“তোমরা সিরিয়াল দেখছো তো, একদিন আমায় টিভিতে দেখবে!” ছোটবেলার স্বপ্নকে জেদে পরিণত করেন! হয়েছেন অভিনেত্রী, রাঙামতি হয়ে উঠতে কঠিন লড়াই করেছেন মনীষা মন্ডল!

স্বপ্ন, যা নিয়ে প্রতিটা মানুষই বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা পায়। আর, আজকালকার দিনে প্রায় অনেকেই চায় বিনোদন জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে। ছোট পর্দা হোক কিংবা বড় পর্দায় পাঁচজনের মধ্যে পরিচিত মুখ হয়ে উঠতে চায় বহু তরুণ-তরুণী। সম্প্রতি এমনই এক অভিনেত্রীর গল্প আজ উঠেছে এসেছে যিনি সিরিয়াল প্রেমীদের কাছে রাঙামতি নামে পরিচিত।

কথা হচ্ছে স্টার জলসা জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘রাঙামতি তীরন্দাজ’-এর মুখ্য অভিনেত্রী মনীষা মন্ডল। এক সময় ছোট্টো মনীষা তার বাড়ির সবাইকে বলত, “তোমরা সিরিয়াল দেখছো তো, একদিন আমায় টিভিতে দেখবে”। অভিনেত্রীর বাবা-মা কখনোই চাইনি তাঁদের মেয়ে মেয়ে করুক বরং তাঁরা চাইতো মেয়ে পড়াশোনা করে।

আর আজ সেই মেয়েকেই টিভির পর্দায় দেখতে মুখিয়ে থাকে অভিনেত্রীর বাবা-মা সহ আপামোর সিরিয়াল প্রেমীরা। আচ্ছা, কেউ কি জানেন মনীষা কিভাবে শিখলো তিরন্দাজী? আগে থেকেই কি জানতেন, কিভাবে ধরতে হয় তীরধনুক? কিংবা কীভাবে হয়ে উঠলেন অভিনেত্রী?

অভিনেত্রী এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন প্রথম ধারাবাহিকেই তাকে চরম ট্রোলের সম্মুখীন হতে হয়। অনেক দর্শকদের ধারণা ছিল মনীষা বাহামনিকে নকল করছে। অভিনেত্রী ভেবেছিলেন ধারাবাহিক শুরু হওয়ার আগে বাহমনী সিরিয়াল টা একবার হলেও দেখার। তবে, মনীষা জানিয়েছেন তাঁর মা তাঁকে নিজের মতন করে অভিনয় করার উপদেশ পেয়েছিল।

রাঙামতি এখন বাংলার ঘরের মেয়ে। বাবা-মা শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত থাকার দরুন তাঁরা চেয়েছিলেন তাদের মেয়েও শিক্ষকতা করুক। কিন্তু মেয়ের এদিকে বরাবরের ইচ্ছা ছিল অভিনেত্রী হওয়ার তাই কলকাতা এসে পড়াশোনার পাশাপাশি থিয়েটারে যুক্ত হয়ে এবং পরবর্তীতে ধারাবাহিকে সুযোগ পান।

আরও পড়ুনঃ ‘আমি উচ্ছে আলু সেদ্ধ, নিম বেগুন দিয়ে একথালা ভাত খেয়ে নিতে পারি! যেখানেই থাকি চারদিনের মধ্যেই আমাকে ঘরের খাবার টানে! অকপট শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়

তবে সিরিয়ালে অভিনয় করবে আর জীবনে বাধা আসবে না তা হতেই পারে না। শত বাধা আসা সত্ত্বেও অভিনেত্রী নিজের লক্ষ্য স্থির থাকার দরুন আজ হয়ে উঠেছেন রাঙামতি। অভিনেত্রী জানিয়েছেন কলকাতায় এসে এম এ পড়াটা ছিল তার কাছে কেবল ছোট আসলে তিনি অভিনয় জগতকেই প্রথম থেকে মন প্রাণ দিয়ে রেখেছিলেন। তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। নীলাঙ্কুরের সঙ্গে অভিনেত্রীর এটি প্রথম কাজ। এছাড়াও, কর্মসূত্রে নীলাঙ্কুর মনীষার থেকে সিনিয়ার তাই প্রতিনিয়তই সহ অভিনেতার থেকে কিছু না কিছু শিখে চলেছেন।