তাঁকে বারবার প্রত্যাখ্যান করে কমলিনীর দিকে ছুটে গেছে। আরও ভাবে, সে ইচ্ছা করেই তাঁর সহকর্মীর সঙ্গে দেখা করবে যাবে একটু বেশী করে সময় সে স্বতন্ত্রর সঙ্গে কাটাতে পারে।
এদিকে, সময় নষ্ট না করে কমলিনী টাকা ভর্তি খামটা বের করে দেয় তাঁকে। নতুন বারাবারে নিতে নারাজ থাকলেও সে জোর করে টাকাটা দেয়। স্বতন্ত্র তাঁর বৌঠানের ব্যবহারে অপমানিতবোধ করে। এরপর, বাড়ির সবার কথা জিজ্ঞাসা করে নতুন। এরপর, কথায় কথায় কমলিনী বলে তাঁকে বেরোতে হবে, বাইরের আকাশ ভালো না। এদিকে, কমলিনী যাওয়ার সময় ডাক দেয় ডলকে।
ডলও তখন ইচ্ছা করে কমলিনীকে তাঁর ছেলের চাকরি নেই বলে খোঁচা দেয় আর বলে এমন সময় নতুনদা তাঁদের সাহায্য করলে খুব ভালো হয়। এরপর, নতুন কমলিনীকে বাড়ি ছেড়ে দিতে গেলেও সে রাজি হয় না। এরপর, তড়িঘড়ি করে নতুন গাড়ির চাবি নিয়ে বেরোনোর সময় সে ডলকে বলে আসতে। ডল নাছোড়বান্দার মতো চায় তাঁর গাড়িতে যেতে।
এদিকে, স্বতন্ত্র তাঁকে জানায় সে ডলকে গাড়িতে নিয়ে যাবে না। এরপর, ডলও এসব কথা সহ্য করতে না পেরে চলে যায়। এরপর, মাঝ রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে অটোর লাইন থেকে কমলিনীকে ফিরিয়ে আনতে চায় নতুন। কিন্তু, সে তাঁর গাড়িতে উঠবে না। এমন সময়, নতুন আবারও তাঁকে ওই টাকার খামটা দিতে চায় কিন্তু সে নেয় না। অবশেষে, নতুন বলে সে আবারও তাঁর বন্ধুর সঙ্গে কথা বলে দেখবে যাতে বুবলাইয়ের কোথাও একটা যেনো চাকরি হয়ে যায়। নতুন জানায়, বুবলাই তাঁর সন্তানসম, সে চাইলেও তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে পারবে না।
আরও পড়ুনঃ “মা মানেই নিঃশর্ত ভালবাসা, নিজের স্বার্থে সন্তানকে ব্যবহার মাতৃত্বকে বিকৃত করে।”— মাতৃত্বের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে পৃথাকে খোঁচা সুদীপের! শ্রীময়ী ও কমলিনীর চরিত্রেই আসল মাতৃত্ব খুঁজে পান সুদীপ!
নতুন বলে, কমলিনী ও তাঁর মধ্যে কী কেবলই দেওর-বৌদির সম্পর্ক, তা তো নয়। তাঁরা হল একে অপরের ভালো বন্ধু। স্বতন্ত্র বলে, সে খুব ভালো করে জানে সংসার চালাতে তাঁদের কত খরচা হয়। এতকিছু শোনার পরেও কমলিনী চায় এবার তাঁরা নিজেরাই নিজেদের মতন করে সংসার চালাবে, আর কারোর ওপর নির্ভর করবে না।