সদ্যই গিয়েছে মাতৃ দিবস, এরই মাঝে টলিউডে অনেক অভিনেত্রীই মা হয়েছেন বা হবেন কিছুদিনের মধ্যে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র (Anurager Chhowa) মিশকা ওরফে অভিনেত্রী ‘অহনা দত্ত’ (Ahona Dutta) রও। চলতি বছরের শুরুতেই সুখবর ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী এবং স্বামী ‘দীপঙ্কর রায়’ (Dipankar Ray), আসন্ন আগস্ট মাসেই সংসারের নতুন সদস্যের আগমন ঘটবে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে মা ‘চাঁদনী গাঙ্গুলী’ (Chandni Ganguly) সঙ্গে অহনার সম্পর্ক দিনকে দিন অবনতির দিকে এগিয়েছে।
ছোট থেকেই মায়ের কাছে মানুষ অহনা। মায়ের কথা না শুনে মাত্র কুড়ি বছর বয়সে দীপঙ্করের সাথে সংসার পাতায়, মা চাঁদনীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয় অহনার। সমাজ মাধ্যমে প্রায়শই অহনা কে উদ্দেশ্য করে তার মা তিক্ত মন্তব্য করে থাকেন। অহনা যদিও সেইসব কথায় কান দেন না, নিজের সংসার ও আসন্ন সন্তান নিয়েই ব্যস্ত তিনি। সম্প্রতি অহনা সমাজ মাধ্যমে খুব একটিভ। রোজকার দিনের কিছু অংশ ভিডিওর মাধ্যমে তুলে ধরেন অনুরাগীদের জন্য।
সম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে গর্ভাবস্থা ও মাতৃত্ব নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে অহনা বলেন, “আমি আর দীপঙ্কর দু’জনের কেউই ‘সাধ’ জিনিসটা মানি না, আর আগে যে ভাবনা থেকে মেয়েদের সাধ খাওয়ানো হত সেটা এখন অপ্রাসঙ্গিক। আগে সবাই ভাবতেন বাচ্চা হতে গিয়ে যদি মা মারা যান, তার আগে তাঁদের সাধের খাওয়ার যেন খাইয়ে দেওয়া হয়।” বলার অপেক্ষা রাখে না, এই মন্তব্য ঘিরেই নতুন করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন অহনা।
সমাজ মাধ্যমে কেউ বলেছেন, “কপালে না জুটলে লোকে ওসবই বলে”, আবার কেউ কৌতুক করে বলেছেন,”তাহলে আইবুড়ো ভাত কেন খাওয়ানো হয়,যদি বিয়ের পর খেতে না পায় এই চিন্তায়?” কেউ অতীতের প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেছেন,”এতোদিন তো শুনলাম যে কেউ সাধ দিচ্ছে না বলে কত কষ্ট, এখন আবার বলে মানি না!” তবে সবচেয়ে বেশি কটাক্ষই ধেয়ে এসেছে, “হ্যা বাঙালীর যত রিউচুয়াল আছে সব মডার্নিটির নামে জলাঞ্জলী দিয়ে দিন।
আরও পড়ুনঃ “তিন মাস কাজ থাকলে, ৯ মাস থাকবে না জানতাম! আমি খুব সাধারন মানের অভিনেতা”—অকপট কৌশিক রায়
আমাদের বাবা মা দাদু ঠাকুমারা তো সব সেকেলে তারা তো শিক্ষিত ছিল না তারা শুধুই কুসংস্কারাচ্ছন্ন ছিল। আমরা আশা করি যে আমাদের গুরুজনেরা সময়ের সাথে তাল মেলাবে, আমাদের সিদ্ধান্তকে মর্যাদা দেবে আর আমরা কি করবো মডার্নিটির নামে সব আস্তে আস্তে শিকেয় তুলে দেব, যত্তসব নেকামো!” এক কথায় এতোদিন যারা আদুরে শুভেচ্ছাবার্তা দিয়ে ভরিয়ে দিচ্ছিলেন, তাঁদের একাংশই এখন ক্ষিপ্ত! আপনাদের কি মত, অহনার যুক্তি কি ঠিক?