‘বাকি মায়েদের মতো মা হতে পারিনি, মেয়েকে সময় দিতে পারিনি’, আজ‌ও আক্ষেপ তাড়া করে বেড়ায় চিরসখার মিটিল তথা অভিনেত্রী লাভলী মৈত্রকে!

মাতৃত্ব,একটি শব্দ যা একদিকে যেমন অপরিসীম সুখের, তেমনই অন্যদিকে একেবারে নতুন দায়িত্বের বোঝা। প্রতিটি মা নিজের সন্তানকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য নিজের জীবন ও চিন্তা-ধারা পরিবর্তন করেন। তবে, মাতৃত্বের এই নিত্যদিনের সংগ্রামে অনেক মায়ের জীবন এক ধরনের অসম্পূর্ণতায় থেমে থাকে। সেই অবস্থা কখনও কখনও তাদের অন্তরে আক্ষেপের সুর তুলে দেয়। এমনই কিছু অনুভূতি শেয়ার করেছেন বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী লাভলী মৈত্র।

লাভলী মৈত্র, যিনি বাংলা টেলিভিশন জগতে ‘জল নূপুর’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে নিজের পরিচিতি তৈরি করেছিলেন, এখন একাধিক ধারাবাহিকে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করছেন। তবে, তার জীবনের সবচেয়ে বড় পরিচয় হল তিনি একজন মা। সম্প্রতি মাতৃদিবস উপলক্ষে লাভলী তার মাতৃত্বের জীবনের কিছু অনুভূতি ও আক্ষেপ শেয়ার করেছেন, যা একাধিক নারীর সঙ্গে কানেক্ট করবে।

 

lovely maitra

তিনি জানান, “আমার মেয়ের যখন মাত্র দেড় বছর বয়স, তখন থেকেই আমি কাজ করতে শুরু করি। পরে, যখন ও দুই বছর বয়সী, তখন আমি ভোটে প্রার্থী হয়েছিলাম। ওই সময় থেকে আজ পর্যন্ত আমার জীবন এভাবেই চলে এসেছে। ও এখন সাত বছর বয়সী, কিন্তু কখনোই আমার মেয়ে আমাকে নিয়ে অভিযোগ করেনি। প্রতিটা মুহূর্তে আমাকে সাপোর্ট করেছে, বুঝেছে যে আমার কাজের প্রতি এক ধরণের দায়িত্ববোধ আছে।”

তবে, লাভলী মৈত্র এইসব সুখকর অনুভূতির পাশাপাশি নিজের মধ্যে এক ধরনের আফসোসও অনুভব করেন। তিনি বলেন, “মাঝে মাঝে মনে হয়, মা হিসেবে আমি আমার মেয়েকে যতটা সময় দিতে পারি, তা আমি আসলে দিতে পারিনি। বাকি মায়েদের মতো আমার মেয়েকে যতটা সময় দেওয়ার প্রয়োজন ছিল, সেটা আমি দিতে পারিনি।”

এমনকি লাভলী তার মেয়ে সম্পর্কে আরও বলেন, “আমার মেয়ে জানে যে আমি একজন ওয়ার্কিং মম। ও খুব গর্বিত যে আমি বাইরেও কাজ করি। আবার, বাড়িতেও যখন পারি, তখন চেষ্টা করি ওকে সময় দেওয়ার। ঈশ্বরের আশীর্বাদে, আমার মেয়ে ছোট থেকে আজ পর্যন্ত যেভাবে সব কিছু মানিয়ে নিয়েছে, আর আমাকে যেভাবে সহযোগিতা করেছে, তাতে আমি একজন মা হিসেবে সত্যিই গর্বিত।”

আরও পড়ুনঃ প্রচারবিমুখ এক তারকা, যার অভিনয়ের গল্প শুরু হয়েছিল ‘অক্ষমতা’র বেদনা থেকে! চেহারাই বাধা হয়েছিল, মুখ্য চরিত্র ছিল অধরা!—প্রচারের আড়ালে কৌশিক রায়ের নীরব লড়াইয়ের গল্প চোখে জল আনবে!

এই গল্প থেকে এক কথা স্পষ্ট— প্রতিটি মা তাদের সন্তানদের জন্য নিজের জীবনের ত্যাগ স্বীকার করে, আর সেই ত্যাগ কখনোই তাদের সন্তানের জন্য ব্যর্থ হয় না।