কমলিনীরা সবাই মিলে চলল নতুনের পাকা দেখাতে। কিন্তু, এদিকে প্রায় সকলেরই মন ভারাক্রান্ত। মিঠি-বাবিনের মতে, নতুন কাকু আর তাঁদের থাকবে না, আর আগের মতো ভালোবাসবে না। কিন্তু, কথায় আছে, ‘বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না’ সকলের মধ্যে সবথেকে বেশী খারাপ কমলিনীর লাগলেও সে কাউকে বলে উঠতে পারছে না। এইসব কিছুর মধ্যে অনুষ্ঠানে যেতে নারাজ মিঠি, তাই তাঁকে রাজি করাচ্ছে কমলিনী।
এমন সময়, বাবিন আবার তাঁর হবু বউ অর্থাৎ মিটিলের কথা বলে কমলিনীদের। বাবিনের কথায়, মিটিল নাকি এখনও বিশ্বাসই করে না যে নতুন কাকু বিয়ে করছে। বাবিন তাঁর মাকে এটাও বলে, সে যেনো একটু মিটিলদের বাড়ি যায় আর তাঁর বাবা মায়ের সঙ্গে কথা বলে কারণ তারা এই বিয়েতে রাজি হয়নি। তবে, মিটিল কেন এমন অনটনের সময় এ বাড়ির বউ হতে চেয়েছে তা খুবই ভালো করে জানে কমলিনী।
কমলিনীর কথায়, মিটিল খুব বোঝদার মেয়ে, তাই তাঁদের অসময়ে বিয়ে করে এই বাড়িতে এসে হাল ধরতে চায় এই সংসারের। এদিকে, বাবিন কম রোজগার করে বলে তেমন সাহসও পাচ্ছে না বিয়ে করতে। এমন সময় ঘরে আসে কমলিনীর শাশুড়ি আর বলে তাঁরা কি এক্ষুনিই যাচ্ছে? এদিকে, লাগাতারভাবে মিঠিকে নিমন্ত্রণ বাড়ি যাওয়ার জন্য রাজি করাচ্ছে কমলিনী।
অন্যদিকে দেখা যায়, আজকের দিন নিয়ে অতিউৎসাহী অনন্যা সর্বজিৎয়ের প্রায় সবসময় তর্ক-বিতর্ক লেগেই আছে। তবে, সর্বজিৎয়ের কথা অনুযায়ী, তাঁর আজকের এই অনুষ্ঠানে যাওয়ার কোনো ইচ্ছেই নেই তাও একরকম জোর করেই যাচ্ছে। অনন্যা তাঁকে বলছে, অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য পাঞ্জাবী পরতে কিন্তু সর্বজিৎয়ের কথা, সে গেলে যা পোশাক পরে আছে তাই পরেই যাবে। আর, এই নিয়েই লেগে গেছে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া।
কিন্তু, তাঁদের ঝগড়া কিছুতেই থামাতে পারছে না ডল। এমন সময় কথায় কথায় সর্বজিৎ ডলকে জিজ্ঞাসা করে, আজ যে তাড়াটা সে দেখাচ্ছে পরেও এমনটা দেখাবে তো? এই শুনে ডল মনে মনে ভাবে, আজ কোন এক প্রদীপ্ত গাঙ্গুলি আসবে, নতুনদা বলেছে তাঁর সঙ্গে আলাপ করাবে। আর তাঁর কথা রাখতেই যাচ্ছে ডল। কাউকেই কিছু জানায়নি পর্যন্ত। এই কথাটাই ডলের কাছে অপমানের মতো লেগেছে। তাই, সেও মনে মনে ঠিক করেছে সেখানে গিয়ে অন্য একটা কান্ড ঘটাবে।
আরও পড়ুনঃ টিআরপির লড়াইয়ে এই সপ্তাহে ‘পরশুরাম’-এর বাজিমাত! আবারও পিছিয়ে পড়ল ‘পরিণীতা’! নতুন চমকে সেরা পাঁচে ‘গৃহপ্রবেশ’! প্রথম সপ্তাতেই ছক্কা হাঁকালো ‘বুলেট সরোজিনী’?
এদিকে সেই তখন থেকেই নতুনের বিয়ের কথা আলোচনা করে চলেছে কমলিনীরা। কুর্চির কথা অনুযায়ী, নতুনদা বিয়ে করলে আগেই করতে পারত কিন্তু তা ডলের সঙ্গেই কেন? এদিকে আবার কমলিনীর শাশুড়ি বলে নতুন বিয়ের আগে অনেকবার বিয়ে করতে বলা হয়েছে সে কোনোবারেই রাজি হয়নি। তবে, সকলের মধ্যে কমলিনী বলে নতুন ঠাকুরপো এমন মানুষই নয়, ভবিষ্যতে তাকে কে দেখবে না দেখবে তার জন্য সে বিয়ে করবে।
এদিকে, দেখা যায় অনন্যারা বেরোনোর সময় প্লুটো এসে বলে তাঁর যাওয়ার ইচ্ছা নেই। এই শুনে অনন্যা রেগে যায় আর বলে সেখানে গেলে মৌ থাকবে তাঁর ভালো লাগবে। মৌয়ের কথা শুনে প্লুটো আরও রেগে যায় তাই বাবাকে বারবার বলতে থাকে। এমন সময়, সর্বজিৎ তাঁর ছেলেকে বলে নিজের ঝামেলা নিজেকেই সামলাতে।
এরপর, কমলিনী তাঁর শাশুড়িকে দেখায় কী উপহার দেবে ডলকে? কমলিনী বলে, তাঁর কাকার দেওয়া হার দিতে চায় নতুনের বউকে। কিন্তু, তাতে কিছুটা হলেও আপত্তি জানায় কমলিনীর শাশুড়ি। এরপর, সে তৈরী হতে চলে যায়। এরপর, কমলিনীরা পৌঁছে যায় নতুনের বাড়িতে। আর, তাদের স্বাগত জানাতে বাইরে বেরিয়ে আসে স্বতন্ত্র। এদিকে, কথায় কথায় কুর্চি অনন্যার উদ্দেশ্যে বলে এর আগে তাদেরকে বাড়ির বাইরে থেকে চলে যেতে হয়েছিল। এই শুনে স্বতন্ত্র মনে মনে অবাক হয়ে যায়।