বর্ষার মুখে ঝামা ঘষে দিল মিঠি! বিয়ের আগের প্রেমিকের কথা তুলে বর্ষাকে অপ্রস্তুতে ফেলল মিঠি! তবে, কি এবার বুবলাইয়ের সঙ্গে বর্ষার দূরত্ব বাড়বে? ছেলের দাম্পত্য জীবনের ভাঙন আটকাতে পারবে কি কমলিনী?

আজ একেবারে জোঁকের মুখে নুন পড়েছে অর্থাৎ কথায় কথায় বর্ষার অতীত উঠে এলো কমলিনীদের সামনে। আজ স্টার জলসার চিরসখা ধারাবাহিকে দেখা যাবে, খেতে বসে সবাই মিলে বাবিন ও মিটিলের বিয়ে নিয়ে আলোচনা করছে। বাবিন বলে, সে মিটিলের দায়িত্ব নেবে কী বরং মিটিলই এইবাড়ির অনেক দায়িত্ব নিয়ে নেবে। এরপর, মিঠিকেও বলে মিটিলদের বাড়িতে যেতে কিন্তু সে বলে যাবে না।

মিঠির কথা শুনে কুর্চি রেগে যায় আর বলে, মিঠি না গেলে সেও যাবে না। এমন সময়, কুর্চি মন খারাপ করে বলে, তাঁরও এক ছেলে রয়েছে কিন্তু কোনো তাঁর কোনো খোঁজ পায় না। এইসব কথা বলে কুর্চি মিঠিকে বোঝানোর চেষ্টা করে। এমন সময় মিঠি বলে এখানে থেকেই সে চাকরির চেষ্টা করবে।

Shinjinee Chakraborty, Rajannya Mitra, Raja Goswami, Vivaan Ghosh, Anashua Majumdar, Sudip Mukherjee, Aparajita Ghosh Das, Tollywood serial Chirosokha, টলিউড সিরিয়াল ধারাবাহিক চিরসখা, রঞ্জনা মিত্র, সুদীপ মুখার্জী অপরাজিতা ঘোষ দাস, অনুসূয়া মজুমদার

এই শুনে বর্ষা আবারও তাঁকে খুঁচিয়ে বলে, কেন তাঁর নতুন কাকু তাঁকে টাকা দেবে না? এই শুনে মিঠি বলে তাঁরা এতটাও ছোটো মানসিকতার মানুষ নয় যে, যার বাড়ি তাঁকেই তাড়িয়ে আবার তাঁরই থেকে টাকা নিয়ে বিদেশ যাবে এমনটা করা যায় না। এরপর, বুবলাই বলে এই কথাটা তাঁকে শোনানো হচ্ছে। এমন সময়, কথায় কথায় কমলিনী বলে নতুনের এই বাড়িতে আসার হাজারবার অধিকার রয়েছে।

অন্যদিকে, দেখা যায় মিটিল তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে বিয়ের ব্যাপারে কথা বলছে। মিটিলের বাবা বাবিন কী করে না করে তা সম্মন্ধে বিস্তারিতভাবে জানছে। এমন সময়, মিটিলের মা তাঁকে বলে একটা খুবই সাধারণ ছেলে তাও রোজকার তেমন নয় তবুও সে কেন তাঁকে পছন্দ করেছে? এই শুনে মিটিল বলে, পরিবারটাকে ভালো লেগেছে বলে সে বিয়ে করতে চায়।

অন্যদিকে, আবার ঠাম্মি কমলীনিকে বলে বাড়িতে একজনকে ডাকার কথা। কমলীনিরা ঠিক করেছে এই বাড়ি তাঁরা নতুনকে ফিরিয়ে দেবে। এই শুনে বুবলাই বাধা দেয়। কারণ, সে বলে এই বাড়িতে তার অধিকার আছে। এই শুনে কুর্চিও বলে তাঁরও এই বাড়িতে অধিকার রয়েছে। তাই, সেও চায় নতুনদার বাড়ি তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আর, এদিকে কথায় কথায় বর্ষা বুবলাইকে নানাভাবে উস্কানি দিচ্ছে। এমন সময়, বুবলাই বলে এই বাড়ি থেকে নতুন কাকু তাদের কোনদিনও দাঁড়াবে না কারণ তার যথেষ্ট স্বার্থ রয়েছে। এই শুনে কুর্চিও জানায় তোর মাও যদি তাঁকে শ্রদ্ধা, ভক্তি-ভালবাসে তাহলে বেশ করে। তাঁরা কমলিনীর নামে কোনো কথা শুনতে চায় না।

অন্যদিকে আবার দেখা যায় মিটিলের মা ভাবিনি এর গান-বাজনা নিয়ে কথা বলতে থাকে। এমন সময় মিছিলের বাবা তাকে জানায় সাধারণভাবে তার এই বিয়েতে কোনো আপত্তি নেই। মিটিল বড় হয়েছে, নিজে দেখাশোনা করে বিয়ে করতে চায় আর সব থেকে বড় কথা তারা দেখে দিলেও যে ভালো ছেলে আসত আর মিটিল নিজে দেখে ভালো ছেলে বিয়ে করবে না এর কোনো মানে নেই।

এদিকে আবার খেতে বসে রোজই নিত্যনৈমিত্তিক ঝামেলা লেগেই রয়েছে কমলিনীর সংসারে। কুর্চি বলে, বুবলাই কোনভাবেই তার মায়ের মন থেকে নতুনদাকে মুছে ফেলতে পারবে না। এরপর, আবার বর্ষা মিঠির ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতে গেলেই মিঠিও তাঁর বিয়ের আগের বিশিষ্ট বন্ধুর ব্যাপারে কথা তোলে। আর, এই সময়তেই বর্ষা একেবারে চুপ করে যায়।

আরও পড়ুনঃ “ওর মুখে মাকে দেখি, আমার দিকে কৃষভি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে”— মেয়েকে নিয়ে কাঞ্চনের আবেগঘন স্বীকারোক্তিকে ঘিরে ঠাট্টার ঝড়! “বাচ্চাটা বুঝতে পারে না, এটা বাবা না দাদু!” কাঞ্চনের মন্তব্যে নেটপাড়ার কটাক্ষ!

মিঠির কথা অনুযায়ী, তার মাকে কেউ যদি অপমান করে সেও তাকে ছাড়বে না। মিঠি বলে দুনিয়াটা অনেক ছোট তাই কোথায় কখন কি হচ্ছে তা একটু চাইলেই সহজে খোঁজ নেওয়া যেতে পারে। মিথির মুখে বর্ষার বিশেষ বন্ধু সম্রাট এর নাম শুনে মুগলাই রেগে যায় এবং বারে বারে মিটিকে জিজ্ঞাসা করতে থাকে এটা কে?

এদিকে, আবার মিটিলের মা বারে বারে তার বিয়েতে বাধা দিতে চাইছে। এমনকি, এই বিয়েটা মিটিল একটু কম আরম্ভর করে বিয়ে করতে চাইলেও তাতে তাঁর মা বাধা দেয়। মিটিল যথাসাধ্য তাঁর হবু শ্বশুরবাড়ির পক্ষ নিয়ে কথা বলছ তা স্পষ্ট বোঝা যায় তাঁর কথা থেকে। এদিকে আবার মিঠি রেগে গিয়ে সম্রাট এবং বর্ষার ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ফটো বর্ষাকে দেখায়। খুব স্বাভাবিকভাবেই বুবলাই ও সেই ফটো দেখতে চাই কিন্তু মিঠি দেখায় না।