বিয়েতে নারাজ কমলিনী! জীবনের বিশেষ মানুষকে ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারছে না কমলিনী! তবে, কি পরিস্থিতির চাপে সকলের সামনে প্রকাশ পাবে কমলিনী-স্বতন্ত্রর না বলা সম্পর্কের কথা?

এত বছর পর আর সিঁথিতে সিঁদুর তুলবে না, জানিয়ে দিল কমলিনী। স্টার জলসা ধারাবাহিছে আজকের পর্বে দেখা যাবে, চাঁদু ফিরে আসার খুশিতে মুখার্জি বারে সবাই যেমন আনন্দ করছে তেমনি কমলিনীর শাশুড়ি চাইছে তাঁর ছেলে-বৌমার জন্য আবার বিয়ে হয়। তবে এই নিয়ে বাড়ির সবাই আগ্রহী থাকলেও কমলিনী একেবারেই রাজি নয়।

এমন সময়, কমলিনীর দাদা তাঁকে মন খারাপ নিয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলেন সে কোন উত্তরই দেয় না। এদিকে, আবার তাঁর বাবা আনন্দে মিষ্টি খেতে চাইলে কমলিনী অকারণেই তাঁকে অপমান করে দেয়। এদিকে, অনন্যা-ডলও বলে কমলিনীর বিয়েতে তারা খুব মজা করবে।

Shinjinee Chakraborty, Rajannya Mitra, Raja Goswami, Vivaan Ghosh, Anashua Majumdar, Sudip Mukherjee, Aparajita Ghosh Das, Tollywood serial Chirosokha, টলিউড সিরিয়াল ধারাবাহিক চিরসখা, রঞ্জনা মিত্র, সুদীপ মুখার্জী অপরাজিতা ঘোষ দাস, অনুসূয়া মজুমদার

এমন সময় চন্দ্র সবাইয়ের উদ্দেশ্যে বলে বাড়ির সদস্যরা যা ঠিক করবে তাই তারা মেনে নেবে। এমন সময় কমলিনী বলে, সে কিন্তু এই বিয়ে করতে পারবে না। কিন্তু, কমলিনীর এই বিয়েতে বিরোধিতা দেওয়ার কারণ এখনো বুঝে উঠতে পারছে না বাড়ির সদস্যরা। এরপর কমলিনি তার শাশুড়ির উদ্দেশ্যে আরও জানাই এতদিন ধরে সে এই সংসারে সমস্ত কিছু সামলে এসেছে। এবার তার ছেলে এসে গেছে তাই সে এই সংসার থেকে ছুটি চাইছে।

এরপর পরদিন সকাল হতেই বাড়িতে এসে হাজির হয় পুরোহিত মশাই। বিধির বিধান দিতে হাজির হওয়া পুরোহিত মশাইকে দেখে বাড়ির সকলে খুশি হয়ে যায়। এরপর বেশি দেরি না করে কমলিনীর শাশুড়ি তাকে বিয়ে সম্পর্কিত নানান কথা জিজ্ঞাসা করতে থাকে। কিন্তু, এমন সময় মিটিল এবং ছোট কাকামনি তারা সবাইকে বলে যা আলোচনা হওয়ার কমলিনীর সামনেই হওয়া উচিত। এদিকে, কমলিনীর মা-বাবা তার ব্যবহার দেখে একটু মনে মনে ভয় পেতে থাকে তাদের মেয়ে কেন এমন অস্বাভাবিক ব্যবহার করছে?

এরপর স্বতন্ত্র মনে মনে ভাবে, চন্দ্র তার স্ত্রীকে ভালোবাসে। আর, কমলিনীরও উচিত আবার বিয়ে করে সংসার করা। তাঁর, এই দুজনের বিয়ে বিয়ে দায়িত্ব মুক্ত হয়ে তবেই এবার থেকে যাবে। এমনটাই মনে মনে ভাবে স্বতন্ত্র। এদিকে, কমলিনী ঘরে একা শুয়ে আছে। আর, তাঁকে ডাকতে গেছে কুর্চি। কুর্চি গিয়ে বলে, বিয়ে নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা তাঁর সামনেই নেওয়া হবে।

কমলিনী বলে, কিন্তু সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন মানা না মানা তার হাতেই রয়েছে। এরপর, কথায় কথায় কুর্চি বলে সেই একমাত্র তাঁর বৌদিভাইকে এইবাড়িতে এখন বুঝতে পারছে, আর কেউ তা পারছে না। তবে, সেইটা বোঝানোর জন্য সবার সামনে গিয়ে দাঁড়াতে হবে কমলিনীকে, এটাই বলে কুর্চি।

এরপর, কুর্চি এটাও বলে যে সে জানে কমোলিনী নতুনদাকে ভালোবাসে। তবে, কমোলিনী তা কখনোই স্বীকার করে না। উল্টে, কমোলিনী জানায় নতুনের সঙ্গে গভীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে, যা কেউই বুঝবে না। এরপর, কুর্চি কিছুটা জোর করেই কোমলীনিকে সবার সামনে নিয়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ “একটা মানুষ সৃষ্টি করেছি! আমার জীবনের সেরা অ্যাচিভমেন্ট আমার মেয়ে” “ছোট থেকেই মাকে ছাড়া থেকেছে, রাত জেগে কাঁদেনি কখনও!” সহজে সবকিছু পেয়ে গিয়ে নয় স্ট্রাগল করে বড় হোক মেয়ে চান লাভলি!

এদিকে, বিয়ের নানান মতামত নিয়ে কমলিনীর শাশুড়ি স্বতন্ত্রকে জিজ্ঞাসা করায় বলে, বাড়ির মানুষ বাড়িতে ফিরেছে বলে সকলের যখন আনন্দ হচ্ছে তখন বিয়ে নয় উৎসব করতেই বা কি অসুবিধা। এমন সময়, বুবলাইও বিয়ে নিয়ে মতামত জানতে চায় নতুন কাকুর থেকে। আর, বিয়ে নিয়ে কথা বলার সময়তেই হাজির হয় কমলিনী।