টলিপাড়ার জনপ্রিয় দম্পতি ‘কাঞ্চন মল্লিক’ (Kanchan Mullick) ও ‘শ্রীময়ী চট্টরাজ’ (Sreemoyee Chattoraj) এখন শুধুই তারকা দম্পতিই নন, এক নতুন পরিচয় আছে তাঁদের, তাঁরা এখন একটি ছোট্ট ‘কৃষভি’র (Krishvi) বাবা-মা। অনেক গুঞ্জন, জল্পনা আর অপেক্ষার পর অবশেষে প্রকাশ্যে এসেছে তাঁদের মেয়ে কৃষভির মুখ। অক্ষয় তৃতীয়ার পবিত্র দিনে ইসকনের মন্দিরে বাবা-মার কোলে বসে মুখে-প্রসাদ দিয়ে প্রথমবার সবার সামনে এলো ছোট্ট কৃষভি। সেই দিন লাল বেনারসি ও সোনার গয়নার সাজে কৃষভির দিক থেকে যেন একেবারে চোখ ফেরানো অসম্ভব ছিল।
সেদিন মুখে-প্রসাদের ওই ছবিগুলি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় সমাজ মাধ্যমে। নেটিজেনরা ভালোবাসায় ভরিয়ে দিতে থাকেন কৃষভিকে। সেই থেকেই মা বাবার সাথে প্রতিদিন সমাজের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে কৃষভিকে। কখনও বাবার জন্মদিনে কেক কাটতে, কখনও মায়ের সাথে সাক্ষাৎকারে। এখন সামাজ মাধ্যমে শুরু হয়েছে তাঁকে ঘিরে নতুন উত্তেজনা। এখন সবার মনে একটাই প্রশ্ন যে কৃষভিকে কার মতন দেখতে?
প্রসঙ্গত ২০২৪ সালের দীপাবলিতে এসেছিল শ্রীময়ীর তরফ থেকে সুখবর। যদিও প্রথমদিকে বিষয়টি একেবারে ব্যক্তিগত রাখার চেষ্টা করেন এই জুটি। পরে সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া পারিবারিক ছবিগুলি দেখে অনেকে অনুমান করেছিলেন নতুন অতিথি এসে পড়েছে তাঁদের ঘরে। তার কিছুদিন পর জানা যায়, তাঁদের কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে এবং তার নাম রাখা হয়েছে ‘কৃষভি’। এই নামের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে কৃষ্ণভক্ত দম্পতি কাঞ্চন-শ্রীময়ীর আবেগ।
এই নাম যেন তাঁদের বিশ্বাস আর ভালোবাসার প্রতীক। ‘কৃষ’ শব্দটি এসেছে কৃষ্ণ থেকে আর ‘ভি’ বোঝায় পবিত্রতা এবং বন্ধুত্ব। সম্প্রতি একটি সংবাদ মাধ্যমের তরফে জানতে চাওয়া হয়, বাবা কাঞ্চনের কাছে যে মেয়েকে কার মতন দেখতে হয়েছে? তিনি উত্তর দেন, “শিশুদের মুখ জন্মের পর সাত বছরে অন্তত পাঁচ বার বদলায়, এখনই ঠিক করে বলা সম্ভব না কার মতন দেখতে। তবে আমার মনে হয় শ্রীময়ী আর আমার দুজনেরই ছাপ রয়েছে ওর মুখে।
আরও পড়ুনঃ একটার পর একটা! ‘দুই শালিক’ শেষ হতে না হতেই সায়নের ঝুলিতে আরও এক নতুন ধারাবাহিক! জলসার ঐতিহাসিক ধারাবাহিকে ফিরছেন তিনি?
কিন্তু অপলক দৃষ্টিতে যখন আমার দিকে তাকিয়ে থাকে, মায়ের কথা মনে পড়ে। মাও আমার দিকে এমন করেই তাকাতেন মারার আগে।” তবে এবারেও কটাক্ষ পিছু ছাড়লো না! অনেকেই লিখলেন, “আপনার ছেলে কী দোষ করল যে তার মুখের কথা ভুলতে বসেছেন?”, “আসলে বাচ্চাটি তাকিয়ে থাকে কারন বুঝতে পারে না, যে এই ব্যক্তিটি বাবা নাকি দাদু!” আবার কেউ বলেছেন, “মেয়ের দাঁত উঠবে আর বাপের দাঁত পড়বে।”